Inqilab Logo

শুক্রবার, ২৪ মে ২০২৪, ১০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১৫ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

দেড়যুগ পর মায়ের সঙ্গে দেখা

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১১ মার্চ, ২০২১, ৪:০৪ পিএম

দেড়যুগ পর মায়ের সঙ্গে দেখা হল ভারতের মূক-বধির কন্যা গীতার। ভুল করে শৈশবে সীমান্ত পার করে পাকিস্তানে চলে গিয়েছিল সে। মাকে খুঁজে পাওয়ার চেষ্টা শুরু তখন থেকেই। শারীরিক অক্ষমতার কারণেই ১৮ বছর সময় লেগে গেল মা-মেয়ের সাক্ষাতে।

গীতাকে পাকিস্তান থেকে ভারতে ফিরিয়েছিলেন তৎকালীন পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ। ২০১৫ সালে। এমনকি দেশে ফেরার পরও গীতা যাতে তার পরিবার খুঁজে পান, সে ব্যাপারে তখন নিজে উদ্যোগী হয়েছিলেন অধুনা প্রয়াত সুষমা। যদিও বারবার ব্যর্থ হন। গীতা কিন্তু হাল ছাড়েননি। দেশে ফিরে মা-বাবাকে খোঁজার চেষ্টা করে গিয়েছেন। যখন যেখানে খবর পেয়েছেন, ছুটেছেন। কিছুদিন আগেই জানতে পারেন, মহারাষ্ট্রে রয়েছে তার পরিবার। নয়গাঁও গ্রামে থাকেন তারা। খবর পেয়েই চলে যান গীতা। মাকে চিনতেও পারেন। তবে নিশ্চিত হতে মা এবং মেয়ের ডিএনএ পরীক্ষা করানো হয়। তাতে উতরে গিয়েছেন দু’জনেই।

গীতার পরিবারকে খুঁজে পাওয়ার খবর দিয়েছেন পাকিস্তানের এক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার কর্ণধার বিলকিস ইধি। পাকিস্তানের ইধি ট্রাস্টের কর্ণধার বিলকিস টানা ১২টা বছর মায়ের মতো আগলেছেন গীতাকে। তার ট্রাস্টই দেখভাল করেছে গীতার। সেই ২০০৩ সাল থেকে। এমনকী ‘গীতা’ নামটিও তারই দেয়া। সেই বিলকিসকেই দিন ক’য়েক আগে সুখবরটি দেন গীতা। পাকিস্তানের সংবাদপত্র ডন-কে দেয়া সাক্ষাৎকারে বিলকিস বলেন, ‘খুব খুশি। এই সপ্তাহান্তেই গীতার সঙ্গে কথা হয়েছিল আমার। তখনই নিজের মা’কে খুঁজে পাওয়ার কথা বলে গীতা। ওরা মহারাষ্ট্রের নয়গাঁও গ্রামে থাকেন।’

করাচির রেলস্টেশনে ১২ বছরের গীতাকে খুঁজে পেয়েছিলেন বিলকিস। তারপর থেকে ১২ বছর তার কাছে, তার ট্রাস্টের অধীন ইধি সেন্টারেই থেকেছেন গীতা। ১২ বছরের কিশোরীর নাম প্রথমে ‘ফাতিমা’ রেখেছিলেন তিনি। পরে যখন জানতে পারেন, সে হিন্দু কন্যা, তখন নাম বদলে ‘গীতা’ রাখেন। সেই গীতা ১৮ বছর পর জানলেন, আসলে তার নাম ‘রাধা’। রাধা ওয়াঘমারে। নয়গাঁওয়ে এখন শুধুই মা থাকেন তার। বাবা মারা গিয়েছেন বছর ক’য়েক আগে। মা বিয়ে করেছেন আবার। পরিবারের সঙ্গেই আপাতত থাকছেন গীতা ওরফে রাধা। বিলকিস জানিয়ছেন, তার কাছে মেয়ের মতোই গীতা। সে যে তার পরিবারকে খুঁজে পেয়েছে, তাতেই তিনি খুশি। সূত্র: ডন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: পাকিস্তান-ভারত


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ