নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে ফিরেছেন এই ম্যাচ দিয়েই। আর এমন দিনে নিজের সেরাটা না দিলে কি চলে? হয়েছেও তাই। শুরুতে অনেক সুযোগ নষ্টের ভিড়ে বারবার পোস্ট ও ক্রসবারে বল লাগার হতাশায় পুড়তে হলো বার্সেলোনাকে। আচমকা গোলও খেয়ে বসে তারা। সমতা টেনে পথ দেখালেন অধিনায়ক। পরে সতীর্থের গোলেও মেসি রাখলেন গুরুত্বপ‚র্ণ ভ‚মিকা। দ্বিতীয় সারির দল রায়ো ভলকানোকে হারিয়ে কোপা দেল রের কোয়ার্টার-ফাইনালে উঠল রোনাল্ড কোমানের দল।
গতপরশু রাতে স্পেনের পেশাদার ফুটবলের দ্বিতীয় স্তরের দলটির মাঠে শেষ ষোলোর ম্যাচটি ২-১ গোলে জিতেছে বার্সেলোনা। ম্যাচের প্রায় ৭০ শতাংশ সময় বল দখলে রাখার পাশাপাশি আক্রমণেও আধিপত্য করেও ফ্রান গার্সিয়ার গোলে পিছিয়ে পড়ে রেকর্ড চ্যাম্পিয়নরা। খানিক পরেই আঁতোয়ান গ্রিজমানের বাড়ানো বলে সমতা টানেন মেসি। পরে তার সহায়তায় বার্সার হয়ে জয়সূচক গোলটি করেন ফ্রেংকি ডি ইয়ং। শেষ দিকে সুযোগ মিস করায় ব্যবধান না বাড়লেও কঠিন লড়াইয়ের পর জয়ের আনন্দ তাতে কমেনি একটুও। এরপর সংবাদ সম্মেলনে দলটির কোচ রোনাল্ড কোমান জানান, তারা জিততে চান প্রতিযোগিতাটির শিরোপা।
শিষ্যদের পারফরম্যান্স নিয়ে ম্যাচের শেষে কোমান বলেন, ‘আমি খুবই খুশি। শুরু থেকেই এ ম্যাচে আমরা দারুণ ফুটবল খেলেছি...। হ্যাঁ, প্রথমার্ধে আমাদের কিছু সমস্যা হয়েছিল। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে, বিশেষ করে, পিছিয়ে পড়ার পর আমরা আমাদের মানসিক দৃঢ়তা দেখিয়েছি, ভালো মানের গোল করেছি এবং ম্যাচে ঘুরে দাঁড়িয়েছি।’ আসরে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার প্রত্যাশা রেখে তিনি জানান, ‘আমরা কোপা দেল রের শিরোপা জিততে চাই। আমি মনে করি, আমাদের এই মানসিকতা আমরা প্রতিটি প্রতিযোগিতায় দেখিয়েছি এবং সেরা ফলটা পাওয়ার চেষ্টা করেছি। এটা গুরুত্বপ‚র্ণ। কারণ, আমরা বার্সা। কিন্তু কোনো সহজ ম্যাচ বলে কিছু নেই।’
একই রাতে প্রতিপক্ষকে উড়িয়ে কোপা ইতালিয়ার সেমিফাইনালে পা দিয়েছে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোবিহীন জুভেন্টাস। ঘরের মাঠ আলিয়াঞ্জ স্টেডিয়ামে আসরের কোয়ার্টার ফাইনালে ৪-০ গোলে জেতে আন্দ্রেয়া পিরলোর শিষ্যরা। পর্তুগিজ তারকা রোনালদোকে বিশ্রামে রাখলেও গোটা ম্যাচে বল দখলে প্রাধান্য দেখানোর পাশাপাশি আক্রমণেও আধিপত্য দেখায় জুভরা। তারা প্রতিপক্ষের গোলমুখে মোট ২৪টি শট নেয়। এর মধ্যে লক্ষ্যে ছিল ১২টি। একপেশে ম্যাচের ১৬তম মিনিটে স্পট-কিক থেকে স্বাগতিকদের এগিয়ে নেন আলভারো মোরাতা। ৩৩তম মিনিটে জুভেন্টাসের জার্সিতে নিজের প্রথম গোলটি করেন জিয়ানলুকা ফাব্রোত্তা। ম্যাচের শেষদিকে ইতালির পেশাদার ফুটবলের দ্বিতীয় স্তরের দলটির দশা হয় আরও করুণ। ৭৮তম মিনিটে দেয়ান কুলুসেভস্কিকে গোলের যোগান দেওয়ার পর নির্ধারিত সময়ের শেষ মিনিটে নিজেই লক্ষ্যভেদ করেন ফেদেরিকো চিয়েসা।
আগামী ৩ ফেব্রæয়ারি কোপা ইতালিয়ার সেমিতে ইন্টার মিলানের মুখোমুখি হবে জুভেন্টাস। কিছুদিন আগে সিরি ‘আ’তে পরস্পরকে মোকাবিলা করেছিল দল দুটি। সেখানে ইন্টারের কাছে ২-০ গোলে হেরেছিল তুরিনের বুড়িরা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।