বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
বরিশাল নগরীতে অনুমোদন ছাড়া ভবন নির্মাণের কাজ অব্যাহত রাখা ও সড়ককে এনক্রচমেন্ট করায় বরিশাল মহানগর ছাত্রলীগ সভাপতি জসিম উদ্দিনের সাগরদি ব্রিজ এলাকায় নির্মাণাধীন ৬ তলা বিশিষ্ট বাণিজ্যিক ভবনের একাংশ ভেঙ্গে দিয়েছে বরিশাল সিটি কর্পোরেশন। সোমবার বিকেলে নগরীর ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের রূপাতলী সাগরদি ব্রিজ এলাকায় সিটি কর্পোরেশন এ অভিযান চালায়।
সিটি কর্পোরেশনের কার্যক্রমের সময়ে প্রশাসনিক কর্মকর্তা, স্থানীয় কাউন্সিলর সহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন। সিটি কর্পোরেশন থেকে পূর্বে কোন নোটিশ দেয়া হয়নি বলে অভিযোগ করেছেন ছাত্রলীগ সভাপতি জসিম উদ্দিনের বড় ভাই মনিরুজ্জামান (মনির)। এবিষয়ে ছাত্রলীগ সভাপতি জসিম উদ্দিন সাংবাদিকদের জানান, তিনি মেয়রের অনুসারী নন। রাজনৈতিক প্রতিহিংসামূলক কারণেই তার নির্মাণাধীন বৈধ ভবনটি কোন নোটিশ ব্যতীত এবং ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতি ছাড়াই ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে। তিনি দেশের একজন নাগরিক হিসাবে প্রধানমন্ত্রীর নিকট এর প্রতিকার চেয়েছেন। ছাত্রলীগ সভাপতি জানান, সিটি কর্পোরেশনের অনুমতি নিয়েই তিনি ভবন নির্মাণ করছিলেন। বিসিসি থেকে ভবনের নির্মাণ কাজ বন্ধ রাখতে বলার পরে নির্মাণ কাজ বন্ধও রাখা হয়েছিল।
কিন্তু হঠাৎ করে একটি নোটিশ টাঙিয়ে বরিশাল সিটি কর্পোরেশন ভাবনটি ভেঙে দেয়। কি কারণে তার ভবনটি ভাঙা হয়েছে তাও কেউ জানায়নি। শুধু মাত্র রাজনৈতিক প্রতিহিংসার বহিঃপ্রকাশ করা ও তার উপর প্রতিশোধ নিতে এই কাজ করা হয়েছে বলে তিনি অভিযোগ করেন। তিনি জানান, তিনি ও তার অপর দুই ভাই মনির হোসেন ও অসীম হাওলাদারের নামে সাগরদি এলাকায় ক্রয়কৃত ৮ শতাংশ জমিতে ৭ তলা ভবন নির্মাণের জন্য ২০১৭ সালে সিটি কর্পোরেশন থেকে প্ল্যান অনুমোদন নেওয়া হয়েছে। মূল সড়ক থেকে ৬ ফুট ছেড়ে স্থাপনা নির্মাণের নিয়ম থাকলেও তারা ৮ ফুট ফাঁকা রেখে ২০১৯ সালে নির্মাণ কাজ শুরু করেন।পরবর্তীতে ২০১৯ সালের জুন মাসে ২০ তারিখ বিসিসি থেকে কাজ বন্ধ করতে বলে এবং সাত দিনের মধ্যে জবাব চেয়ে একটি নোটিশ প্রদান করে। পরবর্তীতে ২০১৯ সালের ২০জুন সকল কাগজপত্র জবাব প্রদান করা হয়।কিন্তু বেশ কয়েকদিন পার হলেও বিসিসি থেকে কোনো নির্দেশনা না পাওয়ায় পুনরায় ২০২০ সালের জুলাই মাসে কাজ শুরু করার প্রসঙ্গে অনুমোদন চেয়ে দরখাস্ত জমা দিলেও কোনো উত্তর দেয়নি বিসিসি। অতঃপর ২০২০ সালের আগস্টের ১৯ তারিখ বিসিসি থেকে একটি চিঠি প্রদান করে এবং সার্ভেয়ার দ্বারা জমি পরিমাপ ও বিসিসির উপরস্থ কর্মকর্তারা ভবন পরিদর্শন করেন । তখন তারা ভবনের পিছনের দিক থেকে ৬ফুট জায়গা রাখার নির্দেশনা প্রদান করেন। পরবর্তীতে ভবনের পেছনের ৬ফুট জায়গায় নির্মাণাধীন অংশ অপসারণ করে তার ভিডিও ফুটেজ সহ ২০২০ সালের জুলাই মাসের ২তারিখ বিসিসিতে জমা দেওয়া হয়। সকল কিছু সংশোধন করে বিসিসিতে জমা দেবার পরেও কোন উত্তর না পাওয়ায় সমস্যার সমাধান হয়েছে ধরে নিয়ে ২০২০সালের নভেম্বর মাসে ৯ তারিখে বিসিসি মেয়র বরাবর লিখিত দরখাস্তের মাধ্যমে তাকে সকল বিষয় অবহিত করা হয়। বিসিসি'র কোনও নির্দেশনা না পাওয়ায় ভবনের কাজ দীর্ঘদিন যাবত বন্ধ রয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।