মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
বিস্তৃত চাইনিজ বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভের (বিআরআই) অংশ হিসাবে, চীন পাকিস্তানের একটি আন্তঃসীমান্ত ফাইবার অপটিক কেবলের স্টেশন স্থাপন করবে। এর মাধ্যমে চীন পাকিস্তানকে সঙ্গে নিয়ে ‘ডিজিটাল সিল্ক রোড’ তৈরি করছে যা উভয় দেশের ভূ-তাত্ত্বিক স্বার্থ রক্ষা করবে। এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদ মাধ্যম নিকেই এশিয়া।
ফাইবার কেবলটি আরব সাগরে পাকিস্তান ও পূর্ব আফ্রিকার সাথে ইউরোপের সংযোগকারী (পিইএসিই) সাবমেরিন কেবলের সাথে যুক্ত হবে। এটি বিআরআই’তে অংশ নেয়া দেশগুলো এবং ইউরোপকে সেবা প্রদান করবে। পিইএসিই কেবল অংশগ্রহণকারী দেশগুলোর মধ্যে স্বল্পতম সরাসরি ইন্টারনেট রুট সরবরাহ করবে এবং ইন্টারনেট ডেটা স্থানান্তর করতে সময়কে দ্রুত হ্রাস করবে। প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে যে, বর্তমানে কেবলটি করাচি ও গোয়েদার বন্দর শহরগুলোর মধ্যবর্তী রাওয়ালপিন্ডিতে স্থাপন করা হচ্ছে। চীনের হুয়াওয়ে টেকনোলজিসের সাথে অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে ২৪০ মিলিয়ন ডলারের প্রকল্পটি পাকিস্তান সরকার গত সপ্তাহে অনুমোদন দিয়েছে। কেবলের ভূমধ্যসাগর অংশটি ইতিমধ্যে স্থাপন করা হয়েছে, এবং মিশর থেকে ফ্রান্সে সংযোগ দেয়া হয়েছে। ১৫ হাজার কিলোমিটার দীর্ঘ কেবলটি চলতি বছরের শেষের দিকে চালু হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
পর্যবেক্ষকরা এটিকে পশ্চিমা ও ভারতীয় সংস্থাগুলোর অধীনে থাকা আন্তর্জাতিক টেলিযোগাযোগ কনসোর্টিয়ামগুলো রোধ করার কৌশলগত পদক্ষেপ হিসাবে দেখছেন। প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে যে, কয়েকটি বিআরআই প্রকল্প পাকিস্তানের ৬৮০ কোটি ডলারের রেল প্রকল্পসহ অংশীদার দেশগুলোতে করোনভাইরাস মহামারী ও ঋণ সঙ্কটের কারণে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। এর ফলে বেইজিং ডিজিটাল প্রকল্প এবং যোগাযোগের অবকাঠামোগত উন্নয়নে জোর দিচ্ছে। প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে যে, সাম্প্রতিক মাসগুলোতে চীন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডোর (সিপিসি) কর্তৃপক্ষ বড় সড়ক ও রেলপথ নিমার্ণের মাধ্যমে গোয়েদারের সাথে উন্নত যোগাযোগ তৈরির প্রচেষ্টা ত্বরান্বিত করেছে।
পাকিস্তানও চীনের মাধ্যমে ইন্টারনেটের বিকল্প সংযোগের সন্ধান করছে। বর্তমানে, চীন থেকে বেশিরভাগ ইউরোপ-ভিত্তিক ইন্টারনেট ট্র্যাফিক কেবলগুলো মঙ্গোলিয়া, রাশিয়া এবং কাজাখস্তান পাড়ি দিয়ে পাকিস্তানে যুক্ত হয়েছে। ওয়াশিংটন ভিত্তিক টেলিযোগাযোগ বাজার গবেষণা সংস্থা টেলিগ্রাোগ্রাফির তথ্য অনুসারে, পাকিস্তানে বর্তমানে সাতটি সাবমেরিন কেবলের সংযোগ রয়েছে। যার মধ্যে চারটি ভারত থেকে বেরিয়ে এসেছে। এই কেবল নেটওয়ার্কগুলো কনসোর্টিয়াম দ্বারা বিকাশ করা হয়েছে যার মধ্যে ভারত, মিশর এবং পাকিস্তানের টেলিকম সংস্থাগুলো অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। পিইএসিই কেবলটি ইন্টারনেট সংযোগের জন্য অতিরিক্ত রুট সরবরাহের মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্থ সাবমেরিন কেবলগুলো থেকে পাকিস্তানের ইন্টারনেট বিভ্রাট হ্রাস করতে সহায়তা করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, ২০১৩ সালে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ঘোষিত উচ্চাভিলাষী বহু ট্রিলিয়ন ডলারের বিআরআই উদ্যোগ (বা নতুন সিল্ক রোড) এর লক্ষ্য পূর্ব এশিয়া, ইউরোপ এবং পূর্ব আফ্রিকার মধ্যে সংযোগ এবং সহযোগিতা বাড়ানো। বিশেষজ্ঞের হিসাব অনুসারে, এটি জড়িত দেশগুলোর জন্য বাণিজ্য ব্যয় অর্ধেকের বেশি হ্রাস করে বৈশ্বিক বাণিজ্যকে উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। সূত্র: পাকিস্তান ট্রিবিউন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।