পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
অবশেষে নিউইয়র্কে পরিচয় মিলল নিখোঁজ বাংলাদেশি তাহের আহমেদ’র। তবে জীবিত নয়, মৃত। তার দেশের বাড়ি লক্ষীপুর জেলার রায়পুর উপজেলা। দীর্ঘ ৪২ বছরের প্রবাস জীবন শেষে তাহের আহমেদ (৬৭) স্ত্রী-সন্তানের কাছে ফিরছেন কফিনে বন্দি হয়ে। মহামারি করোনায় আক্রান্ত হয়ে তিনি ব্রঙ্কসের মন্টিফিউর হাসপাতালে গত ৮ মার্চ ইন্তেকাল করেন। তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন কমিউনিটি অ্যাক্টিভিস্ট মাজেদা এ উদ্দিন।
গত ২৫ ফেব্রুয়ারি থেকে কোন খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না তাহের আহমেদ’র। এনিয়ে গত সপ্তাহের বাংলা পত্রিকায় ‘সন্ধান চাই’ নামে তার ছবি সহ ছোট একটি খবর প্রকাশিত হয়। খবরে বলা হয়, সর্বশেষ গত ২৫ ফেব্রুয়ারি বিকেলে তাকে অ্যাম্বুলেন্সে উঠিয়ে নিতে দেখেছেন বলে একজন প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছেন। তারপর থেকে তাহের আহমেদ’র আর কোন সন্ধান পাওয়া যাচ্ছিল না।
মাজেদা এ উদ্দিন ইনকিলাব প্রতিনিধিকে জানান, দীর্ঘ প্রবাস জীবনে অভিবাসনের মর্যাদা পাননি তাহের আহমেদ। দিনাতিপাত করতেন নিউইয়র্ক সিটির ব্রঙ্কসের স্টার্লিং-পার্কচেস্টার এলাকায় বই-পত্র বিক্রি করে। স্থানীয় ১৯৩৯ এলিস এভিনিউতে প্রবাসী বাংলাদেশি বাবুল নবীর বাসার বেসমেন্টে বাস করতেন তিনি। বাবুল নবীও করোনায় আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি একই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন।
মাজেদা উদ্দিন আরো জানান, একমাত্র পুত্র সন্তানের মুখ দেখেননি অভাগা তাহের আহমেদ। তার একমাত্র পুত্রের বয়স যখন মাত্র দেড় মাস, তখোনই তিনি স্বপ্নের দেশ আমেরিকায় এসেছিলেন। এরপর দীর্ঘ ৪২ বছরেও তার স্বপ্ন পূরণ হয়নি। অভিবাসনের মর্যাদা না পাওয়ায় স্ত্রী-সন্তানের কাছে যাবার সৌভাগ্যও হয়নি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।