মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
বিশ্ব পরাশক্তি চীনে বিস্ফোরণের শিকার একটি খনিতে দুই সপ্তাহ আটকে থাকার পর অবশেষে ১১ জন শ্রমিককে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। তারা মাটির ৬শ মিটার নিচে আটকা পড়েছিলেন। গতকাল রবিবার (২৪ জানুয়ারি) রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা সিনহুয়ার খবরে ওই শ্রমিকদের জীবিত উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।
ব্রিটেনের সংবাদ মাধ্যম বিবিসি জানায়, গত ১০ জানুয়ারি চীনের শ্যানডং প্রদেশের হুশান স্বর্ণখনিতে একটি বিস্ফোরণের ফলে ২২ জন শ্রমিক আটকা পড়েন। এই দুর্ঘটনার দুই সপ্তাহ পর কর্তৃপক্ষ ১১ জন শ্রমিকের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাদেরকে উদ্ধার করতে পেরেছে দেশটির উদ্ধারকারী দল। বাকী যে ১১ জন রয়েছে তাদের মধ্যে একজন পরবর্তীতে মারা যায় এবং ১০ জনের সাথে এখনো যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
সিসিটিভির ওয়েইবো মাইক্রোব্লগ সাইট একটি পোস্টে জানা যায়, যে শ্রমিককে উদ্ধার করা হয়েছে সে প্রচণ্ড দুর্বল। তাকে উদ্ধারের পর তাৎক্ষণিক ভাবেই হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আরেকজনকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। বেঁচে যাওয়া শ্রমিকরা উদ্ধারকারীদের জানান: তাদের অবস্থানের আরও একশ মিটার গভীরে একজন শ্রমিকের সঙ্গে তারা যোগাযোগ করতে পেরেছিলেন। কিন্তু পরে তার সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
বিবিসি আরও জানায়, আটকেপড়া বাকিদের অবস্থা সম্পর্কে কর্তৃপক্ষ এখনও কিছু জানতে পারেনি। খনির অন্যান্য অংশে খাবার এবং বার্তা আরও নিচে পৌঁছানোর পরেও তাদের সঙ্গে এখন পর্যন্ত কোনো যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
এ বিষয়ে ডু বলেন, খনির সিক্সথ সেন্টারাল সেকশনে আটকে থাকা বাকী শ্রমিকদের উদ্ধারকারী দল কখন উদ্ধার করতে পারবে তা এখনো জানা সম্ভব হয়নি।
ঝাওজিন নামের ওই খনিটি শানডং উকাইলং ইনভেস্টমেন্টের। এটি চীনের চতুর্থ বৃহত্তম স্বর্ণের খনি। চীনের বিভিন্ন খনিতে প্রায়ই এ ধরনের দুর্ঘটনা ঘটে থাকে। নিরাপত্তা ব্যবস্থার ত্রুটি ও সরকারি বিভিন্ন নিষেধাজ্ঞা অমান্য করেই এসব খনির কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। ফলে প্রতি বছরই বহু শ্রমিক বিভিন্ন দুর্ঘটনায় প্রাণ হারাচ্ছে।
এর আগে গত বছরের ডিসেম্বরে চীনের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় চোংকিং শহরে একটি খনিতে আটকা পড়ে কমপক্ষে ১৮ জনের মৃত্যু হয়। ডায়াসুইডং কয়লা খনিটিতে মোট ২৪ জন আটকা পড়েছিল। কয়েকজনকে সেখান থেকে উদ্ধার করা সম্ভব হলেও বেশিরভাগ শ্রমিক কার্বন মনোঅক্সাইড গ্যাসের কারণে প্রাণ হারান।
গত বছরের সেপ্টেম্বরেও আরও একটি দুর্ঘটনা ঘটে। সে সময় সংজাও কয়লা খনিতে কার্বন মনোঅক্সাইডের মাত্রা বেড়ে যাওয়ায় কমপক্ষে ১৬ জনের মৃত্যু হয়। সূত্র : বিবিসি
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।