পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : জাতীয় মুক্তি কাউন্সিল সভাপতি বদরুদ্দীন উমর বলেছেন, বাংলাদেশের জনগণ তার প্রজা নন, যে জনগণকে ধমক দিয়ে সরকার পরিচালনা করবেন। গতকাল রোববার গণমাধ্যম প্রকাশের জন্য পাঠানো এক বিবৃতিতে শনিবারে গণভবনে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে দেয়া প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের কঠোর সমালোচনা করে তিনি একথা বলেন।
বিবৃতিতে বদরুদ্দীন উমর বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যদি তথাকথিত ‘উন্নয়নের’ চ্যাম্পিয়ন হয়ে থাকেন তবে সাহস থাকে ২০১০ সালের ১২ জানুয়ারি দিল্লিতে সম্পাদিত হাসিনা-মনমোহন চুক্তি জনসম্মুখে প্রকাশ করেন। কেননা, এই চুক্তিই বাংলাদেশকে ভারতের সাথে আষ্টে-পৃষ্ঠে বেঁধে রেখেছে।
কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র দেশের অন্যত্র করার সুযোগ থাকলেও ভারত সুন্দরবন এলাকা ছাড়বে না, তাদের এই এলাকাই চাই। আসলে বঙ্গোপসাগরের উপর ভারতের আধিপত্য বলবৎ রাখার লক্ষ্যেই রামপালকে বেছে নেয়া হয়েছে। ভারত এ অঞ্চলে তার পুঁজি বিনিয়োগের ছুতা ধরে ভবিষ্যতে সামরিক উপস্থিতির বিস্তার ঘটাবে, ঘাঁটি গাড়বে। ইতিমধ্যে হাসিনা-মনমোহন চুক্তি ভারতকে বাংলাদেশের ভেতর করিডোর দিয়েছে।
তিনি বলেন, রামপালে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মিত হলে আগামী ২০ বছরে সুন্দরবন ধ্বংস হবে জেনেও সরকার এই গণবিরোধী ও দেশবিরোধী প্রকল্প থেকে সরছে না। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির ধাপ্পাবাজির নির্বাচনে সাংবিধানিক ধারাবাহিকতার নামে ভারতের উলঙ্গ সমর্থন ও আন্তর্জাতিক সমর্থন আদায়ে সহযোগিতা সরকারকে ভারতের তাবেদারের ভূমিকায় নিয়ে গেছে।
তিনি আরও বলেন, পঞ্চদশ সংশোধনীর মধ্য দিয়ে শেখ হাসিনা ক্ষমতার যে চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত করে রেখেছেন, দেশে জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাস দমনের নামে যে চরম ফ্যাসিবাদী শাসন কায়েম করেছেন তাতে জনগণের মতামতে তার কিছু আসে যায় না। সামরিক শাসক জেনারেল জিয়াউর রহমান ‘উৎপাদনের রাজনীতির’ শোরগোল তুলে ৭৮-৮১ সালে তার সামরিক শাসন দীর্ঘায়িত করার লক্ষ্যে ষড়যন্ত্র করেছিলেন। বর্তমানে শেখ হাসিনা দেশের উন্নয়নের রাজনীতির শোরগোল তুলে তার অনির্বাচিত সরকারের মেয়াদ বাড়ানোর চক্রান্ত করছেন। দেশের এক শ্রেণির দালাল পদলেহী সরকারি টাকা খাওয়া সাংবাদিক-মিডিয়া সরকারের এই গণবিরোধী পদক্ষেপকে নির্লজ্জ সমর্থন দিয়ে এই চক্রান্তের সাথে হাত মিলিয়েছে।
বিবৃতিতে সুন্দরবন সংলগ্ন রামপালে ভারতের কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে, সরকারের ফ্যাসিবাদী শাসনের অবসান ঘটাতে, ভারতের নিয়ন্ত্রণ থেকে দেশকে মুক্ত করতে দেশবাসীর প্রতি ঐক্যবদ্ধভাবে সংগ্রামে শামিল হওয়ার আহ্বান জানানো হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।