মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
চীনের মানবাধিকার নিয়ে বেইজিংয়ের ওপর চাপ দেয়ার জন্য প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের পদক্ষেপের বিরুদ্ধে আগাম সতর্কতা উচ্চারণ করে চীনের অন্যতম শীর্ষ কূটনীতিক ইয়াং জিয়াচি বলেছেন যে, ‘রেড লাইন’ অতিক্রম করবেন না। চীনের কমিউনিস্ট পার্টির পলিটব্যুরো সদস্য এবং প্রাক্তন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইয়াং নিউ ইয়র্ক ভিত্তিক ইউএস-চায়না গ্রুপকে দেয়া একটি ভিডিও বিবৃতিতে এ হুঁশিয়ারি দেন।
ইয়াং আমেরিকাতে চাইনিজ শিক্ষার্থীদের হয়রানি বন্ধ, চীনা মিডিয়া আউটলেটগুলোর ওপর কঠোর বিধি নিষেধ আরোপ করা, কনফুসিয়াস ইনস্টিটিউটগুলো বন্ধ করে দেয়া এবং চীনা সংস্থাগুলোকে দমন করা বন্ধের আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘হংকং, তিব্বত ও শিনজিয়াং বিষয়গুলো একটি রেড লাইন, যা অবশ্যই অতিক্রম করা যাবে না।’
ইয়াং বলেছেন, বাইডেনের ক্ষমতা গ্রহণের পর উভয়পক্ষই সম্পর্ক পুনর্র্নিমাণ এবং সহযোগিতা করার জন্য এক গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে দাঁড়িয়ে আছে। তিনি প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ‘ভ্রষ্ট নীতিমালা’ দ্বারা সৃষ্ট ক্ষয়ক্ষতি পুনরুদ্ধারের প্রত্যাশা করে বলেছেন, ‘চীনে আমরা আশাকরি আমেরিকা শূন্য ফলাফলের অচল মানসিকতা, প্রধান পরাশক্তি কেন্দ্রিক প্রতিদ্ব›িদ্বতার ঊর্ধ্বে উঠে চীনের সাথে সম্পর্ককে সঠিক পথে চালিত করার জন্য কাজ করবে।’
আমেরিকা-চীন সম্পর্ক বিষয়ক ন্যাশনাল কমিটিতে ইয়াংয়ের এ ভাষণটি ২০ জানুয়ারি বাইডেন ক্ষমতা গ্রহণের পর আমেরিকার উদ্দেশে দেয়া বেইজিংয়ের সর্বোচ্চ স্তরের হাই-প্রোফাইল আপিলের প্রতিনিধিত্ব করেছে। ট্রাম্পের বিরুদ্ধে নির্বাচনী জয়ের জন্য বাইডেনকে অভিনন্দন জানানো বিশ্ব নেতাদের মধ্যে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংও ছিলেন। উভয় পক্ষই সাম্প্রতিক বছরগুলোর তিক্ততা হ্রাসে আগ্রহী বলে মনে হচ্ছে। ইয়াং যখন চীনকে কৌশলগত প্রতিযোগী হিসাবে চিহ্নিত করা বন্ধের জন্য আমেরিকাকে আহ্বান জানিয়েছিলেন, তখন ব্লিঙ্কেন দু’টি পারমাণবিক পরাশক্তির মধ্যে সংঘর্ষের ঝুঁকি হ্রাস করেছিলেন। এমএনএসবিসিতে ব্লিঙ্কেন বলেন, ‘সম্পর্কটির প্রতিকূল দিকগুলি রয়েছে, অবশ্যই প্রতিযোগিতামূলক বিষয় রয়েছে এবং এখনও কিছু সহযোগিতামূলক বিষয়ও রয়েছে। তবে আমরা সম্পর্কের এই দিকগুলির কোনওটি নিয়েই কাজ করছি কিনা, আমাদের দুর্বলতা নয়, শক্তির অবস্থান থেকে চীনের দিকে আগাতে সক্ষম হতে হবে। ’
ইয়াং আবহাওয়া পরিবর্তন, মহামারী ত্রাণ এবং সামষ্টিক অর্থনীতির নীতি সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে পারস্পরিক সহযোগিতার সুযোগগুলি তুলে ধরেন। চীনা শিক্ষার্থী ও গণমাধ্যমের উপর ভিসা কঠোরতা কমিয়ে দেওয়ার বিষয়ে তার মন্তব্য সমঝোতার সম্ভাব্য ক্ষেত্রগুলির দিকে ইঙ্গিত করেছে। বাইডেনের ইন্দো-প্যাসিফিক সমন্বয়কারী কার্ট ক্যাম্পবেল গত মাসে বলেছিলেন যে, আমেরিকা চীনের সাথে আস্থা বাড়াতে এ ধরণের ইতিবাচক পদক্ষেপ গ্রহন করতে পারে।
তবে, বাইডেন প্রশাসন বাণিজ্য ও মানবাধিকারে ক্ষেত্র থেকে চীনের উপর চাপ বজায় রাখার ইঙ্গিত দিয়েছে। গেল সোমবার এমএসএনবিসি-এর এক সাক্ষাতকারে সেক্রেটারি অফ স্টেট অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বলেছিলেন যে, আমেরিকার উচিত হংকংয়ের রাজনৈতিক নিপিড়ন থেকে পালিয়ে আসা লোকদের আশ্রয় দেওয়া। তিনি এর আগে বলেছিলেন যে, শিনজিয়াংয়ের মুসলিম সংখ্যালঘুদের প্রতি চীনের নীতি গণহত্যা পরিচালনা করেছে।
বাইডেন প্রশাসনের মানবাধিকার এবং গণতন্ত্রের মতো উদার মূল্যবোধকে আরও ভালভাবে রক্ষার প্রতিশ্রুতি আমেরিকা-চীন সম্পর্ক স্বাভাবিকী করণের ক্ষেত্রে একটি বড় বাধা। সম্প্রতি আমেরিকান কর্মকর্তারা হংকং এবং তাইওয়ানের গণতন্ত্রের সমর্থকদের প্রতি সমর্থন নিশ্চিত করেছেন। বেইজিংয়ের রেনমিন ইউনিভার্সিটির সেন্টার অন আমেরিকান স্টাডিজের পরিচালক শি ইয়িনহং বলেছেন, ‘এই ইস্যুগুলিতে আমেরিকা অবশ্যই নাক গলাবে। এই বিষয়গুলিতে দ্ব›দ্ব অব্যাহত থাকবে।’ সূত্র: বুমবার্গ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।