Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

চীনের সেই স্বর্ণ খনিতে ৯ শ্রমিকের মরদেহের সন্ধান

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৫ জানুয়ারি, ২০২১, ৭:১৩ পিএম

১৫ দিনের শ্বাসরুদ্ধকর অভিযানের পর অবশেষে চীনের সেই স্বর্ণের খনি থেকে ৯ শ্রমিকের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এর একদিন আগে ১৩ দিন আটকে থাকার পর ওই খনি থেকে ১১ শ্রমিককে জীবিত উদ্ধার করা হয়। এখনও নিখোঁজ রয়েছে এক শ্রমিক। তার ভাগ্যে কী ঘটেছে তা এখনও জানা যায়নি। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।

গত ১০ জানুয়ারি চীনের শানডং প্রদেশের হুশানে এক সোনার খনিতে বিস্ফোরণের পর খনির প্রবেশ মুখটি ধ্বসে পড়েছি। ঝাওজিন নামের ওই খনিটির মালিক শানডং উকাইলং ইনভেস্টমেন্ট। এটি চীনের চতুর্থ বৃহত্তম সোনার খনি। বিস্ফোরণের ফলে খনিতে ২২ জন শ্রমিক মাটির ২,০০০ ফুট (৬৬০ মিটার) গভীরে আটকা পড়ে যান। এর মধ্যে একজনের মৃত্যু হয়। দুর্ঘটনার পর থেকে আটকে পড়া শ্রমিকদের সঙ্গে যোগাযোগ করা যাচ্ছিল না। পরবর্তীতে উদ্ধারকারী দল একটি সরু সুড়ঙ্গ খুঁড়ে শ্রমিকদের কাছে ওষুধ এবং খাবার সরবরাহ করে। এক স্থানে আটকেপড়া ওই শ্রমিকদের রবিবার জীবিত অবস্থায় বের করে আনতে সক্ষম হয় উদ্ধারকারীরা।

সোমবার ইয়ানতাই শহরের মেয়র জানিয়েছেন, খনিতে আটকে পড়া বাকি নয় শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারমাধ্যম সিসিটিভি’কে তিনি মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন। তবে হতভাগ্যদের লাশ উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে কিনা তা এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

যেভাবে আটকা পড়লেন খনি শ্রমিকরা
অজ্ঞাত বিস্ফোরণে খনির প্রবেশ মুখটি ধসে পড়লে নিচে কর্মরত শ্রমিকদের সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এক সপ্তাহ সময় ধরে জানাই যাচ্ছিল না যে এরা আদৌ প্রাণে বেঁচে আছেন কিনা।

গত রোববার উদ্ধারকর্মীরা ধ্বংসস্তূপের ভেতর দিয়ে যেসব রশি নামিয়ে দিয়েছিলেন সেখানে একটা টান অনুভব করেন। প্রথম যে শ্রমিককে উদ্ধার করা হয় তিনি বাদবাকিদের কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন অবস্থায় ছিলেন। এরপর আটকে থাকা শ্রমিকরা রাশিতে বেঁধে এক টুকরো কাগজ উপরে পাঠাতে সক্ষম হন।
সেখান থেকেই জানা যায় যে ঐ দলে ১১ জন শ্রমিক জীবিত আছেন এবং তাদের চেয়ে মাটির আরও একটু নীচে একজন রয়েছেন।
উল্লেখ্য, চীনে প্রায়ই খনি দুর্ঘটনা ঘটে চলেছে। সরকারি বিধি-নিষেধ অগ্রাহ্য করে খনির কাজকর্ম পরিচালিত হওয়ার ফলে প্রতি বছরই বহু শ্রমিক বিভিন্ন দুর্ঘটনায় প্রাণ হারাচ্ছেন। গত বছরের ডিসেম্বরে চীনের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় চোংকিং শহরে একটি খনিতে আটকা পড়ে কমপক্ষে ১৮ জনের মৃত্যু হয়। ডায়াসুইডং কয়লা খনিতেও দুর্ঘটনায় ২৪ জন শ্রমিক আটকে পড়েছিলেন। পরে কয়েকজনকে সেখান থেকে উদ্ধার করা সম্ভব হলেও বেশিরভাগ শ্রমিক কার্বন মনোঅক্সাইড গ্যাসের কারণে প্রাণ হারান। গত বছরের সেপ্টেম্বরে একটি কয়লা খনিতে কার্বন মনোঅক্সাইডের মাত্রা বেড়ে যাওয়ায় কমপক্ষে ১৬ শ্রমিক প্রাণ হারান। সূত্র : বিবিসি



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: চীন


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ