পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্বাধীনতার ৫০ বছরেও ইসলামের বৃক্ষ সমৃদ্ধি লাভ করতে পারেনি। ওরা আলেম ওলামাদের সিঁড়ি হিসেবে ব্যবহার করে রাষ্ট্রক্ষমতায় যায়। দেশের ওলামা মাশায়েখরা ঐক্যবদ্ধ হতে পারলে ক্ষমতাসীনরাই আলেমদের পিছু হাঁটবে। বাংলাদেশে ইসলাম বিদ্বেষীদের উৎপাত দিন দিন বাড়ছে।
সাধারণ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে ৯৯% ছাত্র ছাত্রী নাস্তিক্যমনা হয়ে বের হচ্ছে। কিছু দিন আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে নাস্তিক মুরতাদদের অনুসারিরা জাতীয় হিযাব দিবসের ব্যানার ছিনিয়ে নিয়ে ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলনের ছাত্রদের রক্তাক্ত করেছে। আজ শনিবার দুপুরে কাকরাইলস্থ ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে জাতীয় ওলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদ আয়োজিত জাতীয় ওলামা মাশায়েখ সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাই এসব কথা বলেন।
সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি আল্লামা নূরুল হুদা ফয়েজীর সভাপতিত্বে এতে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, ইসলামী আন্দোলনের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও জমিয়াতুল মোদারর্ছেনীর শীর্ষ নেতা প্রিন্সিপাল আলহাজ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানী, সিনিয়র নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ ফয়জুল করীম, প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন, মাওলানা নেয়াত উল্লাহ আল ফরিদী, মাওলানা মুশতাক আহমদ, মাওলানা আব্দুল হক আযাদ, উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালেদ হোসাইন, মাওলানা শেখ ফজলে বারি মাসউদ, ও মাওলানা আব্দুর হালিম। সম্মেলনে ১৫ দফা ঘোষণা পাঠ করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা গাজী আতাউর রহমান।
পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, ওলামা মাশায়েখদের মধ্যে চিন্তার বেদধান থাকতেই পারে। তিনি ওলামাদের উদ্দেশ্যে বলেন, আমাদের মধ্যে ভুলত্রুটি হলে ধরিয়ে দিবেন। অন্যথায় দেশ জাতির ক্ষতি হয়ে যাবে। পীর সাহেব বলেন, দুনিয়া ও আখেরাতের কল্যাণের জন্য এক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।
প্রিন্সিপাল আলহাজ সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানী বলেন, ওলামা মাশায়েখদের শুধু মসজিদ মাদরাসার লিডার হলে হবে না;জাতীয় সংসদ এবং রাষ্ট্রীয় পদমর্যাদায় লিডার হতে হবে। তিনি বলেন, কাঁদা ছোঁড়াছুড়ি পরিহার করে শরীয়তের আইন প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে বিজয়ী হতে হবে।
মুফতি ফয়জুল করীম বলেন, আমাদের মধ্যে হাছাদ অনেক বেশি। যদি নবী করীম (সা.) চরিত্রে চরিত্রবান হলে পারলে বিজয় আসবেই ইনশাআল্লাহ।
অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন বলেন, জাতির পথ প্রদর্শকের ভূমিকা পালন করতে হবে ওলামা মাশায়েখদের। দেশ চলছে কুফরি মতবাদের ভিত্তিতে। বিভ্রান্ত জাতিকে আলোর পথ দেখাতে আলেম ওলামাদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে।
ড.আ ফ ম খালেদ হোসাইন বলেন, ৮শ ’বছর আগেও এ দেশে আযান দিতে দেয়া হয়নি। দাঁড়ি রাখলে কর দিতে হতো। তিনি বলেন, আলেম ওলামা পীর মাশায়েকদের নিরলস খেদমতের বিনিময়ে শিরক বিদআতের দেশ আজ তৌহিদবাদী দেশে পরিণত হচ্ছে। ইসলাম প্রতিষ্ঠার আন্দোলনের সকল প্রকার দ্বন্দ কলোহ পরিহার করে ঐক্যবদ্ধ হতে পারলে তাগুতি শক্তি পরাভূত হবে ইনশাআল্লাহ।
মাওলানা আব্দুল হালিম বলেন, আলেমরা আল্লাহর নির্বাচিত বান্দা। নায়েবে নওবুয়তের দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করতে পারলে ইসলামের বিজয় আসবেই ইনশাআল্লাহ।
মাওলানা আব্দুল হক বলেন, আলেম ওলামাদের রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে ইমামতি করার যোগ্যতা অর্জন করতে হবে।
মাওলানা নেয়াত উল্লাহ ফরিদী বলেন, রাসুল (সা.) যতদিন জীবিত ছিলেন ততদিন উম্মতের দায়িত্ব পালন করে গিয়েছিলেন। তিনি বলেন, ওলামা মাশায়েখদের মাঠে নেমে আসতে হবে। তিনি বলেন, ধৈর্য ও হিকমতের মাধ্যমে ঐক্যবদ্ধ হতে পারলে আগামীর বাংলাদেশ হবে ইসলামের বাংলাদেশ।
পীর সাহেব ২০২১-২০২২ সনের জন্য সংগঠনের সভাপতি আল্লামা নূরুল হুদা ফয়েজী ও সাধারণ সম্পাদক মাওলানা গাজী আতাউর রহমানের নাম ঘোষণা করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।