মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
শিনজিয়াংয়ে সংখ্যালঘু উইঘুরদের উপরে গণহত্যা চালানোর অভিযোগ প্রত্যাখান করেছে চীন। সেখানে কখনোই কোনো গণহত্যা, বাধ্যতামূলক শ্রম ও ধর্মীয় নিপীড়নের ঘটনা ঘটেনি বলে জানিয়েছেন চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই। সোমবার জেনেভায় জাতিসংঘ মানবাধিকার কাউন্সিলে দেওয়া বক্তৃতায় তিনি এ দাবি করেন।
বেইজিংয়ের দাবি, তাদের দেশে যথেষ্ট ধর্মীয় স্বাধীনতা ও শ্রম আইন রয়েছে। ফলে উইঘুর মুসলিমরা সমস্ত নাগরিক অধিকার নিয়ে ভাল রয়েছেন। সংখ্যালঘু কতটা ‘সুরক্ষিত’, সেই কথা বোঝাতে জাতিসংঘের প্রতিনিধিদের সরেজমিনে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখার আমন্ত্রণ জানিয়েছে চীন। চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘উইঘুর মুসলিম অধ্যুষিত শিনজিয়াং প্রদেশে সন্ত্রাসবাদীদের বিরুদ্ধে অভিযান চলছে। এবং গোটা প্রক্রিয়া যথাযথ আইন মেনেই চলছে। সেখানে বিগত চার বছরে কোনও বড় ধরনের সন্ত্রাসবাদী হামলা হয়নি। শিনজিয়াংয়ে সামাজিক স্থিতিশীলতা ও উন্নয়নের সাক্ষী উইঘুর মুসলিমরা। এসব থেকে সাফ বোঝা যায় যে সেখানে গণহত্যা, বন্দিশিবিরে জোর করে কাজে বাধ্য করা ও ধর্মীয় নিপীড়নের অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। এমন অভিযোগ চীনের ভাবমূর্তিকে কালিমালিপ্ত করতে আনা হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘শিনজিয়াংয়ের দরজা সবসময় খোলা আছে। বিভিন্ন দেশ থেকে আসা লোকজন যারা শিনজিয়াং পরিদর্শন করেছেন প্রকৃত ঘটনা এবং সত্য জেনেছেন। হাই কমিশনার ফর হিউম্যান রাইটসকে (জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক প্রধান মিশেল বাচেলেত) শিনজিয়াং পরিদর্শনে স্বাগত জানাচ্ছে চীন।’ ওই অঞ্চলে বসবাসকারী মুসলিম উইঘুর ও অন্যান্য সংখ্যালঘু জাতিগোষ্ঠী ধর্মীয় স্বাধীনতাসহ অন্যান্য মৌলিক অধিকার ভোগ করছে দাবি করেন তিনি। সেখানে ২৪ হাজার মসজিদ আছে বলেও জানান তিনি।
উল্লেখ্য, চীন সরকার শিনজিয়াং অঞ্চলে উইঘুর ও অন্যান্য মুসলিম জাতিগত সংখ্যালঘুদের ওপর ব্যাপক-মাত্রায় নিপীড়ন চালিয়ে ‘গণহত্যা’ এবং মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ করছে বলে ঘোষণা করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন। কয়েকদিন আগে বিবিসির এক রিপোর্টে দাবি করা হয়, বন্দিশিবিরে থাকা মুসলিম মহিলাদের উপর পরিকল্পনা করে ধর্ষণ ও যৌন নির্যাতন চালাচ্ছে চীন। সেই রিপোর্টকে ঘিরে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে চীন সবসময়ই এই ধরণের অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে। সূত্র: পাকিস্তান ট্রিবিউন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।