মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ভারতের উত্তরাখণ্ডে গতকাল রোববার হিমালয়ের একটি হিমবাহ ধসের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১০টি মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। নিখোঁজ রয়েছে আরও অনেকে। তাদের সন্ধানে উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রয়েছে। এছাড়াও ভয়াবহ তুষার ধ্বসে উত্তরাখণ্ডের ঋষিগঙ্গা বিদ্যুৎ প্রকল্প ভেসে গেছে। গঙ্গা তীরবর্তী জেলাগুলোতে হাই অ্যালার্ট জারি করেছে রাজ্য সরকার। এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলোর খবরে বলা হয়েছে, হঠাৎ নামা এই ধ্বসের ফলে চামোলির তপোবন বাঁধের কাছে নির্মানাধীন টানেলে আটকা পড়েছে অন্তত ২০ জন শ্রমিক। আইটিবিপি-র ডিজি এসএস দেশওয়াল জানিয়েছেন, তাদের দল আটক ব্যক্তিদের উদ্ধার করার চেষ্টা করছে।
৭ ফেব্রুয়ারি রবিবার সকালে চামোলি জেলার জোশিমঠে নন্দাদেবী হিমবাহের একাংশ ভেঙে পড়ে। এ ঘটনায় পুরো এলাকা প্লাবিত হয়েছে। প্রবল বেগে ধেয়ে আসে পানির স্রোত। তীব্র স্রোতে হৃষিগঙ্গা নদীর ওপর অবস্থিত জলবিদ্যুৎ প্রকল্প ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। নদীর দুই ধারে থাকা বহু বাড়িঘর ভেসে গেছে।
খবর পেয়ে দ্রুত উপদ্রুত এলাকায় পৌঁছায় রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী (এসডিআরএফ), ইন্দো-টিবেটিয়ান বর্ডার পুলিশ (আইটিবিপি) এবং জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী (এনডিআরএফ)-এর সদস্যরা। সেনাসদস্যরাও দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায়।
তপোবন-রেনি জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে উদ্ধৃত করে আইটিবিপি-র মুখপাত্র জানিয়েছেন, বিপর্যয়ের সময় ১৫০ জনের বেশি শ্রমিক কাজ করছিলেন। ওই জলবিদ্যুৎ প্রকল্পটিই পানির তোড়ে পুরোপুরি বিপর্যস্ত হয়ে গেছে। তাদের প্রত্যেকের মৃত্যু হয়েছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী ত্রিবেন্দ সিং রাওয়াত জানিয়েছেন, মৃতদের পরিবারপিছু চার লাখ রুপি আর্থিক সহায়তা দেবে রাজ্য সরকার। একইসঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের তরফে জানানো হয়েছে, প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল থেকে মৃতদের পরিবারপিছু দুই লাখ রুপি করে অনুদান দেওয়া হবে। যারা গুরুতর আহত হয়েছেন, তারা ৫০ হাজার রুপি করে পাবেন।
স্রোতের তোড়ে তপোবনের কাছে বন্ধ হয়ে গিয়েছিল একটি সুড়ঙ্গের মুখ। সেখানে আটকে পড়েছিলেন ১৬ জন শ্রমিক। তাদের সবাইকে অবশ্য জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করেছে আইটিবিপির জওয়ানরা। এক সরকারি মুখপাত্র জানিয়েছেন, ভারতীয় নৌবাহিনীর ডুবুরিদের দুর্ঘটনাস্থলে পাঠানো হচ্ছে। উদ্ধারকাজে সাহায্যের হাত বাড়িয়েছে বিমানবাহিনীও।
পাঁচ টনের ভার নিয়ে বিমানবাহিনীর সি১৩০ বিমানে করে ৬০ জনের এনডিআরএফের একটি দল গাজিয়াবাদের হিন্দোন বিমানবন্দর থেকে দেরাদুনে পৌঁছেছে। সেখান থেকে দুর্ঘটনাস্থলে উদ্ধারকারীদের নিয়ে যাওয়ার তৈরি আছে এমআই-১৭ হেলিকপ্টার। বাড়তি এনডিআরএফ দল নিয়ে হিন্দোন বিমানবন্দরে একটি সি১৩০ এবং দুইটি এএন৩২ অবস্থান করছে।
উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা হয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির। এরপর এক টুইটে মোদি লিখেছেন, গোটা দেশ উত্তরাখণ্ডের পাশে রয়েছে। পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন বলেও জানিয়েছেন তিনি। সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।