মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ভারতে ধর্ষণ এবং যৌন সহিংসতার বিষয়টি ব্যাপকভাবে সবার মনোযোগের কেন্দ্রে আসে ২০১২ সালে। সে বছর দিল্লিতে একটি চলন্ত বাসে ধর্ষণের শিকার হয়েছিলেন ২৩ বছর বয়সী এক তরুণী, ফিজিওথেরাপির এক ছাত্রী।
দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হওয়ার সময় এই তরুণী যেভাবে ক্ষত-বিক্ষত হয়েছিলেন, তার ফলে কয়েক দিন পরে তিনি মারা যান। ২০২০ সালের মার্চ মাসে এই ঘটনার জন্য অভিযুক্ত চারজনকে ফাঁসি দেওয়া হয়।
এ ঘটনার পর ভারতে যৌন সহিংসতার বিষয়টি ক্রমবর্ধমানভাবে আরো বেশি আলোচনায় আসলেও, পরিস্থিতি পাল্টায়নি। হামলার ঘটনা দিনে দিনে আরও বাড়ছে।
যেসব ধর্ষকের ব্যাপারে কখনোই মামলা করা হয় না বা যাদের কোন সাজা হয় না, তাদের খুঁজে বের করতে চেয়েছিলেন তারা কোওশেল। তিনি দেশের বিভিন্ন প্রান্তে মোট ৯ জন লোকের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন যাদের সবার বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ আছে। কিন্তু এসব অভিযোগ সরকারিভাবে কর্তৃপক্ষ কখনো তদন্ত করে দেখেনি।
নিজের বইতে তারা লিখেছেন, "আমি এদের সঙ্গে তাদের বাড়ির নিজস্ব পরিবেশের মধ্যে সময় কাটিয়েছি; আমি তাদের এবং তাদের পরিবারের সদস্য ও বন্ধুদের সাক্ষাৎকার নিয়েছি, তাদের পর্যবেক্ষণ করেছি।"
"আমি ছদ্মবেশে তাদের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলাম- ছদ্মনামে আমি তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করি। এই নামে আমার ইমেইল এবং ফেসবুক আইডি ছিল।"
তারা কোওশাল যখন ধর্ষণকারীদের সাক্ষাৎকার নেয়ার কাজটি করছিলেন, তখন এর একটা গভীর প্রভাব পড়েছিল তার শরীর-মনের ওপর।
২০১৭ সালে তিনি যখন তার গবেষণা শুরু করেন, তারপর থেকেই তিনি বিষণ্ণতায় আক্রান্ত হতে থাকেন। হঠাৎ হঠাৎ মাথা ঘুরে অচেতন হয়ে যান। কোন কোনদিন কেবল অঝোর কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন।
খুব বেশিদিন আগের কথা নয়, দিল্লির উপকণ্ঠে নয়ডার বাসাবাড়িতে একদিন তারা নিজেকে আবিষ্কার করলেন একা তাঁর বেডরুমে, দরোজায় ভেতর থেকে খিল দেয়া।
"আমার পার্টনার সাহিল তখন দরোজায় জোরে জোরে শব্দ করছে, খোলার চেষ্টা করছে। বার বার জানতে চাইছে আমি ঠিক আছেন কিনা," বলছিলেন তিনি।
"আমি তখন ভেতরে জোরে জোরে চিৎকার করে কাঁদছি। আমি তখন বুঝতে পেরেছিলাম আমার আসলে থেরাপি দরকার।"
যৌন সহিংসতার ট্রমা আসলে কী, সেটা এই গবেষণায় যুক্ত হওয়ার অনেক আগে তারা নিজের অভিজ্ঞতা থেকেই জেনেছেন।
এ নিয়ে তিনি কথা বলতে শুরু করেছিলেন যখন তার বয়স ১৬ তখন থেকে।
"আমি মাত্র ৪ বছর বয়সে ধর্ষণের শিকার হই আমাদের বাগানের মালীর হাতে," নিজের পিতা-মাতাকে জানিয়েছিলেন তিনি।
ঘটনা শুনে তার বাবা-মা একেবারে স্তম্ভিত হয়ে গেলেন। কিন্তু তারার জন্য এটি যেন একটা বাঁধ ভেঙ্গে সব অর্গল খুলে যাওয়ার মতো ব্যাপার হয়ে দাঁড়ালো।
ঠিক সেই মুহূর্ত থেকে যে যৌন সহিংসতার শিকার তিনি হয়েছিলেন, সেটা নিয়ে কথা বলতে শুরু করলেন। এ নিয়ে তিনি প্রকাশ্য বিতর্কে অংশ নেয়া শুরু করলেন, বন্ধুদের জানালেন- এমনকি একটা বইও লিখে ফেললেন।
"সেই ঘটনার কিছু স্মৃতি আমার মনে আছে," বলছিলেন তিনি।
"আমি লোকটার নাম জানতাম। লোকটা দেখতে কেমন ছিল আমার মনে আছে। লোকটার কোঁকড়া চুল এবং আমার নীল রঙের পোশাকে রক্তের দাগ, সবকিছু আমার মনে আছে।"
তারা যখন বেড়ে উঠছিলেন, তখন তখন ভারতে প্রতিদিন যেসব যৌন হামলার ঘটনা ঘটে সেগুলো নিয়ে ভাবতেন। কেন এই ধরনের যৌন সহিংসতা ঘটে সেটা জানার আগ্রহ তৈরি হলো তার মধ্যে।
বিবিসিকে তিনি বলেন, "আমার 'পুরুষ কেন ধর্ষণ করে' বইটি আসলে নিজের দীর্ঘ ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা এবং আমার পেশাগত অভিজ্ঞতার একটা চূড়ান্ত সম্মিলন বলতে পারেন।"
"কিন্তু এই কাজটা করতে গিয়েও আমি অনেক ট্রমার মধ্য দিয়ে গেছি।" বিবিসি বাংলা
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।