প্রাক্তন প্রেমিকের নির্যাতনের শিকার অভিনেত্রী
মালায়ালাম সিনেমার অভিনেত্রী আনিকা বিক্রমন। প্রাক্তন প্রেমিক অনুপ পিল্লাই তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করেছেন বলে অভিযোগ
অভিনেতা মজিবুর রহমান দিলু মারা গেছেন। আজ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৬টায় রাজধানী ইউনাইটেড হাসপাতালে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
তার বড় ভাই নাট্যব্যক্তিত্ব আতাউর রহমান এ কথা নিশ্চিত করেছেন।
তিনি তার ফেসবুকে এক বার্তা দিয়ে লিখেছেন, ‘আমার ছোট ভাই বীর মুক্তিযোদ্ধা, কীর্তিমান মঞ্চ ও টেলিভিশান অভিনেতা মুজিবুর রহমান দিলু নিউমনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে আজ সকাল ৬টা ৩৫ মিনিটে এই পৃথিবীর মায়া ছেড়ে অসীমের যাত্রী হয়েছেন। সে জীবন যুদ্ধে যেমন ছিল এক পরাক্রান্ত সৈনিক, তেমনি ছিল এক বর্ণিল জীবনের অধিকারী। তাঁর আত্মার চির শান্তি কামনাই দেশবাসীদের কাছে আমাদের প্রত্যাশা।’
উল্লেখ্য, এই অভিনেতার শারীরিক অবস্থা সংকটাপন্ন হলে গত শুক্রবার সন্ধ্যায় তাকে গুলশানের একটি হাসপাতালের আইসিইউতে [নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র] স্থানান্তর করা হয়।
ওই সময় তার ছেলে অয়ন বলেন, ‘আব্বুর শারীরিক অবস্থা এখন ভালো নয়। ফুসফুসের সংক্রমণ খারাপের দিকে যাচ্ছে, যা খুবই উদ্বেগের। এরই মধ্যে তার শরীরে প্লাজমা দেওয়া হয়েছে। কভিড ১৯ নেগেটিভ হলেও সন্দেহ থেকেই চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘২০০৫ সালে গুলেন বারি সিনড্রোমে আক্রান্ত হয়ে দীর্ঘদিন কোমায় ছিলেন বাবা। পরে তিনি সুস্থ হয়ে স্বাভাবিক জীবনযাপন শুরু করেন।’
জানা গেছে, ফুসফুসে সমস্যা নিয়ে গত মঙ্গলবার রাতে উত্তরার বাসার পাশেই একটি হাসপাতালে ভর্তি হন দিলু। ভর্তির পর চিকিৎসক জানিয়েছেন, তার শরীরের ফুসফুসের বাঁ পাশে ৭০ শতাংশ আক্রান্ত হয়েছে। আর ডান পাশে ১০ শতাংশ।
আজ তিনি চলে গেলেন না ফেরার দেশে।
উল্লেখ্য, দিলুর অভিনয় শুরু মঞ্চ থেকে। ১৯৭২ সালে বিটিভির তালিকাভুক্ত শিল্পী হন তিনি। ১৯৭৬ থেকে নিয়মিত অভিনয় করছেন। মাঝে দীর্ঘদিন অভিনয় থেকে দূরে ছিলেন। তার উল্লেখযোগ্য নাটকগুলো হলো- ‘তথাপি’, ‘সময় অসময়’, ‘সংশপ্তক’ প্রভৃতি। মঞ্চে ‘আমি গাধা বলছি’, ‘নানা রঙের দিনগুলি’, ‘জনতার রঙ্গশালা’ প্রভৃতি।
স্কুলে পড়ার সময়ই স্বাধিকার আন্দোলনের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছিলেন তিনি। ঊনসত্তরের গণ-অভ্যুত্থানে যে মিছিলে গুলিতে আসাদ শহীদ হয়েছিলেন সেই মিছিলে ছিলেন দিলুও। ১৯৭০ সালে মেট্রিক পরীক্ষা দিয়েই যুদ্ধে চলে যান তিনি। ভারত থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে বাংলাদেশে ফিরে ঢাকায় সরাসরি রণাঙ্গনে ছিলেন তিনি। নাসির উদ্দিন ইউসুফ বাচ্চু ছিলেন সেকেন্ড ইন কমান্ড। সেসময় তিনি ঢাকায় কয়েকটি দুঃসাহসিক অভিযান পরিচালনা করেছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।