বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর আমীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাই বলেছেন, দেশের নির্বাচনী ব্যবস্থাকে সরকার পুরোপুরি ধ্বংস করে দিয়েছে। জাতীয় নির্বাচনের মতো পৌর নির্বাচনেও প্রতিটি ভোটকেন্দ্র ক্ষমতাসীনরা দখলে রেখেছে। অন্য দলের এজেন্টদেরকে কেন্দ্রেই ঢুকতে দেয়া হয়নি। অন্যায়ভাবে প্রশাসনকে ব্যবহার করে ভোট প্রদানের গোপন কক্ষেও আওয়ামী লীগের লোকজন বসে ছিল। এটা কেমন নির্বাচন ব্যবস্থা আমাদের বুঝে আসে না।
আজ শনিবার রাজধানীর গাবতলীস্থ জমিদার বাড়ি মসজিদ প্রাঙ্গণে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগর উত্তরের উদ্যোগে আয়োজিত অসহায় ও ছিন্নমুল মানুষের মধ্যে কম্বল বিতরণকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পীর সাহেব চরমোনাই এসব কথা বলেন। এসময় অসহায় ও ছিন্নমুল ৭০০ পরিবারকে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়। সংগঠনের উত্তর সভাপতি অধ্যক্ষ মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদের সভাপতিত্বে এবং সেক্রেটারী মাওলানা আরিফুল ইসলামের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জয়েন্ট সেক্রেটারী নূরুল ইসলাম নাঈম, মুফতী শরীফুল ইসলাম, ইঞ্জিনিয়ার গিয়াস উদ্দিন, আলহাজ্ব আলাউদ্দিন, দারুস সালাম থানা সভাপতি আলহাজ্ব আবু ইউসুফ, সেক্রেটারী মুফতী রহমতুল্লাহসহ আরও অনেকে।
পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে দেশ স্বাধীন হয়েছে কিন্তু স্বাধীনতার প্রকৃত লক্ষ্য অর্জন করা সম্ভব হয়নি। বাংলাদেশের স্বাধীনতার প্রেক্ষাপট রচিত হয়েছিলো ভোটাধিকারের প্রশ্নে। অথচ স্বাধীনতার ৫০ বছর পরেও বাংলার মানুষ ভোটের অধিকার থেকে বঞ্চিত। এর চেয়ে লজ্জাজনক আর কিছু হতে পারে না।
পীর সাহেব বলেন, দেশের অসহায় ও ছিন্নমুল জনগোষ্ঠির দু:খ দুর্দশা লাঘবে সরকার এবং ধনাঢ্য ব্যক্তিদের সমন্বিত উদ্যোগ নেই। বাংলাদেশে অসংখ্য ধনাঢ্য ব্যক্তি রয়েছেন। তারা যদি যথাযথভাবে তাদের সম্পদের যাকাত আদায় করে তাহলে দেশের কোন অসহায় ছিন্নমুল মানুষ থাকার কথা না। এছাড়া সরকারের তরফ থেকেও এসব গরীবদের জন্য এ পর্যন্ত পরিকল্পিত স্থায়ী কোন পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি। ফলে এদের জীবন ধারায় কোন পরিবর্তন আসেনি। এক্ষেত্রে সরকার এবং সমাজের বিত্তশালীদের সমন্বয়ে স্থায়ী পরিকল্পনার মাধ্যমে অসহায় মানুষের দু:খ দুর্দশা থেকে মুক্তি দেয়া সম্ভব। এক্ষেত্রে দেশের ধনবান ব্যক্তিদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।
সভাপতির বক্তব্যে অধ্যক্ষ শেখ ফজলে বারী মাসুদ বলেন, অসহায় ও ছিন্নমুলদের আর্থিক সংকটের কারণে শীতবস্ত্র কিনতে পারে না। এই তীব্র শীতের মধ্যেও তারা রাস্তাঘাটে, খুপড়ি ঘরে পাতলা কাঁথা গায়ে দিয়ে ঘুমায়। এসব অসহায় মানুষের শীত কষ্ট কিছুটা যাতে লাঘব করতে আমাদের এই ক্ষুদ্র আয়োজন। তিনি বলেন, শীতে দরিদ্র-অসহায় মানুষের প্রয়োজনীয় শীতবস্ত্র না থাকায় কষ্ট করতে হয়। অনেকে আবার শীত জনিত কারণে নানা রোগে আক্রন্ত হয়। সমাজের এতিম ও অসহায় মানুষদের কল্যাণে বিত্তবানদের এগিয়ে আসা উচিত।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।