বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
বরিশালের উজিরপুরে এক গৃহবধূকে শ্লীলতাহানির ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলার আসামী গ্রেফতারের পর স্বজনরা থানায় ঢুকে আসামীর ওপর হামলায় পুলিশ সহ ৭ জন আহত হয়েছে। গুরুতর আহত ৫ জনকে উজিরপুর উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় মঙ্গলবার ১৫ জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেছেন উজিরপুর থানার এসআই মাহবুব হোসেন। গৃহবধূর শ্লীলতাহানির অভিযোগে আটক আসামীর ওপর হামলাকারী ৪ জনকে মঙ্গলবার ওই মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে প্রেরণ করা হয়। আদালত আসামীদের জেল হাজতে প্রেরণের নির্দেশ দিয়েছে।
সোমবার দুপুরে উজিরপুর উপজেলার ইচলাদি বাসষ্ট্যান্ডে আজিজ ফকিরের মুদি দোকানে কেনাকাটা করতে যান একই উপজেলার মুন্ডপাশা গ্রামের এক গৃহবধূ (২৬)। এ সময় দরদাম নিয়ে আজিজ ফকিরের সঙ্গে গৃহবধূর কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে দোকানদার আজিজ ফকিরের বখাটে ছেলে নোমান ফকির (২৪) গৃহবধূর শরীরে হাত দিয়ে শ্লীলতাহানি ঘটায় এবং মারধর করে।
এ ঘটনায় গৃহবধূর স্বামী উজিরপুর থানায় মামলা দায়ের করলে পুলিশ বিকালে নোমান ফকিরকে (২৪) গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসে। গ্রেফতারের খবর পেয়ে গৃহবধূর স্বজন সজিব হাওলাদার, মাইনুল ইসলাম রাজীব, হাসান শেখ, সাইফুল ইসলাম ও সজল হাওলাদার সহ ১০/১২ জন লাঠিসোটা নিয়ে সোমবার বিকেলে থানায় ঢুকে আসামি নোমান ফকিরের উপর হামলার চেষ্টা করে।
পুলিশ আসামিকে রক্ষার জন্য এগিয়ে এলে তাদের ওপরও হামলা চালায় ঐসব সন্ত্রাসীরা। এসময় পুলিশের সঙ্গে হামলাকারীদের সংঘর্ষে উজিরপুর থানার এসআই মোঃ মাহাবুব হোসেন , এসআই সুদেব হালদার, এ এস আই মোঃ হাসান, হামলাকারী সজিব হাওলাদার, মাইনুল ইসলাম রাজীব, হাসান শেখ, সাইফুল ইসলাম ও সজল হাওলাদার সহ ৭ জন আহত হন। গুরুতর আহত ৫ জনকে উজিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। পুলিশ হামলাকারী সজিব হাওলাদার, মাইনুল ইসলাম রাজীব, হাসান শেখ, সাইফুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করেছে। হামলার অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে গ্রেপ্তারকৃতরা বলেন, পুলিশের উপর নয় তারা নোমান ফকিরের উপর হামলা করেছিল।
উজিরপুর থানার ওসি তদšত মোঃ মাহাবুবুর রহমান থানায় হামলার কথা স্বীকার করে সাংবাদিকদের বলেন, থানায় ঢুকে আসামির উপর হামলা চালায় একদল সন্ত্রাসী। পুলিশ আসামিকে রক্ষার জন্য এগিয়ে গেলে তাদের ওপর হামলা চালিয়ে রক্তাক্ত জখম করা হয় বলে জানান তিনি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।