পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
র্যাব আগের চেয়ে আরও বেশি দক্ষ। জঙ্গিরা যত স্মার্টই হোক না কেন, র্যাব আরও বেশি স্মার্ট। গতকাল সোমবার রাজধানীর বনানী পূজা মণ্ডপের নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের কাছে র্যাবের নবনিযুক্ত ডিজি এম খুরশীদ হোসেন এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, দুর্গাপূজাকে কেন্দ্র করে এখন পর্যন্ত কোনো ধরনের হুমকি নেই। গোয়েন্দা নজরদারি অতীতের যেকোনো সময়ের তুলনায় বেশি আছে। সম্প্রতি হিজরতের নামে ৫০ থেকে ৬০ জন তরুণের বাড়ি ছাড়ার তথ্য পাওয়ার কথা বলছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
এই বিষয়টি পূজায় কোনো হুমকি তৈরি করবে কি না. সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে র্যাবের ডিজি বলেন, আমি আশ্বাস দিতে চাই, র্যাব আগের চেয়ে আরও বেশি স্মার্ট। জঙ্গিরা যত স্মার্টই হোক, কোনো ধরনের সফলতা পাবে না। সবকিছু বিবেচনায় নিয়ে পূজা মণ্ডপের নিরাপত্তা ব্যবস্থা সাজানো হয়েছে। যারা ঘর ছেড়েছেন, তাদের বিষয় মনিটরিং করা হচ্ছে। পূজা শেষে কিছুদিনের মধ্যে ভালো কিছু রেজাল্ট আমরা দিতে পারব। আমরা এটা নিয়ে কাজ করছি।
এম খুরশীদ হোসেন বলেন, দুর্গাপূজায় সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে র্যাব গত ২৫ সেপ্টেম্বর থেকে সারা দেশে গোয়েন্দা নজরদারি বাড়িয়েছে। আগামী বৃহস্পতিবার পর্যন্ত নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। পূজামণ্ডপসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থানে প্রয়োজনীয় স্যুইপিং কার্যক্রমসহ ডগ স্কোয়াড সার্বক্ষণিকভাবে প্রস্তুত রয়েছে।
তিনি বলেন, পূজা মণ্ডপসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে সংস্থার বোমা নিস্ক্রিয়করণ ইউনিট যেকোনো পরিস্থিতির জন্য সার্বক্ষণিক প্রস্তুত রয়েছে। এ ছাড়া যেকোনো হামলা মোকাবিলায় র্যাবের স্পেশাল ফোর্সের কমান্ডো টিম ও র্যাব এয়ার উইংয়ের হেলিকপ্টার সার্বক্ষণিক প্রস্তুত রয়েছে।
ডিজি বলেন, জাতির পিতার স্বপ্নের অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ বিনির্মাণে আমরা সবাই কাজ করে যাচ্ছি। এখানে সব ধর্মের, বর্ণের মানুষ যেন তাদের ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান সুষ্ঠুভাবে ও নির্বিঘ্নে সম্পন্ন করতে পারে সেজন্য র্যাব ফোর্সেসসহ সব আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী সর্বদা সজাগ রয়েছে। সব ধরনের অনাকাক্সিক্ষত পরিস্থিতি মোকাবিলায় পর্যাপ্ত সংখ্যক র্যাব সদস্য মোতায়েন রাখা হয়েছে।
র্যাব ডগ স্কোয়াড সার্বক্ষণিকভাবে পূজা মণ্ডপ ও গুরুত্বপূর্ণ স্থানে প্রয়োজনীয় সুইপিং কার্যক্রমে অংশ নিয়েছে। মাদক, অস্ত্র উদ্ধারসহ যেকোনো পরিস্থিতির জন্য র্যাব ডগ স্কোয়াড প্রস্তুত রয়েছে। পূজা মণ্ডপসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে সুইপিং পরিচালনার পাশাপাশি র্যাবের বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট যেকোনো উদ্ভূত পরিস্থিতির জন্য সার্বক্ষণিকভাবে প্রস্তুত রয়েছে।
ব্যাটলিয়নগুলো নিজ নিজ কন্ট্রোলরুমের মাধ্যমে তাদের অধিক্ষেত্রে স্থানীয় পূজা কমিটি, জনপ্রতিনিধি ও অন্যান্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে সমন্বয় রাখছে। গুরুত্বপূর্ণ পূজা মণ্ডপগুলোতে সিসিটিভি ক্যামেরার মাধ্যমেও মনিটরিং করা হচ্ছে। সব মেট্রোপলিটন শহর, জেলা শহর ও উপজেলা পর্যায়ে গুরুত্বপূর্ণ রাস্তায় চেকপোস্ট স্থাপন করা হয়েছে। জেলা শহরগুলোতে যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় সার্বক্ষণিক প্রয়োজনীয় সংখ্যক ফোর্স রিজার্ভ রাখা হয়েছে।
পূজা মণ্ডপসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থানসমূহে আগত নারীদের উত্যক্ত, ইভটিজিং ও যৌন হয়রানি রোধে মোবাইল কোর্টসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।