Inqilab Logo

শক্রবার ০৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ কার্তিক ১৪৩১, ০৬ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

দক্ষিণাঞ্চলে এক সপ্তাহে প্রায় ২৯ হাজার করেনা ভ্যাকসিন গ্রহণ

বরিশাল ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২১, ৬:৪৪ পিএম

দক্ষিণাঞ্চলে করোনা ভ্যাকসিন সম্পর্কে ভীতি ও আতংক সহ নেতিবাচক মনোভাব ক্রমে দুর হওয়ায় সাধারণ মানুষের মধ্যে ব্যাপক সাড়া জেগেছে। বরিশাল শের এ বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও জেনারেল হাসপাতাল সহ দক্ষিণাঞ্চলের সবগুলো জেলা ও উপজেলা সদরে প্রতিদিনই ভ্যাক্সিন গ্রহণকারীর সংখ্যা আশাব্যঞ্জক হারে বাড়ছে। গত ৭ ফেব্রুয়ারী দেশব্যাপী ভ্যাক্সিন প্রদানের শুরু থেকে শনিবার পর্যন্ত এক সপ্তাহে দক্ষিণাঞ্চলের ৬ জেলার ৪২টি উপজেলাতে মোট ৪৩টি কেন্দ্রে প্রায় ২৯ হাজার নারী-পুরুষ করেনা প্রতিষেধক ভ্যাকসিন গ্রহণ করেছেন এরমধ্যে নারী প্রায় ৮ হাজার ৩শ।

দক্ষিণাঞ্চলে ভ্যাকসিন গ্রহণকারীর মধ্যে বরিশাল সদর উপজেলা বাদে অবশিষ্ট ৯টি উপজেলাতে ৪,৬২৭ জন ছাড়াও শের এ বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১,৫৭২, পুলিশ হাসপাতালে ৬৮৬, জেনারেল হাসপাতালে ১,৫২৯, পটুয়াখালীতে ৪,৮৪২ জন, ভোলাতে ৪,৮৫১ জন, পিরোজপুরে ৪,৬১০ জন, বরগুনাতে ৩,১৯৬ জন ও ঝালকাঠীতে ২,৫৫০ জন করেনা প্রতিষেধক গ্রহণ করেছেন বলে জানা গেছে।

প্রথম চালানে দক্ষিণাঞ্চলের ৬ জেলায় ৩ লাখ ৪৮ হাজার ১০টি করোনা ভ্যাকসিন পৌঁছে গত গত ২৯ জানুয়ারী। যার মাধ্যমে সর্বমোট ১ লাখ ৭৪ হাজার জনকে দুই ডোজ টিকা প্রদান সম্ভব হবে বলে স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে বলা হয়েছে। প্রাপ্ত ভ্যাকসিন মধ্যে বরিশালে ১ লাখ ৬৮ হাজার ১০, পটুয়াখালীতে ৪৮ হাজার, ভোলাতে ৬০ হাজার, পিরোজপুরে ৩৬ হাজার, বরগুনায় ২৪ হাজার এবং ঝালকাঠীতে ১২ হাজার ডোজ রয়েছে। স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে প্রতিদিন গড়ে ১৫ হাজার ৪৫৫ জনকে ভ্যাক্সিন প্রদানের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে বলে জানা গেছে।

এদিকে শনিবার পর্যন্ত দক্ষিণাঞ্চলের ৬ জেলায় ১০ হাজার ৬৬৬ জন করেনা আক্রান্তের মধ্যে ইতোমধ্যে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১০ হাজার ৩৩১ জন। সুস্থতার হার প্রায় ৯৭%। আর মৃত্যু হয়েছে ২০২ জনের। তবে দক্ষিণাঞ্চলে আক্রান্ত ও মৃতদের সিংহভাগই এখনো বরিশাল মহানগরীতে। এ অঞ্চলে বসবাসকারী ১ কোটি মানুষের মাত্র সাড়ে ৬% মানুষ বরিশাল মহানগরীতে বাস করলেও করেনা সংক্রমনকারীর হার গোটা বিভাগ প্রায় ৪০%-এর কাছে এ নগরীতে। এমনকি এ বিভাগে কোভিড-১৯’এ মৃত্যুবরণকারী ২০২ জনের মধ্যে বরিশাল মহানগরীতেই মারা গেছেন ৩৯জন।

দক্ষিণাঞ্চলের ৬টি জেলা সদরে দুটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও জেনারেল হাসপাতাল সহ মোট ৯টি কেন্দ্রে এবং ৪২টি উপজেলার মধ্যে জেলা সদরের বাইরে ৩৬টি উপজেলার ৩৪টিতে এ ভ্যাক্সিন প্রদানের লক্ষে মোট ৪৩টি কেন্দ্রে খোলা হয়েছে।

তবে ইতোমধ্যে হাসপাতালগুলোতে স্পট রেজিস্ট্রেশন বন্ধ হয়ে যাওয়ায় নিম্নবিত্ত সহ সমাজের পিছেয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর পক্ষে এ ভ্যাক্সিন গ্রহণে কিছুটা জটিলতা সৃষ্টি হবে বলে মনে করছেন ওয়াকিবাহল মহল। এসব জনগোষ্ঠী বাইরে থেকে নিবন্ধন করে ভ্যাক্সিন গ্রহণে কতটা সক্ষম হবেন তা নিয়ে সংশয় সৃষ্টি হয়েছে ইতোমধ্যে। বিষয়টি সাধারণ মানুষের জন্য আরো সহজতর করা সহ সব শ্রেণী পেশার মানুষ যাতে দ্রæত ও সহজে ভ্যাক্সিন গ্রহণ করতে পারে সে বিষয়টি আরো ভেবে দেখার তাগিদ দেয়া হয়েছে বিভিন্ন মহল থেকে।

এদিকে শনিবার সকালের পূর্ববর্তী ২৪ ঘন্টায় দক্ষিণাঞ্চলে নতুন করে আরো ৪ জন করেনা সংক্রমণের শিকার হয়েছেন বলে জানা গেছে। যার সবাই বরিশালের। এ নিয়ে সর্বশেষ প্রাপ্ত হিসেবনুযায়ী বরিশালে মোট আক্রান্ত ৪,৮৬৮ জনের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ৮৮ জনের পটুয়াখালীতে আক্রান্তের সংখ্যা ১,৭৪৪। মৃত্যু হয়েছে ৪১ জনের। পিরোজপুরে ১,১৯৩ জন আক্রান্তের মধ্যে মারা গেছেন ২৫ জন। ভোলাতে ৯৮৫ জন আক্রান্তের মধ্যে মারা গেছেন ১০ জন। বরগুনাতে আক্রান্ত ১ হাজার ৩৩ জনের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ২২ জনের। আর ঝালকাঠীতে ৮৪৩ জন আক্রান্তের মধ্যে মারা গেছেন ১৬ জন।

এ পর্যন্ত বরিশাল ও ভোলার দুটি আরটি-পিসিআর ল্যাবে ৫২ হাজার জনেরও বেশী মানুষের নমুনা পরীক্ষায় গড় সনাক্তের হার প্রায় ১৬%। সর্বশেষ হিসেবনুযায়ী দক্ষিণাঞ্চলে মৃত্যু হার ১.৮৫%-এর নিচে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বরিশাল

২৯ অক্টোবর, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ