Inqilab Logo

রোববার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সিটিকে হারিয়েও অস্বস্তিতে ম্যানইউ

স্পোর্টস ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৯ মার্চ, ২০২১, ১২:০০ এএম

দল পেয়েছে দুর্দান্ত এক জয়। টানা ২১ ম্যাচ জয়ের পর নগর প্রতিদ্ব›দ্বী ম্যানচেস্টার সিটিকে হারের বিস্বাদ উপহার দিয়েছে ২-০ ব্যবধানে। এরপরেও কোচ ওলে গুনার সুলশারের সরল স্বীকারোক্তি, ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড নেই শিরোপার লড়াইয়ে! থাকবে কী করে? দলটা যে এখনো পিছিয়ে আছে ১১ পয়েন্টে! ইউনাইটেডকে যদি লিগ জিততেই হয় তাহলে পেপ গার্দিওলার সিটিকে হারতে হবে কমপক্ষে চার ম্যাচে। কোচ সুলশার তাই পরের চিন্তা ছেড়ে নিজের চরকায় তেল দেয়ায় মনোযোগী হতে বললেন দলকে।

টানা ২১ জয় তুলে এ ম্যাচে আসা ‘ইররেজিস্ট্যাবল ফোর্স’ যদি ম্যানচেস্টার সিটি হয়, তবে টানা ২১ ম্যাচে অপরাজিত থাকা ম্যানইউ ছিল ‘ইমমুভেবল অবজেক্ট’। এই ‘ইররেজিস্ট্যাবল ফোর্স প্যারাডক্সে’ শেষমেশ জয়টা হলো শেষোক্ত শক্তির, ইউনাইটেডের। তাতে তাদের অপরাজেয় যাত্রাটা টিকে রইলো, বেড়ে গেল আরো এক ম্যাচ। রক্ষণ সামলে পরে আক্রমণ- বড় ম্যাচে কোচ সুলশারের কৌশল চলতি মৌসুমে কাজে দিচ্ছে বেশ। ব্রুনো ফের্নান্দেজের পেনাল্টি থেকে তুলে নেওয়া গোলটার পরও ছাপ পড়ল সেই কৌশলের। তবে বিরতির একটু পরে রদ্রি প্রায় সমতা ফিরিয়েই ফেলেছিলেন, বার-পোস্টের কোনায় শটটা প্রতিহত না হলে। এরপরই ম্যাচের সব অনিশ্চয়তা মুছে দেন লুক শ। মার্কাস র‌্যাশফোর্ডের সঙ্গে বল দেওয়া নেওয়া করে নিচু এক শটে পরাস্ত করেন এডারসনকে। নভেম্বরে টটেনহ্যামের কাছে হারের পর সিটির টানা ২৮ ম্যাচ অপরাজিত থাকার দর্পও চূর্ণ হয় তাতে।
এ জয়টা ইউনাইটেডের জন্য আরও এক কারণেও গুরুত্বপূর্ণ দলটির। শেষ তিন ম্যাচেই যে গোল পেতে ব্যর্থ হয়েছিল রেড ডেভিলরা! তবে এরপরও অবশ্য ইউনাইটেড সিটির চেয়ে পিছিয়ে আছে ১১ পয়েন্টের ব্যবধানে। তাই শিরোপার চিন্তা আপাতত ভাবনাতেই আনছেন না সুলশার, ‘তারা আপনার চেয়ে এত দূরে যে আপনি কিছু ভাবতেই পারবেন না। কিন্তু নিজেদের জয়গুলো তুলে নিয়ে চলতি মৌসুমটাকে গেল বছরের চেয়ে ভালো করার চেষ্টা করা যেতেই পারে। গেল মৌসুমে আমরা মৌসুমে পয়েন্ট তালিকার তৃতীয় স্থানে ছিলাম। আর আমরা এবার তালিকায় একটু উপরে উঠতে চাই।’
একই রাতে ইতিহাসে প্রথমবারের মতো নিজেদের মাঠে টানা ছয় ম্যাচে হারের কবলে পড়েছে লিভারপুল। যার শেষটি এসেছে অবনমন অঞ্চলের দল ফুলহ্যামের বিপক্ষে, অল রেডরা হেরেছে ১-০ গোলে। নিজেদের মাঠে বার্নলি, ব্রাইটন, ম্যানচেস্টার সিটি, এভারটন আর চেলসির কাছে হেরে এ ম্যাচে পা রেখেছিল দলটি। প্রতিপক্ষ অবনমন অঞ্চলের দল ফুলহ্যাম ছিল বলেই হয়তো খরা কাটানোর আশা ছিল ক্লপের দলের। ইতিহাসও কথা বলছিল লিভারপুলের পক্ষে। তবে খেলাটা তো দিনশেষে হয় মাঠেই। সে লড়াইয়েই হেরে বসল লিভারপুল। ৪৫ মিনিটে মারিও লেমিনার গোলটিই গড়ে দেয় ম্যাচের ফলাফল। তাতে ঘরের মাঠে টানা ষষ্ঠ হারের কবলে পড়ে দলটি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ম্যানইউ


আরও
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ