মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
আজও প্রত্নতাত্ত্বিকদের কাছে অপার বিস্ময়ের খনি মিসর। এবার সেখানকার মাটি খুঁড়ে পাওয়া গেল পাঁচ হাজার বছর আগেকার মদ কারখানা। শনিবার মিসরের পর্যটনমন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এই আবিষ্কারের সম্পর্কে সকলকে জানানো হয়।
যুক্তরাষ্ট্র ও ইজিপ্টের যৌথ উদ্যোগে খননকাজ চালানো হচ্ছিল মিসরের অ্যাবিডোসে। তারাই ওই খনিটি আবিস্কার করে। সেখানে সব মিলিয়ে আটটি বড় আধারে ওই মদ রাখা ছিল। একেকটি আধারে ৪০টি করে পাত্র। খননকাজের প্রধান নিউ ইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ম্যাথু অ্যাডামস জানিয়েছেন, ‘সম্ভবত সেখানে মদ তৈরি করা হত মিশরের রাজ পরিবারের অন্ত্যেষ্টি ক্রিয়ায় ব্যবহারের জন্য।’
মনে করা হচ্ছে যে আটটি বড় আধার বিয়ার তৈরির জন্য ব্যবহার করা হত। আজ থেকে পাঁচ হাজার বছর আগে মিশরের রাজা নার্মারের রাজত্বকালেই ওই বিয়ার সংরক্ষিত হয়েছিল বলে মনে করছেন প্রত্নতাত্ত্বিকরা। সরকারি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এই প্রথম এই কারখানার সন্ধান পাওয়া গেলেও বিংশ শতাব্দীতে ব্রিটিশ প্রত্নতাত্ত্বিকরা এটি আবিষ্কার করেছিলেন বলে দাবি করেন। পরে আর সেই জায়গাটির হদিশ পাওয়া যায়নি। এতদিনে মিলল সন্ধান। কেবল এলাকাটি খুঁজে বের করা নয়, পাত্রগুলিকে খুলে তা পরীক্ষা করেও দেখা হয়েছে।
তবে এই ঘটনাকে ঠিক অভূতপূর্ব বলতে পারছেন না তারা। এর আগেও ২০১৫ সালে প্রমাণ মিলেছিল যে প্রাচীন মিশরে তৈরি হত বিয়ার! বিভিন্ন মাটির ধ্বংসাবশেষ থেকে তা পরিষ্কার হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু নিঃসন্দেহে এই বিপুল পরিমাণ মদের কারখানা বিস্ময়কর। এবং তা অভূতপূর্বই। এই ভাণ্ডার দেখে চমকে গিয়েছেন প্রত্নতাত্ত্বিকরা। আজ থেকে অত বছর আগে ওই পরিমাণে মদ এভাবে তৈরি করে জমিয়ে রাখার ঘটনার সাক্ষী হতে পেরে অভিভূত তারা। তাদের দাবি, এটাই পৃথিবীর সবচেয়ে প্রাচীন মদ তৈরির কারখানা। সূত্র: বিবিসি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।