Inqilab Logo

রোববার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

গালওয়ান সংঘর্ষে চীনের ৫ সেনা নিহত হয়েছিলেন

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২১, ৪:২৪ পিএম

গত বছরের ১৫ জুন লাদাখের গালওয়ান উপত্যকায় সংঘর্ষে ২০ জন ভারতীয় সেনা সদস্য নিহত হয়েছিলেন। সে সময়ে না জানালেও এবার তাদের ৫ জন সেনা নিহত হয়েছিলেন বলে জানিয়েছে চীন। বৃহস্পতিবার একটি রিপোর্ট প্রকাশ করে এই তথ্য জানায় চীন।

গত বছর ১৫ জুন লাদাখের গালওয়ান উপত্যকায় হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন চীন-ভারত দুই পক্ষের সেনারা। ভারতীয় সেনাকে লক্ষ্য করে প্রথমে পাথর ছোড়ার অভিযোগ ওঠে। লাল ফৌজ প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় তাদের অবস্থান শক্তিশালী করে। ভারত তাতে বাঁধা দিতেই বাধে সংঘর্ষ। রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে প্রাণ হারান ২০ জন ভারতীয় জওয়ান। সংঘর্ষের ঘটনায় লাল ফৌজের কমপক্ষে ৪৩ সেনা কর্মী জখম হয়েছিলেন বলে খবর। যদিও চীনের পক্ষে এতদিন তা স্বীকার করা হয়নি। এরপর, অগাস্টের শেষে ফের উত্তপ্ত হয়ে ওঠে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা। প্রায় ৪৫ বছর পর সীমান্তে গুলি চালানোর খবর আসে। ঘটনার আট মাস পরে বেইজিংয়ের তরফ থেকে এই স্বীকারোক্তি দেয়া হলো।

পাশাপাশি, দুই দেশের মধ্যে সীমান্তে অচলাবস্থার বরফও গলেছে। চীনের সাথে সমাধান হচ্ছে বলে দাবি করেছে ভারতের মোদি সরকার। ইতিমধ্যেই পূর্ব লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা থেকে সেনা সরানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। প্যাংগং হ্রদের উত্তর-দক্ষিণ বরাবর এলাকা থেকে সেনা সরানোর বিষয়ে দু'পক্ষ আলোচনা শুরু করেছে বলে সংসদে সম্প্রতি জানিয়েছিলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। একইসঙ্গে প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেছিলেন, যত দ্রুত সম্ভব সেনা সরাতে দু’দেশই একমত পোষণ করেছে।

বৃহস্পতিবার বেইজিংয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, দু’দেশের সেনা সরানোর প্রক্রিয়া সুষ্ঠুভাবেই চলছে। দু’দেশের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় লক্ষ্যপূরণ সম্ভব হবে বলে আশাপ্রকাশ করা হয়েছে। গত ১০ ফেব্রুয়ারি চীনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সিনিয়র কর্নেল উ কিয়ান প্রেস বিবৃতিতে জানিয়েছিলেন, পূর্ব লাদাখে প্যাংগং হ্রদের দক্ষিণ ও উত্তর অংশ থেকে দু’দেশের সৈনিকরা পিছু হঠতে শুরু করেছেন। সূত্র: টিওআই।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: চীন


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ