পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিটিআরসি’র ক্ষমতা থাকা সত্তে¡ও কাতারভিত্তিক টিভি চ্যানেল আল-জাজিরার বাংলাদেশে প্রচার বন্ধে কেন আদালতের কাঁধে বন্দুক রাখা হচ্ছে? এ প্রশ্ন তুলেছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে ‘অল দ্য প্রাইম মিনিস্টার্স মেন’ শীর্ষক প্রতিবেদনের ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম থেকে প্রত্যাহারের নির্দেশনা চেয়ে করা রিটটি গ্রহণযোগ্য কি না? এ প্রশ্নও তোলেন আদালত।
গতকাল বুধবার রিটের শুনানিকালে বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান ভুইয়া এবং বিচারপতি কামরুল হোসেন মোল্লার ভার্চুয়াল ডিভিশন বেঞ্চ ওই দুটি প্রশ্ন তোলেন। রিটের গ্রহণযোগ্যতা প্রশ্নে মতামত জানতে ৬ অ্যামিকাস কিউরি (আদালত সহায়ক আইনজীবী) নিয়োগ করেন হাইকোর্ট।
ছয় অ্যামিকাস কিউরি হলেন, অ্যাডভোকেট আব্দুল মতিন খসরু, অ্যাডভোকেট এ. জে. মোহাম্মদ আলী, ব্যারিস্টার ফিদা এম. কামাল, ড. শাহদীন মালিক, কামালুল আলম এবং প্রবীর নিয়োগী।
রিটের পরবর্তী তারিখ ধার্য করা হয়েছে আসছে সোমবার। গতকাল রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার এনামুল কবীর ইমন। সরকারপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নওরোজ মো. রাসেল চৌধুরী। বিটিআরসির পক্ষে শুনানিতে যুক্ত হন অ্যাডভোকেট রেজা-ই রাকিব।
রিটের শুনানিকালে আদালত বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) ওপর উষ্মা প্রকাশ করেন।
আদালত বলেন, বিশ্বের কোটি কোটি মানুষ এরইমধ্যে আল-জাজিরার প্রতিবেদনটি দেখেছেন। বিটিআরসি এতদিন কী করল? তারা বন্ধ করলো না কেন? আপত্তিকর কিছু স¤প্রচার বন্ধের বিটিআরসির ক্ষমতা থাকা সত্তে¡ও কেন আদালতের কাঁধের ওপর বন্দুক রাখা হচ্ছে? এখন এগুলো বন্ধ করা আর না করা সমান।
আদালত পরে কাতারভিত্তিক আল জাজিরা টেলিভিশন নেটওয়ার্কের স¤প্রচার বন্ধ এবং ভিডিও সরাতে হাইকোর্ট কোনো আদেশ দিতে পারে কিনা? এ বিষয়ে মতামত জানতে ছয় জন অ্যামিকাস কিউরি নিয়োগ দেন। রিটকারীর সংক্ষুব্ধ হওয়ার মতো কারণ, বিভিন্ন দিক, আবেদন অনুযায়ী আদালত থেকে কোনো আদেশ দেয়া হলে বিদেশের কোনো টিভি চ্যানেলের ক্ষেত্রে তা কার্যকর করা যাবে কি না? কোনো আইনি নোটিশ ছাড়া রিট (ম্যান্ডামাস) চলে কি না? আল-জাজিরার তথ্যচিত্র সব মাধ্যম থেকে বন্ধ করার কোনো নির্দেশনা দেয়ার প্রয়োজন আছে কি না? গত ১ ফেব্রুয়ারি তথ্যচিত্রটি প্রকাশের পর এতো বিলম্বে রিট করার প্রেক্ষাপটে কোনো নির্দেশ দেয়ার প্রয়োজন আছে কি না? এসব বিষয়ে মতামত চাওয়া হয়েছে অ্যামিকাস কিউরিদের কাছে।
প্রতিবেদন প্রচারের এক সপ্তাহ পর করা রিটে ‘অল দ্য প্রাইম মিনিস্টারস মেন’ শীর্ষক প্রতিবেদনকে বিভ্রান্তিকর, বিদ্বেষমূলক ও মানহানিকর উল্লেখ করা হয়। ব্যারিস্টার এনামুল কবির ইমন সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলে জানা গেছে। রিটে ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব, তথ্য ও প্রযুক্তি সচিব, বিটিআরসির চেয়ারম্যান, পুলিশ মহাপরিদর্শকসহ সংশ্লিষ্টদের বিবাদী করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, আল জাজিরায় গত ১ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ সম্পর্কে একটি ‘অনুসন্ধানী প্রতিবেদন’ স¤প্রচার হয়। এটি দেশে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে। প্রতিবেদনে উচ্চ পর্যায়ের ব্যক্তিদের দুর্নীতিতে জড়িত থাকার অভিযোগ আনা হয়।
আল-জাজিরার এই প্রতিবেদনকে ‘মিথ্যা ও অবমাননাকর’ আখ্যা দিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতরও (আইএসপিআর) এই প্রতিবেদনের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে। আইনি প্রতীকার চেয়ে জনস্বার্থে এ রিট করা হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।