বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
বেগমগঞ্জ উপজেলার একলাশপুর ইউনিয়নে এক নারীকে বিবস্ত্র করে নির্যাতনের ঘটনার পর এবার জেলার হাতিয়ায় ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে ৩২বছর বয়সী এক গৃহবধূকে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার চানন্দী ইউনিয়নের আদর্শ গ্রামে নির্যাতনের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়ে পড়লে বিষয়টি গণমাধ্যমের নজরে আসে। এ ঘটনায় নির্যাতিতা বাদী হয়ে আদালতে একটি মামলা দায়ের করলে মামলটি তদন্তে নামেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গোলাম ফারুক।
রোববার দুপুরে হাতিয়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গোলাম ফারুক জানান, মামলা দায়েরের পর গত ১২জানুয়ারি মঙ্গলবার তিনি মামলার কপি পেয়েছেন। মামলাটির বর্তমানে তদন্ত চলছে। সাত কর্মদিবসের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে। অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা হবে।
জানা গেছে, মামলার প্রধান আসামী জিয়া বাহিনীর প্রধান জিহাদ (৩০) ওই গৃহবধূকে দীর্ঘদিন ধরে কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিল। কিন্তু গৃহবধূর কাছ থেকে কোন সাড়া না পেয়ে ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে জিহাদ। গত ১জানুয়ারি শুক্রবার ওই নারীর স্বামী বাড়ীতে না থাকার সুযোগে রাত ৯টার দিকে পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী জিহাদ তার চার সহযোগিকে নিয়ে তাদের বাড়ীতে ডুকে। এসময় সহযোগি ফারুক, এনায়েত, ভুট্ট মাঝি ও ফারুক হোসেনকে বাহিরে রেখে গৃহবধূর ঘরে ডুকে জিহাদ। বাচ্চাদের নিয়ে ঘুমে থাকা গৃহবধূর পরনের শাড়ী ও ব্লাউজ টেনে হিঁছড়ে তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণের চেষ্টা চালায় জিহাদ। কিন্তু গৃহবধূ জিহাদের সাথে ধস্তাধস্তি শুরু করলে ফারুক ও ফারুক হোসেন ঘরে এসে তারাও তাকে ধর্ষণের চেষ্টা চালিয়ে তার গোপনাঙ্গে আঘাত করে ব্যাপক জখম করে। ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে ঘুমে থাকা ওই নারীর ছেলে মেয়ে জেগে চিৎকার শুরু করলে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এসে তাকে উদ্ধার করে। স্থানীয় লোকজনের উপস্থিতিতেও ওই নারীকে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে জখম ও তলপেটে লাথি মেরে আহত করে মামলার আসামীরা। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় গৃহবধূর স্বামী তাকে উদ্ধার করে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করলে গত ২ ও ৩ জানুয়ারি হাসপাতালে চিকিৎসা নেন তিনি। এ ঘটনায় গত ৪জানুয়ারি হাতিয়ায় থানায় গেলে তাদের পরামর্শমতে ৫জানুয়ারি মঙ্গলবার নির্যাতিতা বাদী হয়ে নোয়াখালী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এ পাঁচজনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।