পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বাবা-মা হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত কিশোরী কন্যা ঐশী রহমানের সাজা বাড়ানোর কোনো সুযোগ নেই-মর্মে আদেশ দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। গতকাল সোমবার লিভ টু আপিলের শুনানিকালে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ এ মন্তব্য করেন। লিভ টু আপিলে ঐশীর সাজা স্থগিত এবং সাজা কমানোর আবেদন জানানো হয়েছিল। পক্ষান্তরে সরকারপক্ষীয় আইনজীবী তার সাজা বাড়িয়ে মৃত্যুদন্ড করার আবেদন জানান। আদালত লিভ টু আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করলেও সাজা স্থগিত করেননি। সাজা হ্রাস কিংবা বৃদ্ধিও করেননি।
সরকারপক্ষীয় আবেদন খারিজ হয়ে যাওয়ায় ঐশী রহমানের যাবজ্জীবন কারাদন্ড বহাল থাকে কি-না এ বিষয়ের ওপর এখন শুনানি হবে। গতকাল ঐশীর পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট ফয়সাল এইচ খান।
প্রসঙ্গত: ২০১৩ সালের ১৬ আগস্ট ঢাকার চামেলীবাগস্থ বাসায় খুন হন পুলিশ কর্মকর্তা মাহফুজুর রহমান এবং তার স্ত্রী স্বপড়বা রহমান। এ ঘটনা তখন সারা দেশ কাঁপিয়ে দেয়। তদন্তে বেরিয়ে আসে তাদের কিশোরী কন্যা ঐশী রহমানই এ হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে। বিচারিক আদালত এ কারণে তাকে মৃত্যুদন্ডাদেশ দেন। অন্য সহযোগীদের বিভিনড়ব মেয়াদে সাজা দেয়। এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল হলে ২০১৭ সালে ৫ জুন আলোচিত এই মামলায় ঐশী রহমানের সাজা মৃতুদন্ডাদেশ কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দেন হাইকোর্ট। ডেথ রেফারেন্স (মৃত্যুদন্ড অনুমোদন সংক্রান্ত আবেদন) ও আসামির আপিল শুনানি শেষে বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিম এবং বিচারপতি মো. জাহাঙ্গীর হোসেনের তৎকালিন ডিভিশন বেঞ্চ এই রায় দেন।
রায়ে হাইকোর্ট বলেছিলেন, ঐশীর অপরাধ মৃত্যুদন্ডের যোগ্য হলেও তার বয়স ও মানসিক স্বাস্থ্য পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে সাজা কমানোর এই রায় দেয়া হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।