পশ্চিম তীরে সহিংসতা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ
জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এই বৈঠকে তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনের
যুদ্ধবিধ্বস্ত সিরিয়া, লিবিয়া এবং আজারবাইজানের কারাবাখে তুর্কি সামরিক ড্রোনের কার্যকারিতা দেখে এবার সউদী আরবও তুরস্কের কাছ থেকে সামরিক ড্রোন কিনতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। মঙ্গলবার আঙ্কারায় এক সংবাদ সম্মেলনে তুর্কি প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোগান রিয়াদের এমন আগ্রহের কথা জানিয়েছেন। অনুষ্ঠানে সউদী আরব ও গ্রিসের সা¤প্রতিক যৌথ সামরিক মহড়ার সমালোচনা করে তুর্কি প্রেসিডেন্ট বলেন, একদিকে তারা গ্রিসের সঙ্গে মহড়া চালাচ্ছে আবার অন্যদিকে তুরস্কের কাছ থেকে আনম্যানড অ্যারিয়েল ভেহিক্যাল (ইউএভি) কেনার আগ্রহের কথা জানাচ্ছে। সা¤প্রতিক বছরগুলোতে বেশ কয়েকটি দেশ তুরস্কের কাছ থেকে সামরিক ড্রোন কেনার আগ্রহ দেখিয়েছে। ম‚লত সিরিয়া ও লিবিয়ায় এই ড্রোনের কার্যকারিতা এবং বিশেষ করে কারাবাখ যুদ্ধে এর অনন্য ভ‚মিকার ফলে অনেক দেশই এই ড্রোনের প্রতি আগ্রহী হয়ে উঠে। তুরস্কের প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় কারাবাখের ওই যুদ্ধে আর্মেনিয়ার বিরুদ্ধে বড় ধরনের জয় পায় আজারবাইজান। তুরস্কের তৈরি বাইরাক্তার টিবি২ ড্রোন নাগরনো-কারাবাখ নিয়ে আজারবাইজান এবং আর্মেনিয়ার মধ্যকার সা¤প্রতিক যুদ্ধে নিয়ামকের ভ‚মিকা পালন করেছে এবং ইরাকের নিষিদ্ধ কুর্দিস্তান ওয়ার্কার্স পার্টি বা পিকেকের বিরুদ্ধে তুরস্কের ৩৫ বছরের যুদ্ধে ২০১৬ সাল থেকে মোতায়েন করা টিবি২ ইরাক এবং উত্তর সিরিয়ার ওয়াইপিজিতে নির্ধারিত লক্ষ্যে আঘাত হানছে। ড্রোন অভিযানের ফলে সিরিয়ান সেনাবাহিনী ইদলিবের দিকে অগ্রসর হওয়া বন্ধ করে দিয়েছে, যা রাশিয়াকে যুদ্ধবিরতির মধ্যস্থতা করতে বাধ্য করেছে। অল্প সময়ের মধ্যেই সশস্ত্র-ড্রোন প্রযুক্তি তুরস্কের প্রতিরক্ষা কেন্দ্রিক বৈদেশিক নীতির ম‚ল ভিত্তিতে পরিণত হয়েছে। এছাড়া তুরস্কের নিজস্ব স্যাটেলাইট এবং ভালো মানের রাডার রয়েছে। এখন তারা ক্রুজ মিসাইল তৈরির কাজ করছে। এর পাশাপাশি নৌ বাহিনীর জন্য তারা যেসব যুদ্ধ সরঞ্জাম তৈরি করছে, তার মধ্যে রয়েছে অ্যান্টি শিপ মিসাইল, লাইটওয়েট টর্পেডো এবং সোনার সিস্টেম। তারা আন্ডারওয়াটার অ্যাটাক ড্রোন তৈরি নিয়েও কাজ করছে। বছর তিনেক আগে শুরু করেছে যুদ্ধজাহাজের ইঞ্জিন তৈরির কাজ। অস্ত্র উৎপাদন ও রফতানিতে তুরস্কের সক্ষমতা সম্পর্কে তুর্কি পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত কাভুসোগলু বলেন, তার দেশের প্রতিরক্ষা পণ্যের গুণগত মান ভালো, দামে সুলভ এবং বিক্রির ক্ষেত্রে আগাম কোনও শর্ত আরোপ করা হয় না। অতীতে বিশ্বের পরাশক্তিগুলোর কাছ থেকে প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম কিনতে গিয়ে সমস্যা পড়ে আঙ্কারা নিজেই সামরিক সরঞ্জাম উৎপাদন শুরু করে। ২০২০ সালের আগস্টে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক ডিফেন্স নিউজ ম্যাগাজিন তাদের টপ গেøাবাল ফার্মের তালিকায় স্থান দিয়েছিলো তুরস্কের সাতটি প্রতিরক্ষাসামগ্রী উৎপাদক প্রতিষ্ঠানকে। তবে যেটি নিয়ে এখন সবচেয়ে বেশি আলোচনা হচ্ছে, সেটি হলো তুরস্কে বানানো ড্রোন। দেশটির চারটি কোম্পানি ড্রোন উৎপাদন করে থাকে। এগুলোর মধ্যে মেশিনগান এবং গ্রেনেড বহনকারী ড্রোনও রয়েছে। এছাড়া, নিজস্ব স্যাটেলাইট এবং ভালো মানের রাডার আছে তুরস্কের। এখন তারা ক্রুজ মিসাইল তৈরির কাজ করছে। এর পাশাপাশি নৌ বাহিনীর জন্য তারা যেসব যুদ্ধ সরঞ্জাম তৈরি করছে, তার মধ্যে রয়েছে অ্যান্টি শিপ মিসাইল, লাইটওয়েট টর্পেডো এবং সোনার সিস্টেম। তারা আন্ডারওয়াটার অ্যাটাক ড্রোন তৈরি নিয়েও কাজ করছে। বছর তিনেক আগে শুরু করেছে যুদ্ধজাহাজের ইঞ্জিন তৈরির কাজ। রয়টার্স, আল-জাজিরা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।