Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

শুধু মা-বাবার সঙ্গে বাড়ি যাওয়ার বায়না ধরেছিল শিশুটি! (ভিডিও)

অনলাইন ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১০ মার্চ, ২০২১, ১২:৫৪ পিএম | আপডেট : ১:০৫ পিএম, ১০ মার্চ, ২০২১

চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে এক মাদরাসায় শিশু শিক্ষার্থীকে নির্মম নির্যাতন করা হয়েছে। নির্যাতনের ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে প্রতিবাদের ঝড় উঠে। মঙ্গলবার (৯ মার্চ) থেকে হাজার হাজার মানুষ ওই ভিডিও শেয়ার করেন।

জানা গেছে, হাটহাজারীর পৌর এলাকার এক মাদরাসার হিফজ বিভাগের এক শিশু শিক্ষার্থীকে তার মা পারভিন আক্তার ও বাবা মোহাম্মদ জয়নাল মাদরাসায় দেখতে যান। কিন্তু ফেরার সময় ছোট্ট শিশুটি মা-বাবার সঙ্গে বাড়ি যাওয়ার বায়না ধরে। এক পর্যায়ে সে মা-বাবার পিছু পিছু মাদরাসার মূল ফটকের বাইরে চলে আসে।

আর এতেই ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন মাদরাসার এক শিক্ষক। মা-বাবার সঙ্গে মূল ফটকের বাইরে কেন গিয়েছে শুধু এই কারণে শিশুটিকে বেত দিয়ে বেধড়ক পেটাতে থাকেন। আর শিশুটি বাঁচার আকুতি জানাতে থাকে। তারপরেও ক্ষান্ত হননি ইয়াহিয়া। অনবরত চলে তার পিটুনি।

এ সময় শিক্ষার্থীদের কেউ একজন ওই ঘটনার ভিডিও ফেসবুকে আপলোড করলে, নির্মম নির্যাতনের প্রতিবাদে সরব হয়ে উঠেন নেটিজেনরা।

এই ভিডিও ফেসবুকে শেয়ার করে মোজাম্মেল হক চৌধুরী লিখেন, ‘এসব শিক্ষক নামধারীরা মানুষ না পশু? এরা কি মানুষ গড়ার কারিগর না মানুষ মারার কারিগর? এই নিরীহ শিশু বাচ্চাটির উপর তার এত রাগ, এত ক্রোধ কেন?’

ফেসবুক ব্যবহারকারী সাজ্জাদ মাহমুদ লিখেন, ‘ছাত্র দোষ করলে এভাবে মারধর কখনো শাসন হতে পারে না। এখানে যা করা হচ্ছে তা পুরোপুরি জুলুম। কর্তৃপক্ষের উচিত যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া।’ তারিক নামে একজন লিখেন, আমরাও মাদ্রসায় পড়েছিলাম, আমাদের ওস্তাদগণ এত পাষণ্ড ছিলেন না!!

এ বিষয়ে জানতে চাইলে হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুহুল আমিন গণমাধ্যমকে বলেন, ‘স্থানীয় একজন শিশুটিকে প্রহারের ঘটনা আমাকে জানান। ইতোমধ্যে বিষয়টা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে যায়। আমি তাৎক্ষণিক হাটহাজারী থানার একটা টিম নিয়ে ঘটনাস্থলে চকলেট নিয়ে যাই। বাচ্চাটির সঙ্গে কথা বলি এবং অভিযুক্ত শিক্ষককে আটক করি। তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করব এমন সময় ছাত্রের বাবা-মা এসে কান্নাকাটি করেন এবং শিক্ষককে ক্ষমা করে দিয়েছেন বলে জানান।’

ভিডিওটি দেখতে এখানে ক্লিক করুন-

 



 

Show all comments
  • মোঃ দুলাল মিয়া ১০ মার্চ, ২০২১, ৩:০২ পিএম says : 0
    এই সময় আমি যদি ঘটনার সময় থাকতাম,এই বেয়াদপ ওস্তাদকে উচিত শিক্ষা দিতাম।
    Total Reply(0) Reply
  • Maksudur Rahman ১০ মার্চ, ২০২১, ৩:৩৯ পিএম says : 0
    We think this is the time the Madrasas should think about their teachers qualification, behavior, manners etc. I believe Islam never allows such cruelty on kids and children in the name of teaching, its never.
    Total Reply(0) Reply
  • Maksudur Rahman ১০ মার্চ, ২০২১, ৩:৪৯ পিএম says : 0
    The parents are equally liable for this kind of cruelty on children. In fact our overall society is very much barbaric, cruel and uncivilized. This is a shame for all of us.
    Total Reply(0) Reply
  • শফিকুল ইসলাম ১০ মার্চ, ২০২১, ৪:২০ পিএম says : 0
    এধরনের অত্যাচার ইসলামের নামে খুব ভাল বা মহৎকর্ম হিসেবে ধারনা দেওয়া হয়।মূলতঃ এরা ইসলামের উন্নত দর্ষণটাই বুঝেনা।আর এদিকে আমরা এদেরকে ইসলামের পন্ডিত জ্ঞান করে বসে আছি।
    Total Reply(0) Reply
  • Mohammad Ishaque Ahmed ১০ মার্চ, ২০২১, ৫:০১ পিএম says : 0
    He don't know how should be convince children, should hand over to police this teacher immediately.
    Total Reply(0) Reply
  • Nahid parvez ১০ মার্চ, ২০২১, ১১:২১ পিএম says : 0
    উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাকে ছেড়ে দিলও কেনো ওর বাবা মা এসে কান্না কাটি করছে বাচ্চার ভয়ে পরে আরো কোন আত্যাচার করে কিনা। অন্য জেলার অন্য মাদ্রাসাই এই রকম অত্যাচার করবে না তার কোন নিশ্চয়তা আছে। তার বিরুদ্ধে অবশ্যই আইন অনুাগ ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। দয়া করে উত্তর দিবেন
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: নির্যাতন


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ