পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
চিকিৎসায় অবহেলার কারণে সাড়ে চার বছরের শিশু মির্জা অরুনিমা শাহপার (অহনা)র মৃত্যুর ঘটনায় দুই ডাক্তারকে অব্যাহতি দেয়ার আদেশ বাতিল করেছেন হাইকোর্ট। রুলের চূড়ান্ত শুনানি শেষে গতকাল মঙ্গলবার বিচারপতি একেএম আব্দুল হাকিম এবং বিচারপতি ফাতেমা নজিবের ডিভিশন বেঞ্চ এ আদেশ দেন। অহনার বাবা স্থপতি মির্জা শাহপার জলিলের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার খান খালিদ আদনান। স্কয়াল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কৌঁসুলি ছিলেন অ্যাডভোকেট বাকির উদ্দিন ভুইয়া।
ব্যারিস্টার খান খালিদ আদনান আদেশের বিষয়ে জানান, শিশু অহনা ব্রেন টিউমারে আক্রান্ত হয়ে ২০১৩ সালের ২৩ আগস্ট মৃত্যু বরণ করে। তার বাবা স্থপতি মির্জা শাহপার জলিল তার মেয়েকে বাঁচাতে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন। পরে ওই বছরের ১৫ আগস্ট দেশের প্রথিতযশা বেসরকারি হাসপাতাল স্কয়ায়ের ভর্তি করান। এক পর্যায়ে অবস্থার অবনতি হলে ১৭ আগস্ট তাকে ব্যাংককের সামিতিভেজ শ্রীনাকারিন শিশু হাসপাতালে স্থানান্তর করেন। স্কয়ার হাসপাতালে অহনার ভিপি শান্ট অপারেশনের পর আড়াই দিনেও তারা শিশুটির ব্রেনের পোস্ট অপারেটিভ অবস্থা জানার জন্য সিটি স্ক্যান অথবা এমআরআই করেনি। অথচ এরপর অহনাকে ব্যাংককের হাসপাতালে ভর্তির পরপরই লাইফ সাপোর্টে থাকা অবস্থায় তারা সিটি স্ক্যান করেছিল, যাতে অহনার দুটি ব্রেন হ্যামারেজ ঘটেছে বলে জানায় ওই হসপিটালের ডাক্তার। যদিও পরবর্তীতে অহনাকে আর বাঁচানো সম্ভব হয়নি।
বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলাপের পর অহনার বাবা বুঝতে পারেন, স্কয়ার হাসপাতালে অহনার চিকিৎসায় অবহেলায় মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় মির্জা শাহপার জলিল বাদী হয়ে ২০১৫ সালের ১১ জানুয়ারি ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. কাজী নওশাদ উন-নবী, ডা. মো. মাসুদুর রহমান, অধ্যাপক ডা. সানোয়ার হোসেন ও স্কয়ার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে আসামি করে ফৌজদারি দন্ডবিধির ৩০৪ ক/৩৪ ধারায় চিকিৎসায় অবহেলার অভিযোগে মামলা করেন।
ডা. মো. মাসুদুর রহমান ওই সময় স্কয়ার হাসপাতালের শিশু বিভাগ ও পিআইসিইউ কনসালট্যান্ট হিসেবে কর্মরত ছিলেন এবং অধ্যাপক ডা. সানোয়ার হোসেন স্কয়ার হাসপাতালের চিকিৎসা সেবা বিভাগের পরিচালকের দায়িত্বে ছিলেন।
ম্যাজিস্ট্রেট আদালত বাদীর অভিযোগের সত্যতা যাচাই করতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) তৎকালীন ভিসিকে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নির্দেশ দেন। এই আদেশের অন্তত দেড় বছর পর সংশ্লিষ্ট তদন্ত কমিটি একটি প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করে। প্রতিবেদনে বলা হয়, উল্লিখিত কারণে ভুক্তভোগী মৃত্যুর জন্য কে দায়ী কিংবা আদৌ দায়ী কি না তার পূর্ণাঙ্গ মতামত দেয়া সম্ভব নয়। এ ধরণের তদন্ত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে ম্যাজিস্ট্রেট ডা. কাজী নওশাদ উন-নবীর বিরুদ্ধে অভিযোগ আমলে নিয়ে বাকিদের অব্যাহতি প্রদান করেন। এই আদেশের বিরুদ্ধে সংক্ষুব্ধ হয়ে বাদী মহানগর দায়রা জজ আদালতে রিভিশন মামলা করেন। পরে সেটি খারিজ করে দেন আদালত। ওই খারিজ আদেশের বিরুদ্ধে ২০১৭ সালে হাইকোর্টে একটি আবেদন করেন তিনি। আদালত শুনানি গ্রহণ শেষে মামলা থেকে দুই ডাক্তারের অব্যাহতির সিদ্ধান্ত কেন বাতিল করা হবে না-এই মর্মে রুল জারি করেন। গত ৩ ফেব্রুয়ারি ওই রুলের চূড়ান্ত শুনানি হয়। শুনানি শেষে গতকাল উপরোক্ত আদেশ দেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।