নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
ঘরোয়া ফুটবলের সর্বোচ্চ আসর বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) ম্যাচ ফিক্সিং হয়েছে। এমন অভিযোগ তুলে সম্প্রতি এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশন (এএফসি) চিঠি দিয়েছিল বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনকে (বাফুফে)। এএফসি চলমান বিপিএলের পাঁচটি ম্যাচ নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছে। যার মধ্যে আরামবাগ ক্রীড়া সংঘের তিনটি এবং ব্রাদার্স ইউনিয়নের দু’টি ম্যাচ রয়েছে। আরামবাগের যে তিনটি ম্যাচ নিয়ে এএফসি সন্দেহ প্রকাশ করেছে, সেগুলোতে তাদের প্রতিপক্ষ ছিল ঢাকা আবাহনী লিমিটেড, শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্র ও মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব। আর সন্দেহের তালিকায় থাকা ব্রাদার্সের দুই ম্যাচের প্রতিপক্ষ হলো বসুন্ধরা কিংস ও ঢাকা আবাহনী লিমিটেড।
ম্যাচ ফিক্সিংয়ের ঘটনা এএফসি’র কাছ থেকে জেনে বাফুফে ১৮ ফেব্রুয়ারি ব্যাখ্যা চেয়ে চিঠি দিয়েছিল আরামবাগ ও ব্রাদার্সকে। ক্লাব দু’টির কাছ থেকে প্রথম দফার উত্তর পেয়ে তা এএফসিকে পাঠালেও তারা আরও বিস্তারিত জানতে চেয়ে চিঠি দিয়েছে বাফুফেকে। এখন প্রশ্ন হচ্ছে আরামবাগ ও ব্রাদার্সের বিরুদ্ধে ম্যাচ পাতানোর অভিযোগ উঠলেও কেন ধরা-ছোঁয়ার বাইরে থাকছে ক্লাব দু’টির প্রতিপক্ষরা?
পাতানো ম্যাচ মানেই দুই পক্ষের সমঝোতার ফল। তাহলে চলমান বিপিএলের যে পাঁচ ম্যাচ নিয়ে প্রশ্ন উঠলো সেখানে কেবল ব্রাদার্স আর আরামবাগকে কেন অভিযুক্ত করা হলো? এই পাঁচ ম্যাচের সঙ্গে তো যুক্ত বসুন্ধরা কিংস, আবাহনী, মোহামেডান এবং শেখ রাসেলও। প্রতিপক্ষের সঙ্গে সমঝোতা না করলে কিভাবে পাতানো খেললো আরামবাগ ও ব্রাদার্স? এই প্রশ্নের উত্তরে বাফুফের সাধারণ সম্পাদক মো. আবু নাইম সোহাগ গতকাল বলেন, ‘পাতানো খেলা বিভিন্ন রকম হয়। আমরা দুই ক্লাবকে যে চিঠি দিয়েছি সেখানে পাতানো খেলা/স্পট ফিক্সিং/অনলাইন বেটিংয়ের কথা বলেছি।’ তিনি যোগ করেন, ‘বিভিন্ন সোর্স থেকে আমরা অভিযোগগুলো পেয়েছি। এর মধ্যে অন্যতম মাধ্যম হচ্ছে এএফসি। যে অভিযোগগুলো আমাদের কাছে এসেছে সেখানে আরামবাগ ও ব্রাদার্সের প্রতিপক্ষদের সম্পৃক্ততা এখনো পাওয়া যায়নি। সব অভিযোগের তীর আরামবাগ ও ব্রাদার্সের দিকেই।’
সোহাগ জানান, ফিক্সিংয়ের অভিযোগ ওঠা পাঁচ ম্যাচ নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে বাফুফে। এই সংক্রান্ত বাফুফের আলাদা কমিটি রয়েছে। তারা বিষয়টি সুচারু রুপে দেখবে। বাফুফে সচিবলায় তাদের সহযোগিতা করবে। প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট ক্লাবগুলোর কাছে আরও তথ্য চাওয়া হতে পারে। তিনি আরও বলেন, ‘এএফসি জানিয়েছে অনলাইন বেটিং শনাক্ত করতে আমাদের সহযোগিতা করতে প্রস্তুত তারা। প্রয়োজনে আমরা তাদের সহযোগিতা নেব এবং আরও যা করার করবো।’ এদিকে যে ম্যাচগুলো নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে, সেই ম্যাচের সঙ্গে সম্পৃক্ত দুই ক্লাব আরামবাগ ও ব্রাদার্স বাফুফের কাছে জানতে চেয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগগুলো কী?
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।