Inqilab Logo

বুধবার ০৬ নভেম্বর ২০২৪, ২১ কার্তিক ১৪৩১, ০৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ঢাকায় টিকার ট্রায়াল বাতিলে দিল্লিকে দায়ী করছে বেইজিং

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৭ জানুয়ারি, ২০২১, ৮:৩৪ পিএম

গত বছর ভারতের হস্তক্ষেপের কারণেই চীনের তৈরি করোনা ভ্যাকসিনের ট্রায়াল বাংলাদেশে স্থগিত করা হয়েছিল। মঙ্গলবার এক প্রতিবেদনে এই দাবি করেছে চীনের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম গ্লোবাল টাইমস। চীনের কমিউনিস্ট পার্টি পরিচালিত ওই পত্রিকাটি দাবি করে যে, ঢাকায় ভ্যাকসিন দেয়ার জন্য বেইজিংয়ের প্রচেষ্টা আটকে দিতে নয়াদিল্লি নেপথ্য ভূমিকা রেখেছে।

ভারতের সংবাদ মাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমসে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনের জবাবেই গ্লোবাল টাইমস এই দাবি করে। ওই প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছিল যে, গত অক্টোবরে করোনা ভ্যাকসিনের ট্রায়াল চালানোর অনুমতি পাওয়ার পরে শেষ মুহুর্তে যেয়ে চীনা সংস্থা সিনোভাক বায়োটেক ট্রায়ালের জন্য ঢাকার কাছে আংশিক অর্থায়ন দাবি করে। বাংলাদেশ তা প্রত্যাখ্যান করায় ট্রায়াল বাতিল হয়ে যায়।

গ্লোবাল টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জুলাই মাসে সাক্ষরিত চুক্তি অনুসারে আগস্টে ট্রায়াল শুরু হওয়ার কথা ছিল। তারা এটিও নিশ্চিত করেছে যে, প্রাথমিক চুক্তি অনুসারে বাংলাদেশকে কোন ব্যয় বহন করতে হবে না বলে নিশ্চিত করা হয়েছিল। তবে দুই পক্ষের মধ্যে সমঝোতায় ভারত সরকার আপত্তি করার কারণে, ক্লিনিকাল ট্রায়ালগুলো অক্টোবর পর্যন্ত বিলম্বিত করা হয়।

গত ২২ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশের কাছে সিনোভাক বায়োটেকের লেখা চিঠি অনুসারে, ঢাকা অনুমোদন দিতে বিলম্ব করায়, আগস্টে নির্ধারিত ট্রায়াল পিছিয়ে যায়। ওই চিঠির বরাতে হিন্দুস্তান টাইমস দাবি করে যে, ‘বাংলাদেশে ট্রায়ালের জন্য অনুমোদন পাওয়ার বিষয়ে অনিশ্চয়তার কারণে, সিনোভাক বায়োটেকে এর জন্য নির্ধারিত তহবিল পুনরায় অন্য দেশে ট্রায়াল চালানোর জন্য স্থানান্তর করে নেয়।’

সিনোভাক বায়োটেক আরও দাবি করেছে যে, তারা নতুন সংক্রামক রোগগুলোর বিরুদ্ধে দ্রুত ভ্যাকসিনের বিকাশ করার জন্য গঠিত সংস্থা ‘কোয়ালিশন ফর এপিডেমিক প্রিপার্ডনেস ইনোভেশনস’কে (সিইপিআই) বাংলাদেশে ট্রায়াল চালানোর ব্যপারে তহবিল সরবরাহের জন্য অনুরোধ করেছিল। কিন্তু সেই আবেদন প্রত্যাখ্যান করা হয়। তারা বাংলাদেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেককে লেখা চিঠিতে জানায়, ‘আমরা অক্টোবরের শেষ থেকে নভেম্বরের শুরুর দিকেই তহবিলের পরিস্থিতি আংশিকভাবে সংশোধন করার পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছি। যদিও, আমাদের এখনও বাংলাদেশে পুরো ট্রায়াল সম্পন্ন করতে আর্থিক অংশীদারের প্রয়োজন হবে।’

স্বাস্থ্যমন্ত্রী অক্টোবর মাসে সংবাদ সংস্থা রয়টার্সকে বলেছিলেন যে, মূল চুক্তির বাইরে যেয়ে সংস্থাটি আংশিক অর্থায়ন দাবি করায় ঢাকা এ বিষয়ে আর এগোবে না। তিনি বলেন, ‘আমরা ট্রায়ালের তহবিলে অর্থায়ন করছি না। সেটা চুক্তিতে ছিল না। তারা যখন আমাদের কাছে এসেছিল তখন কোন অর্থই চায়নি ... চুক্তি অনুসারে, তারা ট্রায়ালের সমস্ত ব্যয় বহন করবে, তারা আমাদেরকে ১ রাখ ১০ হাজার ডোজ ভ্যাকসিন বিনামূল্যে দেবে এবং তারা প্রযুক্তিটি আমাদের সাথে ভাগ করে নেবে যাতে আমাদের ফার্মাসিউটিক্যাল সংস্থাগুলো ভ্যাকসিন তৈরি করতে পারে।’

চীনের এই পদক্ষেপের সম্পূর্ণ বিপরীতে, নয়াদিল্লি গত ২১ জানুয়ারী কোভিশিল্ড ভ্যাকসিনের ২০ লাখ ডোজ ঢাকাকে উপহার হিসাবে পাঠিয়েছে এবং বাণিজ্যিকভাকে ৩ কোটি ডোজ ভ্যাকসিন সরবরাহের জন্য পুনে ভিত্তিক সিরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়ার সাথে চুক্তি করতে তাদেরকে সহায়তা করেছে। সূত্র: হিন্দুস্থান টাইমস।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: চীন


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ