Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

পশ্চিমবঙ্গে মমতা ও বিজেপির নির্বাচনী স্লোগান : জয় বাংলা বনাম জয় শ্রীরাম

মোবায়েদুর রহমান | প্রকাশের সময় : ২ ফেব্রুয়ারি, ২০২১, ১২:০২ এএম

এবার পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য বিধানসভার নির্বাচন বেশ জমে উঠেছে। নির্বাচনের যদিও এখনও প্রায় ৪ মাস দেরী আছে। তবুও এর মধ্যেই এই নির্বাচন সারা রাজ্যে দারুণ উত্তাপ ছড়িয়েছে। প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী দুটি দল। একটি হলো কেন্দ্র ক্ষমতাসীন বিজেপি। আরেকটি হলো রাজ্য বা প্রদেশ, অর্থাৎ পশ্চিমবঙ্গে ক্ষমতাসীন তৃণমূল কংগ্রেস। প্রথম দলের নেতা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। অপর দলের নেতা মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী। আরো দুটি দল প্রতিদ্বউ›দ্বতা করছে। একটি হলো, ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস। আরেকটি সিপিএম বা কমিউনিস্ট পার্টি (লেনিনিস্ট)। বিজেপির প্রধান নির্বাচনী শ্লোগান, ‘জয় শ্রীরাম’। আর তৃণমূলের প্রধান নির্বাচনী শ্লোগান, ‘জয় বাংলা’। পর্যবেক্ষকরা বলছেন, পশ্চিমবঙ্গে এবার নির্বাচনী লড়াই হবে জয় বাংলা এবং জয় শ্রীরামের মধ্যে। এই বিষয়টিই আমাদের আজকের আলোচনার উপজীব্য। তার আগে প্রাসঙ্গিক কয়েকটি কথা না বললেই নয়।

ভারতে আইনসভা আছে তিন রকমের। এর দুটি হলো লোকসভা ও রাজ্যসভা। দুটি মিলেই ভারতের পার্লামেন্ট। লোকসভা বেশি পাওয়ারফুল। সদস্য সংখ্যা ৫৪৫ জন। সরাসরি নির্বাচিত হন ৫৪৩ জন সদস্য। এই ৫৪৩ সদস্যের মধ্যে যে দল বা কোয়ালিশন সংখ্যাগরিষ্ঠ হন তারা ভারতের কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা গঠন করে। আর তিন নং আইন সভার নাম রাজ্য বিধানসভা। কেউ কেউ বলেন প্রাদেশিক পরিষদ। এই প্রাদেশিক পরিষদে যে দল বা কোয়ালিশন সংখ্যাগরিষ্ঠ হয় তারা প্রাদেশিক মন্ত্রিসভা গঠন করে। মমতা ব্যানার্জীর র্তণমূল কংগ্রেস পশ্চিমবঙ্গে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠ দল। তাই তিনি মুখ্যমন্ত্রী। বাংলাদেশে এক কেন্দ্রিক বা ইউনিটারি সরকার। আমাদের আর কোনো প্রদেশ নাই। একাধিক প্রদেশ বা অঙ্গরাজ্য থাকলে দেশটি হতো একটি ফেডারেল রাষ্ট্র এবং কেন্দ্রীয় সরকারের আরেকটি নাম হতো ফেডারেল সরকার।

পশ্চিমবঙ্গ আইন সভা বা বিধান সভার সদস্য সংখ্যা ২৯৪। ২০১১ সালের নির্বাচনে মমতা ব্যানার্জীর দল পেয়েছিল ২২৭ টি আসন। ঐ নির্বাচনে বিজেপি প্রতিদ্ব›িদ্বতা করেছিল। কিন্তু একটি আসনও পায়নি। ২০১১ সালের নির্বাচনে মমতার প্রধান প্রতিদ্ব›দ্বী ছিল সিপিএম নামক বাম দল। তারা ঐ নির্বাচনে মমতার নিকট ধরাশায়ী হয়। এই নির্বাচনে মমতা পান ৩০৩ টি আসন। এই নির্বাচনের অব্যবহিত পূর্বে সিপিএম টানা ৩২ বছর পশ্চিম বঙ্গের ক্ষমতায় ছিল। ২০ বছর মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন জ্যোতি বসু। আর ১২ বছর ছিলেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য্য। সামনে যে নির্বাচন আসছে, অর্থাৎ আগামী মে মাসে যে নির্বাচন হবে, সেই নির্বাচনে হবে ট্র্যাঙ্গুলার ফাইট। অর্থাৎ ত্রিমূখী লড়াই। প্রধান দুই প্রতিদ্ব›দ্বী হলো তৃণমূল কংগ্রেস এবং বিজেপি। আর তৃতীয় পক্ষ হলো কংগ্রেস এবং সিপিএমের ঐক্যজোট।

আমরা, যারা বাংলাদেশে আছি, তাদের কিছু কিছু লোকের মধ্যে প্রশ্ন জাগে যে ২০১১ সালে যে বিজেপি নির্বাচনে একটি আসনও পায়নি, ২০১৬ সালের নির্বাচনে যেখানে পেয়েছে মাত্র ৬ টি আসন, সেখানে ২০২১ সালের নির্বাচনে তারা মমতা ব্যানার্জীর প্রধান প্রতিদ্ব›দ্বী হচ্ছে কিভাবে? এই প্রশ্নেরও উত্তর আছে। সেই উত্তরে দেখা যায় যে ২০১৬ সালের পর মমতা সরকারের জনপ্রিয়তা কিছুটা কমেছে এবং বিজেপির জনপ্রিয়তা বেশ কিছুটা বেড়েছে।

দুই
গত ১৯ জানুয়ারি একটি প্রাক নির্বাচনী জরীপ হয়। ঐ জরীপে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে যে, আসন্ন নির্বাচনে তৃণমূল পেতে পারে ১৫২ থেকে ১৫৪ টি আসন। আর বিজেপি পেতে পারে ১০০ থেকে ১০২ টি আসন। যদি তাই হয় তাহলে মমতা তৃতীয় মেয়াদে হয়তো ক্ষমতায় আসবেন। কিন্তু সেটি হবে একটি দুর্বল সরকার। এই জরীপ সর্বাংশে সত্য নাও হতে পারে। অনেক সময় দেখা যায়, জনমতকে প্রভাবিত করার জন্য এই ধরণের নির্বাচনী ফলাফলের পূর্বাভাস দেওয়া হয়। তবে ভারতের সাধারণ মানুষ যে দারুণভাবে হিন্দু জাতীয়তাবাদে বিশ্বাসী সেটা বিজেপির বিস্ময়কর উত্থান থেকে বোঝা যায়।

১৯৮৪ সালের লোক সভা নির্বাচনে সারা ভারতে বিজেপি পায় মাত্র ২ (দুইটি) আসন। সেই বিজেপি পরবর্তী লোক সভা নির্বাচন অর্থাৎ ১৯৮৬ সালে এক লাফে পায় ৮৫ টি আসন। ১৯৯১ সালের নির্বাচনে বিজেপি পায় ১২০ টি আসন। বিজেপির প্রাক্তন সুপ্রীমো লালকৃষ্ণ আদভানীর নেতৃত্বাধীন সারা ভারত জুড়ে তাদের ভগবান রামের বিশাল ছবি বহনকারী রথযাত্রায় যে তীব্র হিন্দু ধর্মীয় বোধ জাগ্রত হয় সেই তীব্র হিন্দুত্ববাদই হলো বিজেপির রাজনৈতিক মূলধন। বাবরী মসজিদ ধ্বংস মুসলমানদের হৃদয়ে রক্তক্ষরণ ঘটালেও বিজেপির বিপুল শক্তিবৃদ্ধি হয়। ২০০২ সালে হয় গুজরাট ম্যাসাকার। এই ম্যাসাকারে অন্তত: ২০০০ (দুই হাজার) মুসলমান উগ্র সাম্প্রদায়িক হিন্দুদের হাতে নিহত হন। গুজরাটের এই হাজার হাজার মুসলিম নিধনের সময় সেখানকার মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন নরেন্দ্র মোদি। মোদি এই দাঙ্গার হোতা ছিলেন বলে নিরপেক্ষ পত্র-পত্রিকার খবরে বলা হয়। এই গণহত্যার পর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে মোদিকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়।

তিন
গুজরাটে মুসলমান গণহত্যার সময় নরেন্দ্র মোদি ছিলেন সেখানকার প্রথম মেয়াদের মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু গুজরাটের মুসলিম নিধন নরেন্দ্র মোদির ভাগ্যকে আরো সুপ্রসন্ন করে। তিনি সেখানে দ্বিতীয় মেয়াদে মুখ্যমন্ত্রী হন। অত:পর ২০১৪ সালে তিনি ভারতের প্রধানমন্ত্রী হন। সেই থেকে টানা ৯ বছর তিনি ভারতের প্রধানমন্ত্রী আছেন। তাঁর বাম এবং ডান হাত হলেন যথাক্রমে প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ্। এরা দুজনই বিজেপির সভাপতি ছিলেন। এদের প্যারেন্ট সংগঠন বা মূল সংগঠন হলো রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ বা আরএসএস। আরএসএসর রয়েছে ৭ টি শাখা। এগুলো, বিজেপি (রাজনৈতিক শাখা), বিশ্ব হিন্দু পরিষদ (এটিকে বলা হয় সংঘ পরিবারের ছাতা, আমব্রেলা), বজরং দল (মিলিট্যান্ট যুব শাখা), অখিল ভারতীয় শিক্ষার্থী পরিষদ (ছাত্রশাখা), ভারতীয় কিষাণ সংঘ এবং শিবসেনা (সিস্টার অর্গানাইজেশন)। কোনো বড় কাজে হাত দিলে দলের নিয়মিত কর্মী বাহিনী ছাড়াও এরা স্বেচ্ছাসেবক সংগ্রহ করে। তাদেরকে বলা হয়, কর সেবক। কর সেবক রিক্রুট করা হয়েছিল বাবরি মসজিদ ভাঙ্গার সময়।

মোদি, অমিত শাহ্, রাজনাথ সিং, উমা ভারতী, উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ- এরা সকলেই আরএসএসের ক্যাডার। নরেন্দ্র মোদিকে আরএসএসের সার্বক্ষণিক ক্যাডারে উন্নীত করা হয় ১৯৭১ সালে। ভারতে ২৮ টি রাজ্য বা প্রদেশের মধ্যে ১৭ টি রাজ্যে রয়েছে বিপেজি সরকার বা বিজেপি নেতৃত্বাধীন কোয়ালিশন সরকার। এবার তারা হাত বাড়িয়েছে পশ্চিমবঙ্গের দিকে। কারণ জনসংখ্যার দিক দিয়ে পশ্চিমবঙ্গ ভারতের চতুর্থ বৃহত্তম রাজ্য। পশ্চিমবঙ্গের ওপরে আছে (১) উত্তর প্রদেশ (২) মহারাষ্ট্র ও (৩) বিহার।

এবার পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচনে জয়লাভের অদম্য স্পৃহার পেছনে বিজেপির আরেকটি বিয়ষ কাজ করছে। উল্লেখ করা যেতে পারে যে, লোক সভায় পশ্চিমবঙ্গের বরাদ্দ আসন হলো ৪২ টি। ২০১৪ সালের নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি লোক সভায় পেয়েছিল মাত্র ২ টি আসন। মমতা ব্যানার্জী পেয়েছিলেন ৩৪ টি আসন। পরের নির্বাচনে অর্থাৎ ২০১৮ সালের নির্বাচনে মমতার আসন কমে গিয়ে হয় ২২ টি আসন। আর বিজেপি আসন বৃদ্ধি পেয়ে হয় ১৮ টি। অর্থাৎ মমতার আসন কমে যায় ১২ টি, আর বিজেপির আসন বেড়ে যায় ১৬ টি। এই পটভ‚মিতে পশ্চিমবঙ্গ প্রাদেশিক পরিষদ বা রাজ্য বিধান সভা নির্বাচনে ঝাঁপিয়ে পড়েছে বিজেপি। জয়ের জন্য এবার তারা মরিয়া।

চার
পশ্চিমবঙ্গে মুসলিম জনসংখ্যা মোট জনসংখ্যার ২৮ শতাংশ। বিজেপির ঘোষিত নীতি হলো হিন্দু জাতীয়তাবাদ প্রতিষ্ঠা, যেটিকে সংক্ষেপে বলা হয় হিন্দুত্ব। ২৮ টির মধ্যে ১৭ টি রাজ্যে ক্ষমতাসীন হয়ে বিজেপি ইতোমধ্যেই বিশাল ভারতকে অর্ধেক হিন্দু রাষ্ট্র বানিয়ে ছেড়েছে। ২০১৪ সাল থেকে তাদের কর্মকান্ড দেখে তারা বুঝে ফেলেছে যে, মুসলমানরা তাদেরকে ভোট দেবে না। তাই মুসলমানদের ভোট পাওয়ার ব্যর্থ চেষ্টা তারা করবে না। তারা এখন অবশিষ্ট ৭২ শতাংশ হিন্দু ভোটকে টার্গেট করেছে। এই লক্ষ্যে হিন্দুত্বকে তারা তীব্রতর করেছে। তাই এবার পশ্চিমবঙ্গে তাদের প্রধান নির্বাচনী শ্লোগান হচ্ছে ‘জয় শ্রীরাম’। ১৯৯০/৯১ সালে বিজেপির তৎকালীন প্রধান লাল কৃষ্ণ আদভানী তাদের ভগবান রামের প্রতিকৃতি নিয়ে যে বিশাল রথযাত্রা শুরু করেছিলেন তারই প্রতিধ্বনি আজ নরেন্দ্র মোদি এবং অমিত শাহ্ পশ্চিম বঙ্গের আকাশে বাতাসে ছড়িয়ে দিচ্ছেন। পত্র-পত্রিকার রিপোর্ট মোতাবেক, তৃণমূল থেকে সিনিয়র নেতাদের দলত্যাগের উস্কানি দেওয়ার জন্য বিজেপি নাকি দুই হাতে টাকা ছড়াচ্ছে। তারা হিন্দু ধর্মীয় জিগির তোলার জন্য সমস্ত সাধু-সন্নাসী এবং সন্তদের জড়ো করেছে। তারা শ্লোগান দিচ্ছেন ‘জয় শ্রীরাম’।

এমন ধর্মীয় উন্মাদনার মুখে মমতা কিছুটা মুসকিলে পড়েছেন। অনেক ভেবেচিন্তে তিনি হিন্দু ধর্মীয় ক্রেজকে মোকাবেলা করার জন্য আশ্রয় নিয়েছেন ভাষা ভিত্তিক অনুভ‚তির। তিনি পশ্চিমবঙ্গের নাম পরিবর্তন করে নতুন নাম প্রস্তাব করেছেন ‘বাংলা’। ইংরেজীতে ‘বেঙ্গল’। কেন্দ্র নতুন নামকে অনুমোদনও দিয়েছে। সেই নাম অনুযায়ী মমতার এবার প্রধান নির্বাচনী শ্লোগান হয়েছে ‘জয় বাংলা’। এবার তাই নির্বাচনী লড়াই হচ্ছে দুইটি শ্লোগানের মধ্যে। সেটা হলো, জয় বাংলা বনাম জয় শ্রীরাম।

বাংলাদেশে এক সময় প্রশ্ন উঠত: আমরা কি আগে মুসলমান, পরে বাঙ্গালী? নাকি আগে বাঙালি পরে মুসলমান? সেই একই প্রশ্ন এবার পশ্চিম বঙ্গে উঠেছে। তাদের প্রশ্ন, তারা কি আগে হিন্দু, পরে বাঙ্গালী? নাকি আগেবাঙালিপরে হিন্দু?

বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার আগে আওয়াজ উঠেছিল, পাঞ্জাব থেকে উড়ে এসে বাংলা শাসন করা যাবে না। বাঙ্গালীরাই পূর্ব পাকিস্তান বা পূর্ব বাংলা শাসন করবেন। সেই একই রকম আওয়াজ উঠেছে পশ্চিমবঙ্গে। বলা হচ্ছে যে আপ কান্ট্রি অর্থাৎ গুজরাট বা উত্তর প্রদেশ থেকে বাংলাকে শাসন করা যাবে না। বাংলাকে শাসন করবে বাংলার মানুষ।

ভারতীয় সংবিধান মোতাবেক ভারতের অন্যতম রাষ্ট্রীয় মূলনীতি হলো ধর্মনিরপেক্ষতা। সেই নিরপেক্ষতা বিজেপি বিসর্জন দিয়েছে। মমতা ব্যানার্জী যখন রবীন্দ্রনাথ, স্বামী বিবেকানন্দ ও নেতাজী সুভাষ বোসের কথা বলছেন তখন বিজেপিও বাংলাপ্রেমী সেজেছে। সুভাষ বোসের জন্ম দিবস সরকারিভাবে পালিত হয়েছে পশ্চিম বঙ্গে। সেই অনুষ্ঠানে নরেন্দ্র মোদিও এসেছিলেন। কিন্তু কাবাব মে হাড্ডি! সুভাষ বোসের অনুষ্ঠানে জয় শ্রীরাম!

৩০ জানুয়ারি, ঢাকার একটি পত্রিকায় প্রকাশিত খবরে বলা মোতাবেক, মমতা জয় বাংলা শ্লোগান দিয়ে পশ্চিমবঙ্গকে বাংলাদেশে পরিণত করেছেন। বিজেপির সাবেক সভাপতি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ্ বলেছেন, বাংলাদেশ থেকে নমশূদ্র ও বিহারী এনে তাদেরকে দিয়ে তৃণমূলের পক্ষে ভোট দেওয়াচ্ছেন। এই করে পশ্চিমবঙ্গকে তিনি বৃহত্তর বাংলা বানাচ্ছেন। পশ্চিমবঙ্গ বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেছেন, জয় বাংলা নাকি ‘ইসলামিক বাংলাদেশের’ শ্লোগান। শেখ হাসিনার বাংলাদেশকে বিজেপি ‘ইসলামিক বাংলাদেশ’ বানিয়ে ছেড়েছে। বিজেপির অপর নেতা মোহিত রায় বৃহস্পতিবার বলেছেন, ‘জয় বাংলা শ্লোগানের মধ্যে নাকি লুকিয়ে আছে পশ্চিমবঙ্গকে ভারত রাষ্ট্র থেকে আলাদা করার কথা’।
ভাবছি, পশ্চিম বঙ্গে নির্বাচন অনুষ্ঠানের আরো চার মাস বাকী। এই চার মাসে আরো অনেক কিছু শুনবো বলে অপেক্ষা করছি।
[email protected]



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: পশ্চিমবঙ্গ

১ আগস্ট, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন