বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
কক্সবাজারের টেকনাফে মাদক মামলার আটক আসামিকে ছিনিয়ে নেয়ার সময় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে খোরশেদুল আলম নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন। নিহত যুবক টেকনাফ সদর ইউনিয়ন মিঠাপানির ছড়া এলাকার হাজ্বী গোলাম হোসেনের ছেলে। এসময় আটক তার বড়ভাই শামসু আলম পুলিশ হেফাজতে রয়েছে।
পুলিশের দাবি এ ঘটনায় তাদের তিন সদস্য আহত হয়েছে এবং নিহতের পরিবারের দাবি-পুলিশের গুলিতে খোরশেদ মারা গেছে। গত মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে টেকনাফ সদর ইউনিয়নের মিঠাপানির ছড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত খোরশেদ আলমের ভাই নুরুল আলমের দাবি, রাজারছড়া মিনি ফুটবল খেলা থেকে সাদা পোশাকে দুই যুবক শামসুল আলমকে ধরে অপহরণ করে নিয়ে যাচ্ছে। এমন খবরে অপহরণ কারিদের হাত থেকে ভাইকে রক্ষা করার জন্য তারা মিঠাপানির ছড়া রাস্তার উপর যায়। ওদিক থেকে আসা সিএনজি থামানোর চেষ্টা করলে হঠাৎ সিএনজির ভিতর থেকে গুলি চালায়। এতে আমার ছোট ভাই খোরশেদ গুলিবিদ্ধ হয়ে মাটিতে পড়ে যায়। এরপর তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তিনি আরো বলেন পুলিশ আমার ভাইকে আটক করেছে জানলে আমরা রাস্তায় যেতাম না।
টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাফিজুর রহমান বলেন, টেকনাফ সদর ইউনিয়ন রাজারছড়া এলাকা থেকে মাদক মামলাসহ ১১টি মামলার পলাতক আসামি মাদক কারবারী শামসুল আলমকে আটক করে থানায় নিয়ে আসার পথে মিঠাপানিছড়া এলাকায় পৌঁছলে আটক আসামির সহযোগীরা অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে ব্যারিকেড দেয় এবং আটক শামসুকে ছিনিয়ে নেয়ার জন্য পুলিশের উপর অতর্কিত হামলা চালালে পুলিশও আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি চালায়। উভয় পক্ষের গোলাগুলিতে পুলিশের তিন সদস্য আহত এবং খোরশেদ আলম এক যুবক গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যায়। তিনি আরো জানান, নিহত যুবকের বিরুদ্ধে ২টি মামলা রয়েছে। আটক শামসুল আলম এ এলাকার র্শীষ মাদক ব্যবসায়ী ও বহু মামলার পলাতক আসামি। টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত ডাক্তার জাকারিয়া মাহমুদ বলেন, রাতে গুলিবিদ্ধ এক যুবককে হাসপাতালে নিয়ে আসে পুলিশ। তার বুকে বাম পাশে গুলির আঘাত ছিল। হাসপাতালে নিয়ে আসার আগেই সে মারা গেছে।
আহত তিন পুলিশ সদস্যদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে কক্সবাজারে প্রেরণ করা হয়েছে বলে জানান তিনি। খবর পেয়ে টেকনাফ হাসপাতালে ছুটে আসেন কক্সবাজার জেলা পুলিশ সুপার হাসানুজ্জামান ও সহকারী পুলিশ সুপার উখিয়া-টেকনাফ সার্কেল শাকিল আহমেদ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।