বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সকল মহলে একটি কালো আইন হিসাবে গণ্য হওয়ায় এবং এ কালো আইন দিয়ে সরকার মুক্তচিন্তা ও স্বাধীন মত প্রকাশকে বন্ধ করার জন্য ব্যবহার করছে। অনতিবিলম্বে এ কালো আইন বাতিল সহ লেখক মোশতাক আহমেদের হত্যার সুষ্ঠু তদন্ত এবং কার্টুনিস্ট কিশোরের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলা প্রত্যাহারের দাবী জানান হয়েছে বরিশালের সমাবেশে থেকে। ঢাকায় সাত ছাত্র নেতা ও শ্রমিক নেতা রুহুল আমিন সহ এই আইনে আটককৃতদের নিঃশর্ত মুক্তির দাবীতে সংহতি সমাবেশ করেছে বরিশালের বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা। বৃহস্পতিবার নগরীর প্রাণকেন্দ্র সদর রোডে এই কর্মসূচি পালন করা হয়।
বরিশাল জেলা ছাত্র ইউনিয়নের সহ-সভাপতি কিশোর বালার সভাপতিত্বে সংহতি সমাবেশে সমর্থন জানিয়ে বক্তব্য রাখেন জেলা গণফোরাম সভাপতি হিরন কুমার দাস মিঠু, ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের সাধারন সম্পাদক একে আজাদ, কমিউনিস্ট পার্টি সাধারন সম্পাদক অধ্যাপক দুলাল মজুমদার,গণ সংহতি আন্দোলনের আহবায়ক দেওয়ান আব্দুর রসিদ নিলু, ওয়ার্কার্স পার্টি সদস্য মোজাম্মেল হক ফিরোজ, বরিশাল সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলন সদস্য সচিব কাজী এনায়েত হোসেন শিপলু, বরিশাল মহানগর ছাত্র অধিকার পরিষদ সাধারন সম্পাদক নাঈম ফারুকি মুন্না, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী অদিতি ও সংবাদ কর্মী মনিরুজ্জামান মনির প্রমুখ।
সমাবেশে বক্তারা বলেন,মানুষের জীবনের নিরাপত্তা দেয়ার নাম করে সরকার নিজেদের রক্ষার জন্য আইনের মারপ্যাঁচে পুলিশকে ব্যবহার করে মানুষের বাক স্বাধীনতা হরণ করা সহ তাদের হত্যা করার মধ্যে দিয়ে জীবন কেড়ে নিচ্ছে। বক্তাগন দৈনিক যুগান্তর বরিশাল ব্যুরো প্রধান আখতার ফারুক সহ সকল সাংবাদিক ও বুদ্ধিজীবীদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত ডিজিটাল কালো আইনের মিথ্যা মামলাগুলো প্রত্যাহার সহ কারা বন্দিদের মুক্তির দাবী জানান। সমাবেশে বক্তাগন আগামী ২৬ই মার্চের আগে এ কালো আইন বাতিল করা নাহলে সারা দেশে ছাত্র জনতা ঐক্যবদ্ধভাবে কঠোর আন্দোলনে যেতে বাধ্য হবে বলে ঘোষণা দেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।