পশ্চিম তীরে সহিংসতা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ
জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এই বৈঠকে তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনের
কাঁটাতারের বেড়া স্থাপনকে কেন্দ্র করে বেলুচিস্তানে ব্যাপক বিক্ষোভের দেখা দিয়েছে। চীনের কোম্পানিগুলোকে রক্ষার জন্য গোয়াদার বন্দরের ২৪ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে কাঁটাতারের বেড়া স্থাপন করছে পাকিস্তান সরকার। চীন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডোর (সিপিইসি) ‘মুকুট মণি’ হিসেবে এই স্থানকে আখ্যায়িত করেছে পাকিস্তান। সংবাদমাধ্যম এশিয়ান টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয় যে, এই শহরটির ভেতর যখন পরিস্থিতি বুঝে যখন তখন কারফিউ জারি করার পরিকল্পনা করছে পাকিস্তান সরকার। আর এতে বিপাকে পড়বে বেলুচিস্তানের জনগণ যারা গোয়দার বন্দরের আশেপাশে বসবাস করে। বেলুচিস্তানের জনগণ চীন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডোর (সিপিইসি) বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন। স¤প্রতি সময়ে বেলুচিস্তানের বিচ্ছিন্নতাবাদীদের হুমকিতে চীনের কোম্পানিগুলো বিপাকে পড়েছে। আর এ জন্যই আলাদা একটি শহর গড়ে তুলে চীনের কোম্পানিগুলোকে রক্ষা করতে চাইছে পাকিস্তান। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এখন বেলুচ লোকদের প্রবেশের জন্য বিশেষ কাগজপত্র লাগবে। প্রশ্ন জেগেছে, পাকিস্তান কী বেলুচ জনগণকে তাদের নিজ অঞ্চলে প্রবেশ করার জন্য ভিসা দিচ্ছে? এর আগে ফ্রিল্যান্সার সাংবাদিক এফ এম শাকিল তার একটি আর্টিকেলে লেখেন, পাকিস্তানের সেনাবাহিনী, মাক্রান প্রশাসন, গোয়াদার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, গোয়াদার বন্দর কর্তৃপক্ষ এবং বেলুচিস্তান সরকার ‘গোয়াদার বন্দর স্মার্ট পোর্ট সিটি মাস্টার প্ল্যানের’ আওতায় কাঁটাতারের বেড়া দিচ্ছে। ইতিমধ্যেই গোয়াদার বন্দরের চারপাশে কাঁটাতারের বেড়া স্থাপনের কাজ শুরু হয়েছে। প্রথম পর্যায়ে প্রায় ১৫ হাজার একর জমিতে কাঁটাতারের বেড়া স্থাপন করা হবে। বন্দরটিতে মাত্র তিনিটি প্রবেশ পথ থাকবে এবং প্রত্যেকটি আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর নজরদারির আওতায় থাকবে। পাকিস্তান সরকারের স‚ত্র জানায়, গোয়াদার শহরে ৫০০টির বেশি ক্যামেরা বসানো হবে যাতে সন্দেহভাজনদের নজরাদারিতে আনা যায়। বেলুচিস্তানের জনগণ চীন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডোর (সিপিইসি) বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন। স¤প্রতি সময়ে বেলুচিস্তানের বিচ্ছিন্নতাবাদীদের হুমকিতে চীনের কোম্পানিগুলো বিপাকে পড়েছে। আর এ জন্যই আলাদা একটি শহর গড়ে তুলে চীনের কোম্পানিগুলোকে রক্ষা করতে চাইছে পাকিস্তান। এশিয়ান টাইমস।
যুক্তরাষ্ট্রের হঠকারিতায় ইউক্রেনের বিমান বিধ্বস্ত হয় : আইআরজিসি
আমেরিকার সন্ত্রাসবাদী হঠকারিতার কারণে ইউক্রেনের যাত্রীবাহী বিমানে গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটেছিল বলে জানিয়েছে ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনী বা আইআরজিসি। এক বছর আগের ওই দুঃখজনক ঘটনার বার্ষিকীর আগেভাগে আইআরজিসি এক বিবৃতিতে একথা জানিয়েছে। বুধবার প্রকাশিত বিবৃতিতে বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার ওই ঘটনায় বহু ইরানি নাগরিকের শাহাদাতে দুঃখ প্রকাশ করে বলা হয়, মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন সরকারের মানবতাবিরোধী ও সন্ত্রাসবাদী হঠকারিতার কারণে বিমান বিধ্বস্তের ওই ঘটনা ঘটে। উপযুক্ত সময়ে আমেরিকার এ হঠকারী আচরণের কঠিন প্রতিশোধ নেয়া হবে বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়। ২০২০ সালের ৮ জানুয়ারি ইউক্রেনের একটি যাত্রীবাহী বিমান অনিচ্ছাকৃত মানবীয় ভুলের কারণে আইআরজিসি’র আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা থেকে নিক্ষিপ্ত ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে ভ‚পাতিত হয়। তেহরানের ইমাম খোমেনী (রহ.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়নের কিছুক্ষণ পরের ওই ঘটনায় বিমানটির ১৬৭ যাত্রী ও নয় ক্রুর সবাই নিহত হয়। বিমানটির বেশিরভাগ যাত্রী ছিলেন ইরানি এবং বাকি ৩২ যাত্রী ছিলেন কানাডা, আফগানিস্তান, ইউক্রেন, ব্রিটেন ও সুইডেনের নাগরিক। ইরনা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।