বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
বাংলাদেশ আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরকে রাজাকার পরিবারের সন্তান বলায় নোয়াখালী জেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক একরামুল করিম চৌধুরীর পতনের দাবিতে আগামী রোববার সকাল ৬টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত হরতালের ডাক দিয়েছে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আ.লীগ।
গতকাল সন্ধ্যায় ৭টায় নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বসুরহাট রূপালী চত্বরে প্রতিবাদ সমাবেশে বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা বলেন, নোয়াখালীর এমপি একরামুল করিম চৌধুরীর পতন না হওয়া পর্যন্ত নাকে নিশ্বাস থাকা পর্যন্ত এ আন্দোলন চলবে। নোয়াখালীর জেলা আ.লীগের সভাপতি খায়রুল আনম সেলিমকে অনেক শ্রদ্ধা করতাম, তিনি মাতাল একরাম চৌধুরীর সুরে কথা বলেন। তিনি টাকার কাছে বিক্রি হয়ে গেছেন।
কাদের মির্জা বলেন, আমি একরাম চৌধুরী কে বলব তোর অস্ত্রবাজি বন্ধ কর, আমরা অস্ত্রবাজির রাজনীতি করিনা। নোয়াখালীর বিভিন্ন জায়গায় একরাম চৌধুরীর লোক অস্ত্রবাজি করছে। মঙ্গলবার নোয়াখালীতে ওবায়দুল কাদেরকে কটুক্তি করার প্রতিবাদে নোয়াখালীতে হাজার হাজার ত্যাগী আ.লীগ নেতাকর্মীরা সমাবেশের কর্মসূচি দিয়েছে। কর্মসূচির আগে অনেক ত্যাগী নেতাকর্মীকে মারধর করে হাসপাতালে পাঠিয়েছে, বাড়ি বাড়ি সন্ত্রাসী দিয়ে হামলা চালিয়েছে। আহতরা হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আ’লীগের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা খিজির হায়াত খান, সাধারণ সম্পাদক নুরনবী চৌধুরী, উপজেলা আ’লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ইস্কান্দার হায়দার চৌধুরী বাবুল, বসুরহাট পৌরসভা আ’লীগের সভাপতি জামাল উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক আজম পাশা চৌধুরী রুমেল প্রমুখ।
মির্জা কাদের একরাম চৌধুরীর উদ্দেশ্যে বলেন, এখন শুনলাম নোয়াখালীর মাইজদীতে ১৪৪ ধারা জারি করেছেন। আপনি এত জনপ্রিয় লোক ১৪৪ ধারা দিলেন, ডিসি সাহেব এত ভয় কিসের, নীতি নৈতিকতা বিসর্জন দিলেন, পারলে কোম্পানীগঞ্জে ১৪৪ ধারা দেন, কেউ না থাকলে আবদুল কাদের মির্জা একা রাস্তায় থাকবেন।
তিনি ওবায়দুল কাদের সাহেবকে উদ্দেশ্যে করে বলেন, আপনার লোকজন হাসপাতালে আহত হয়ে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে, আর আপনি আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক শুনতে খারাপ লাগছে। জেলের ভয় দেখাবেন না, আপনার চেয়েও বেশি জেল খেটেছি, আপনি আমাদের আদর্শ, আপনি আমাদের গর্ব, আপনার প্রতি আমাদের শ্রদ্ধা আছে, আমরা শনিবার পর্যন্ত অপেক্ষা করব, এরপর কোম্পানীগঞ্জের মানুষ আপনাকে শ্রদ্ধা করবে না। একরাম চৌধুরীর পতন না হওয়ার পর্যন্ত কোম্পানীগঞ্জের জনগণ আন্দোলন চালিয়ে যাবে। তিনি আরও বলেন, আগামী ৩১ জানুয়ারি রবিবার কোম্পানীগঞ্জে হরতাল।
এ হরতালে গাড়ি, দোকানপাটসহ সব বন্ধ থাকবে। একটি পাখিও উড়তে পারবে না। সাধারণ সম্পাদক সাহেব শাসন করতে শিখেছেন, আদর করতে শিখেননি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।