বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
বরিশালে গ্রামীন ব্যাংক-এর রায়পাশা শাখার গ্রাহকদের টাকা আত্মসাতের অভিযোগে দায়ের করা পৃথক ১৪টি মামলায় শাখা ব্যবস্থাপক দেলোয়ার হাসানকে বিভিন্ন মেয়াদে ৫৩ বছরের কারাদন্ড ও ৪৯ লাখ ৫০ হাজার টাকা অর্থদন্ড দিয়েছেন আদালত। একই সাথে তার সহযোগী শাখা কর্মকর্তা শাহ আলমকে ২৭ বছরের কারাদন্ড ও ২৭ লাখ টাকা অর্থদন্ড এবং কেন্দ্র ব্যবস্থাপক ইব্রাহিম খলিলকে ৩ বছরের কারাদন্ড ও ৩ লাখ টাকা অর্থদন্ডের আদেশ দেয়া হয়েছে।
অভিযোগ প্রমানিত না হওয়ায় মামলার আসামী তৎকালিন কেন্দ্র ব্যবস্থাপক রতন প্রভা হালদার, মনিরুল ইসলাম, কামরুন্নাহার, মনিরুজ্জামান, রিপন মিয়া ও ওমর ফারুককে বেকসুর খালাশ দেয়া হয়েছে। বরিশাল বিভাগীয় স্পেশাল জজ আদালতের বিচারক মোঃ মহসিনুল হক এ রায় ঘোষণা করেছেন। দন্ডপ্রাপ্ত দেলোয়ার হাসান যশোর ছাতিয়ানতলা এলাকার জয়নাল আবেদিন দফাদারের ছেলে। এছাড়া শাহ আলম বাগেরহাট শরনখোলা চালিতাবুনিয়া এলাকার হাতেম আলী পাহলানের ছেলে ও ইব্রাহিম খলিল পিরোজপুর নেছারাবাদ আউরিয়া এলাকার মোকছেদ আলীর ছেলে। রায় ঘোষণার সময় দন্ডপ্রাপ্তরা পলাতক থাকলেও খালাশপ্রাপ্তরা উপস্থিত ছিল।
২০১০ সালের ২৭ এপ্রিল থেকে ২০১১ সালের ৭ জুলাইয়ের মধ্যে দেলোয়ার হাসান গ্রামীন ব্যাংক বরিশাল রায়পাশা শাখার ব্যবস্থাপক থাকাকালীন সময় শাখা কর্মকর্তা শাহ আলমসহ অন্যান্য কেন্দ্র ব্যবস্থাপকদের পরস্পর যোগসাজসে ঋণ দেয়ার কথা বলে ও তাদের ভূয়া স্বাক্ষর ব্যবহার করে ১৫৪ জন গ্রাহকের ৪৬ লাখ ২৬ হাজার ৬৫০ টাকা আত্মসাত করেন। এঘটনায় ২০১৩ সালের ২ ডিসেম্বর বরিশাল দুর্নীতি দমন কমিশন সমন্বিত জেলা অফিসের সহকারি পরিচালক ওয়াজেদ আলী গাজী পৃথক মামলা দায়ের করেন। ২০১৬ সালের ১৪ জুন মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা উপ-পরিচালক মতিউর রহমান চার্জশীট জমা দেন।
আদালত ১৪ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে পৃথক ১৪টি মামলায় অভিযুক্তদের দোষি সাব্যস্ত করে এ রায় ঘোষনা করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।