Inqilab Logo

মঙ্গলবার ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মাজার-পীর সিজদা করা সম্পূর্ণ হারাম : পীর ছাহেব ফান্দাউক দরবার শরীফ

মাধবপুর (হবিগঞ্জ) থেকে কে.এম শামছুল হক আল মামুন : | প্রকাশের সময় : ২০ ফেব্রুয়ারি, ২০২১, ১২:০৪ এএম

ঐতিহ্যবাহী ফান্দাউক দরবার শরীফের পীর ও বাংলাদেশ আঞ্জুমানে খাদিমুল ইসলামের আমীর আলহাজ মাওলানা মুফতী শাহ সূফী সৈয়দ ছালেহ আহমাদ মামুন বলেছেন, আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে মানবজাতির সেবা ও কল্যাণের জন্য সৃষ্টি করেছেন। হালাল খাদ্য ভক্ষণ করতে হবে। হালাল খাদ্য ভক্ষণ ছাড়া আল্লাহর নিকট কোন ইবাদত বন্দেগী কবুল হবে না। রাসূলের সুন্নতের অনুসরণ ছাড়া পারিবারিক, সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় জীবনে শান্তি আসবে না। তাই সমাজে সর্বক্ষেত্রে রাসূলের আদর্শ অনুসরণ করতে হবে।

তিনি বলেন, কোরআন শিক্ষার কোন বিকল্প নেই। সন্তানদের কোরআনের শিক্ষায় শিক্ষিত করতে হবে। নামাজ কায়েম করতে হবে। হাসরের ময়দানে সর্বপ্রথম বান্দাকে নামাজের হিসাব দিতে হবে। ইসলামের বিধি বিধান মোতাবেক জীবন পরিচালনা করতে হবে। মা বোনদের পর্দা করতে হবে। তরিকতের কাজ সঠিক নিয়মে আদায় করতে হবে। আল্লাহ যাকে ইচ্ছা রাজত্ব দান করেন এবং যাকে ইচ্ছা কেড়ে নেন। কোন মাজার ও পীর সিজদা করা যাবে না। ইহা সম্পূর্ণ হারাম, নিষিদ্ধ ও শিরক। তিনি আগামী ১২ ও ১৩ মার্চ ২০২১ ফান্দাউক দরবার শরীফের কেন্দ্রীয় ইছালে ছাওয়াব মাহফিলকে সফল ও স্বার্থক করার আহবান জানান।

তিনি গতকাল হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার ইটাখোলা সানু মিয়া ‘স’ মিল ময়দানে হযরত শাহসূফী আলহাজ সৈয়দ আব্দুস ছাত্তার নকশেবন্দী মোজাদ্দেদী ফান্দাউকী (র.) ও হযরত শাহসূফী আলহাজ সৈয়দ নাছিরুল হক (মাসুম) আল ক্বাদরী (র.) দ্বয়ের ইছালে ছাওয়াব মাহফিল উপলক্ষে ইটাখোলার সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথাগুলো বলেন। মাহফিলের আহবায়ক মো. আব্দুল আউয়াল নয়নের তত্ত্বাবধানে এবং মাওলানা আব্দুল্লাহ এনাম ও সাংবাদিক কে.এম শামছুল হক আল মামুনের পরিচালনায় মাহফিলে ওয়াজ করেন- মাওলানা চৌধুরী জামিল আহমদ যুক্তিবাদী, আলহাজ মাওলানা হাফেজ আব্দুর রহমান, মাওলানা ইব্রাহিম সিদ্দিকী, মাওলানা তাজুল ইসলাম মোজাদ্দেদী প্রমুখ। পরে পীর ছাহেব বাংলাদেশসহ মুসলিম বিশ্বের শান্তি ও রহমত এবং মহামারি করোনাভাইরাস থেকে রক্ষা ও সকলের সুস্থতা কামনা করে সর্বশক্তিমান আল্লাহর নিকট মোনাজাত করেন।

 

 

 



 

Show all comments
  • কাজী হাফিজ ২০ ফেব্রুয়ারি, ২০২১, ১:৩১ এএম says : 0
    সেজদার একমাত্র মালিক বা হকদার মহান আল্লাহ তাআলা। তিনি ছাড়া আর কাউকে সেজদা করা জায়েয নেই।
    Total Reply(0) Reply
  • কামাল রাহী ২০ ফেব্রুয়ারি, ২০২১, ১:৩২ এএম says : 0
    বর্তমান সময়ে অনেককে বলতে শোনা যায়, সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলোতে দেখা যায় একশ্রেণীর লোক ভক্তি-শ্রদ্ধার নামে পীরকে সেজদা করে। অনেকে আবার মাজারে বা দরগাহে সেজদায় লুটিয়ে পড়ে। এ ধরণের পীর বা মাজারে সেজদাকারীরা শ্রদ্ধা-ভক্তির এ সেজদাকে জায়েজও বলে থাকেন।
    Total Reply(0) Reply
  • মরিয়ম বিবি ২০ ফেব্রুয়ারি, ২০২১, ১:৩২ এএম says : 0
    সেজদা প্রসঙ্গে কুরআন এবং হাদিসে রয়েছে সুস্পষ্ট নির্দেশনা। সেজদা প্রসঙ্গে কুরআনে এসেছে- >> ‘নিশ্চয়ই সেজদার স্থানসমূহের মালিক আল্লাহ তাআলা। অতএব তোমরা তার সাথে কারো ইবাদত করো না।’ (সুরা জিন : আয়াত ১৮)
    Total Reply(0) Reply
  • গাজী ওসমান ২০ ফেব্রুয়ারি, ২০২১, ১:৩২ এএম says : 0
    কুরআন ও সুন্নাহর আলোকে বুঝা যায় যে, পীর বা মাজারে যে কোনো ধরনে সেজদা করা হারাম। কোনোভাবেই তা বৈধ নয়। হাদিসে পাকে প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সেই নির্দেশনা জারি করেছেন।
    Total Reply(0) Reply
  • বাদল বাদল ২০ ফেব্রুয়ারি, ২০২১, ১:৩৩ এএম says : 0
    আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে শুধুমাত্র তারই সেজদা করার তাওফিক দান করুন। গায়রুল্লাহর সেজদা থেকে হেফাজত করুন। শিরকমুক্ত ঈমানের অধিকারী হওয়ার তাওফিক দান করুন। আমিন।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: পীর ছাহেব


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ