পবিত্র লাইলাতুল বরাত
আজ দিবাগত রাত পবিত্র লাইলাতুল বরাত। পরম করুণাময় আল্লাহতায়ালা তার বান্দাদের গুনাহ মাফ, বিপদমুক্তি ও
অনেক ঝামেলায় জড়িয়ে পড়েছে বিএনপি। এই ঝামেলা একমূখী, দ্বিমূখী বা বহুমূখী বলা যায়। রাজনৈতিক ক্ষেত্রে আওয়ামী লীগ শাসন ক্ষমতায়, আর বিএনপি তার প্রধান বিরোধী দল। সুতরাং ক্ষমতাসীন দল এবং প্রধান বিরোধী দলের মধ্যে প্রবল প্রতিদ্বন্দ্বিতা থাকবে, এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু দেখা যাচ্ছে স্বাভাবিক রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বিতা ও বিতর্কের মধ্যে বিষয়টি সীমাবদ্ধ নয়। রাজনৈতিক বিতর্ক গড়াতে গড়াতে প্রেসিডেন্ট জিয়ার বীর উত্তম খেতাব কেড়ে নেওয়ার প্রস্তাবে এসে দাঁড়িয়ে আছে। তারপর এসেছে সবচেয়ে বড় আঘাত। ১৯৭১ সালের ২৫ ও ২৬ মার্চের কালো রাত্রিতে কারফিউয়ের মধ্যে তৎকালীন মেজর জিয়াউর রহমান নাকি স্বাধীনতা সংগ্রামী বাঙ্গালীদের ওপর গুলি চালিয়েছিলেন।
এগুলো তো ছিল আওয়ামী লীগের পলিটিক্যাল এ্যাটাক। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে, যারা আওয়ামী লীগ বিরোধী এবং বিএনপির প্রচ্ছন্ন সমর্থক বলে পরিচিত তারাও বিএনপিকে আক্রমণ করেছে। সেটি হলো, আইডিওলজিক্যাল এ্যাটাক বা আদর্শিক আঘাত। কোনোটিরই যুতসই জবাব দিতে পারেনি বিএনপি। বরং দেখা যাচ্ছে যে বিএনপির দ্বিতীয় সারির দুয়েকজন নেতা আওয়ামী লীগের আক্রমণের মোটামুটি একটি জবাব দিয়েছেন। সবচেয়ে অবাক ব্যাপার হলো, একটি ইংরেজী দৈনিক পত্রিকার সরাসরি আক্রমণ। গত ৯ মার্চ মঙ্গলবার ‘দৈনিক নিউ এজ’ প্রথম পৃষ্ঠার প্রধান সংবাদ হিসাবে যে খবরটি ছেপেছে তার শিরোনাম হলো, Paradigm shift in BNP politics: observers. (প্যারাডাইম শিফট ইন বিএনপি পলিটিকস: অবজারভার্স।) ইংরেজী প্যারাডাইম শব্দটির সঠিক অর্থ এখানে সম্ভবত: প্রযোজ্য হবে না। এখানে এর অর্থ করা যেতে পারে ‘বিশাল’। অর্থাৎ বিএনপির রাজনীতিতে বিশাল পরিবর্তন। যখন আমরা রাজনৈতিক কলাম লিখি তখন এই ধরণের পরিবর্তনকে ৩৬০০ পরিবর্তন বলে উল্লেখ করি। পত্রিকাটির মতে, বিএনপির রাজনীতির ৩৬০০ পরিবর্তন ঘটেছে। রিপোর্টে বলা হয়েছে, অতি সম্প্রতি বিএনপি কয়েকটি ঐতিহাসিক দিবস পালন করেছে। দলটির প্রতিষ্ঠার পর থেকে এ পর্যন্ত বিএনপি এসব দিবস পালন করেনি। রাষ্ট্রবিজ্ঞানীদের বরাত দিয়ে রিপোর্টে বলা হয়েছে যে এবার বিএনপি ২ মার্চ, ৩ মার্চ ও ৭ মার্চ পালন করেছে। ২ মার্চ হলো, স্বাধীনতার পতাকা উত্তোলন দিবস। পতাকা উত্তোলন করেছিলেন তৎকালীন ডাকসুর সহসভাপতি ছাত্রলীগ নেতা এবং কেন্দ্রীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ নেতা আ স ম আব্দুর রব। ৩ মার্চ ছিল স্বাধীন বাংলার ইশতেহার পাঠ দিবস। ইশতেহার পাঠ করেছিলেন তৎকালীন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এবং কেন্দ্রীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ নেতা শাহ্জাহান সিরাজ। আর ৭ মার্চ সকলেরই জানা। ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ তৎকালীন রেসকোর্স ময়দানে অন্তত ১০ লক্ষাধিক লোকের বিশাল জনসভায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ভাষণ। শুধু তাই নয়, বিএনপি এও সিদ্ধান্ত নিয়েছে, সারা বছর ধরে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদ্যাপন করবে।
দুই
পত্রিকাটির রিপোর্টে বলা হয়, বিএনপির এই সিদ্ধান্তে জামায়াতে ইসলামীর সাথে তার সম্পর্কচ্ছেদ স্থায়ী হলো বলে মনে হচ্ছে। এই সিদ্ধান্তের ফলে একদিকে জামায়াতের সাথে বিএনপির সম্পর্কচ্ছেদ যেমন স্থায়ী হবে, অন্যদিকে মুক্তিযুদ্ধের আদর্শে বিশ্বাসী, কিন্তু আওয়ামী লীগ বিরোধী, দলগুলোর সাথে বিএনপির সম্পর্ক স্থাপিত হবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন অধ্যাপক আবুল কাশেম ফজলুল হক বলেছেন, বিএনপি হয়তো বুঝতে পেরেছে, জামায়াতের সাথে সম্পর্ক তাদের অনেক ক্ষতি করেছে। সম্ভবত এই বোধদয়ের পরই বিএনপি এসব দিবস পালন করছে। পত্রিকার রিপোর্টে মন্তব্য করা হয় যে, নামে জাতীয়তাবাদী বললেও দলটির কোনো সুনির্দিষ্ট আদর্শ নাই। এসব দিবস পালন করার ফলে দলটি হয়তো নিজস্ব একটি চরিত্র সৃষ্টি করার সুযোগ পাবে।
নাম উল্লেখ না করে বিএনপির স্ট্যান্ডিং কমিটির কয়েকজন সদস্যের বরাতে বলা হয়, সুনির্দিষ্ট কয়েকটি লক্ষ্য নিয়েই স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী পালন করা হচ্ছে। এর ফলে জনগণের সাথে আরো যোগাযোগ বাড়বে বলে তারা মনে করেন। ঐ রিপোর্টে বিএনপির নীতি নির্ধারকদের বরাত দিয়ে বলা হয়, মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে এড়িয়ে গিয়ে রাজনীতি করা সম্ভব নয়। মুক্তিযুদ্ধের ঐতিহাসিক দিনগুলির ওপর গুরুত্ব দেওয়ার ফলে ঐ সমস্ত দল বিএনপির প্রতি আকৃষ্ট হবে, যারা আওয়ামী লীগ বিরোধী, কিন্তু জামায়াতের সাথে সম্পর্ক রাখাটা পছন্দ করে না। তাদের মধ্যে দীর্ঘ দিন ধরে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা বলার কারণে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষ শক্তিগুলোর ওপর আওয়ামী লীগ প্রাধান্য বিস্তার করে আছে।
জামায়াতের সাথে সম্পর্ক কতদিন থাকবে এ ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করা হলে পার্টির সিনিয়র নেতা খন্দকার মোশাররফ হোসেন পত্রিকাটিকে বলেন, এ ব্যাপারে সময় মত দলীয় সভায় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে। তিনি বলেন, জামায়াতের ব্যাপারটি রাজনৈতিক পর্যায়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের বিষয়। সাংবাদিকদের সাথে এক মতবিময় সভায় মির্জা ফখরুল বলেন, ৭ মার্চ আমাদের ইতিহাসের একটি অংশ এবং যথাযোগ্য মর্যাদায় দিনটি পালন করা উচিত।
আওয়ামী লীগ বিএনপি কর্তৃক স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী পালন এবং ৭ মার্চ পালনকে বিএনপির একটি ষড়যন্ত্র হিসাবে দেখছে। এ ব্যাপারে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এবং তথ্যমন্ত্রী হাসান মাহমুদের বিভিন্ন মন্তব্যে সেই রকম কথাই বলা হয়েছে। এখানে একটি বিষয় বিশেষ উল্লেখের দাবি রাখে। ‘লেকসোর’ হোটেলে সুবর্ণ জয়ন্তী পালন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তৃতা প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল, খন্দকার মোশাররফসহ অন্য নেতৃবৃন্দ বলেন যে, ৭ মার্চের ভাষণে শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা দেননি। এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কঠোর ভাষায় বিএনপি, বিশেষ করে দলটির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানকে আক্রমণ করেন।
তিন
ইউএনবি পরিবেশিত সংবাদ মোতাবেক, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণের সারমর্ম বিএনপির না বোঝারই কথা। কারণ ১৯৭১ সালের ২৫ ও ২৬ মার্চ জিয়াউর রহমান চট্টগ্রামে অনেক বাঙ্গালীকে হত্যা করেছেন (Killing Bangalies in Chattogram)। যে ব্যক্তি চট্টগ্রামে গণহত্যা শুরু করেছিল, যে ব্যক্তি পাকিস্তানি জাহাজ সোয়াত থেকে অস্ত্র খালাস করতে যাচ্ছিল, যে ব্যক্তি জাতির পিতাকে হত্যা করেছে, সে ব্যক্তি সংবিধান লঙ্ঘন করে ক্ষমতা দখল করেছিল, নিজেকে প্রেসিডেন্ট ঘোষণা করেছিল এবং একটি রাজনৈতিক দল গঠন করেছিল। সুতরাং এটা খুব স্বাভাবিক যে, সেই দলের নেতারা ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণের সারমর্ম বুঝবে না। এতে আশ্চর্য হওয়ার কিছু নাই এবং বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করারও কিছু নাই, বলেন প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, তারা তো ৭ মার্চের ভাষণের সারমর্ম বুঝবে না। কারণ তারা তো এখনো পাকিস্তানকে তোষামদ করার অভ্যাস ছাড়তে পারেনি। ইউএনবি পরিবেশিত সংবাদ মোতাবেক, একজন পাকিস্তানি সেনা অফিসার হিসাবে বাঙ্গালীদের গণহত্যায় জিয়াউর রহমান কিভাবে অংশ নিয়েছিলেন শেখ হাসিনা সেটি উল্লেখ করেন।
তিনি বলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের নির্দেশক্রমে সংগ্রাম পরিষদের লোকজন এবং জনগণ ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ চট্টগ্রামের রাস্তাঘাটে যখন ব্যারিকেড সৃষ্টি করে তখন পাকিস্তানের হানাদার বাহিনী জনগণের ওপর গুলি বর্ষণ করে। পাকিস্তানের যে সেনা দল জনগণের ওপর গুলি বর্ষণ করে তাদের মধ্যে জিয়াউর রহমানও ছিলেন। যারা রাস্তাঘাটে ব্যারিকেড দিচ্ছিল, পাকিস্তানের একজন সেনা অফিসার হিসাবে জিয়াউর রহমান তাদের অনেককেই গুলি করেন। শুধু তাই নয়। ২৫ ও ২৬ মার্চ এই দুই দিন ধরে জিয়াউর রহমান মানুষ হত্যা করে। চট্টগ্রামের অনেক মুক্তিযোদ্ধা এই কথা জানে। শেখ হাসিনা বলেন, এরপর জিয়াউর রহমান অস্ত্র খালাস করার জন্য পাকিস্তানী জাহাজে সোয়াতের দিকে অগ্রসর হন। কিন্তু সংগ্রাম পরিষদের কর্মীবৃন্দ এবং জনগণ তাকে ধরে ফেলে।
চার
প্রিয় পাঠক, আমি এখানে একটি বিষয় অত্যন্ত পরিষ্কার করে বলতে চাই। বিএনপির রাজনীতিতে আমুল পরিবর্তন সম্পর্কে যা বলা হয়েছে তার একটি শব্দও আমার বা ইনকিলাবের নিজস্ব নয়। ইংরেজী পত্রিকাটিতে যে রিপোর্ট ছাপা হয়েছে তার অনুবাদ বা ভাবানুবাদ ওপরে তুলে দিয়েছি। অনুরূপভাবে প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান সম্পর্কে যা কিছু বলা হয়েছে তারও কোনো শব্দ আমার বা ইনকিলাবের নয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জিয়াউর রহমান সম্পর্কে যা বলেছেন এবং বার্তা সংস্থা ইউএনবি সেটি যেভাবে পরিবেশন করেছেন আমরা তার অনুবাদ বা ভাবানুবাদ করেছি। বিএনপির রাজনীতিতে প্যারাডাইম শিফ্ট বলে যা বলা হয়েছে, সেটি কতখানি সত্য সেটি সময় বলবে। এ ব্যাপারে আমাদের সুনির্দিষ্ট কোনো মন্তব্য নাই। তবে বাংলাদেশের রাজনীতিতে গত বছরের শেষ প্রান্তিকে এবং এ বছরের প্রথম প্রান্তিকে যা কিছু ঘটেছে সেগুলো রাজনীতিতে একটি বড় ধরণের পরিবর্তনের ইঙ্গিত। তিনটি দিবস অর্থাৎ ২ মার্চ, ৩ মার্চ ও ৭ মার্চ পালন করলেই রাজনৈতিক আদর্শে বিশাল পরিবর্তনের ইঙ্গিত বহন করে না। একথা যেমন সত্য, তেমনি তার বিপরীতটাও তেমন সত্য। বিএনপি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে ৭০ দশকের শেষ দিকে। তারপর ৪০ বছর পার হয়ে গেছে। এই ৪০ বছরে বিএনপি ঐ ৩টি দিবস পালন করেনি। মির্জা ফখরুল বলেছেন, এই তিনটি দিবস ইতিহাসের অংশ। সেই অংশ তো আগেও ছিল। তখন কেন পালন করা হয়নি, আর আজ কেন পালন করা হচ্ছে সেটি নিয়ে কারো মনে যদি কোনো প্রশ্নের উদয় হয় তাহলে তাকে তেমন একটা দোষ দেওয়া যায় না।
পাঁচ
বাংলাদেশের স্বাধীনতা ১৭ কোটি মানুষের অহংকার। স্বাধীনতা ৫০ বছর টিকলো। আরো বহু শতবর্ষ টিকবে। সেটি বাংলাদেশীদের একটি প্রত্যাশা। তাই স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তিতে তথা সুবর্ণ জয়ন্তীতে প্রতিটি বাংলাদেশীই খুশি এবং গর্বিত। তাই আওয়ামী লীগ ছাড়া অন্য কোনো দল যদি স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী পালন করে তাহলে তার মধ্যে ষড়যন্ত্রের গন্ধ পাবো কেন?
ইংরেজী দৈনিকটির রিপোর্টে বলা হয়েছে, বিএনপি যদি জামায়াতের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করে তাহলে দলটি নাকি লাভবান হবে। জামায়াতের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করা বা না করা বিএনপির নিজস্ব ব্যাপার। সেই ব্যাপারে অগ্রীম কোনো মন্তব্য আমরা করবো না। তবে জামায়াতের সাথে জোট বাঁধলে যারা আওয়ামী লীগ বিরোধী কিন্তু জামায়াতের কারণে বিএনপির কাছে আসতে পারছে না এরা কারা? ২০১৮ সালে ইলেকশনের আগে বিএনপির সাথে জোট বা ফ্রন্ট বেঁধেছিল বেশ কয়েটি দল, যারা ইসলামী নয়। বরং তারা সেক্যুলার। এরা হলো ড. কামাল হোসেনের গণফোরাম, আ স ম আব্দুর রবের জেএসডি, মাহমুদুর মান্নার নাগরিক ঐক্য এবং কাদের সিদ্দিকীর কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ। কাদের সিদ্দিকীর দল ঐক্যফ্রন্ট থেকে বেরিয়ে গেছে। জাসদ এবং নাগরিক ঐক্য এখনো বিএনপির সাথেই আছে। তারা তো কোনো সময় এরকম শর্ত দেয়নি যে, বিএনপিকে জামায়াতের সাথে সম্পর্ক ত্যাগ করতে হবে। তাহলে আর কারা থাকলো?
হ্যাঁ, বাইরে আছে বামপন্থীরা। বামপন্থীরা বলতে বোঝায় মোজাহেদুল ইসলাম সেলিমের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) এবং বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল বা বাসদ। শুনতে অপ্রীতিকর শোনাবে, কিন্তু বাস্তব হলো এই যে, এরা তো জনবিচ্ছিন্ন দল। সিপিবিকে দেখছি সেই পাকিস্তান আমল থেকে এবং বাংলাদেশ আমলেও। আগে মস্কোতে বৃষ্টি বৃষ্টি হলে সিপিবি বাংলাদেশে ছাতা মেলতো। এখন দিল্লিতে বৃষ্টি হলে এখানে ছাতা মেলে। এরা বিএনপির সাথে এলে বিএনপির তেমন কোনো ক্ষাতি বৃদ্ধি হবে না। বরং জনগণ তখন মনে মনে ভাববে, বিএনপি কি সত্য সত্য কেবলা পরিবর্তন করেছে? আর বাসদ? বাংলাদেশের রাজনীতিতে এটি এখনও গননার মধ্যে আসেনি।
Email: [email protected]
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।