Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৮ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আতঙ্কে ৪০ হাজার মানুষ

টেকনাফে বেড়িবাঁধের সিসি ব্লকে ধস

কক্সবাজার ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ২৩ আগস্ট, ২০২০, ১২:০১ এএম

টেকনাফ শাহপরীর দ্বীপে ১৪৬ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণাধীন দ্বীপরক্ষা বেড়িবাঁধের অন্তত ১০টি স্থানে উদ্বোধনের আগেই সিসি বøক ধসে পড়েছে। এতে করে ওই এলাকার ৪০ হাজার মানুষের মাঝে আবারো আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) দাবি মতে নকশার কিছুটা ত্রæটি থাকায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে বলে জানা গেছে।

নকশা পরিবর্তনের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে। তবে বেড়িবাঁধ নির্মাণ কাজ অব্যাহত রয়েছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, বাঁধ নির্মাণ কাজে তড়িগড়ি করায় জোয়ারের পানিতে সিসি বøকগুলো সাগরে তলিয়ে যাচ্ছে। এর মধ্যে অন্তত ১০টির মতো অধিক স্থানে সিসি বøকগুলো ধসে পড়ছে।

দ্বীপের ১৪৬ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণাধীন বাঁধের দক্ষিণ পাশের মাঝের পাড়া, দক্ষিণ পাড়ার আধা কিলোমিটার বেড়িবাঁধের অংশে ডাম্পিং বøক কম দেয়ায় জোয়ারের পানির আঘাতে সিসি বøক উদ্ধোধনের আগেই ধসে পড়ছে বলে মনে করা হচ্ছে। এতে নির্মাণাধীন এ বেড়িবাঁধের টেকসই ও স্থায়ীত্ব নিয়ে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
পাউবো সূত্র জানায়, ২০১২ সালের ২২ জুলাই শাহপরীর দ্বীপের পশ্চিমপাড়ার বেড়িবাঁধের ৬৮নং ফোল্ডারের একাংশ সাগরের জোয়ারের পানির তোড়ে বিলীন হয়ে যায়। সংস্কারের অভাবে প্রায় তিন কিলোমিটার পর্যন্ত বেড়িবাঁধ অরক্ষিত হয়ে শত শত পরিবার বসতঘর, দোকানপাট, মসজিদ-মাদরাসা ও রাস্তা-ঘাট সাগরে বিলীন হয়ে পড়েছে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলার সাবরাং ইউনিয়নের শাহপরীর দ্বীপ রক্ষার বেড়িবাঁধটি বঙ্গোপসাগরের তীর ঘেঁষা। জোয়ারের সময় ঢেউয়ের পানি নির্মাণাধীন বেড়িবাঁধের আছড়ে পড়ছে। পশ্চিমপাড়া, মাঝেরপাড়া থেকে দক্ষিণপাড়া পর্যন্ত প্রায় তিন কিলোমিটার বেড়িবাঁধের সাগরের অংশে দুই রকমের সিসি বøক স্থাপিত করা হয়। মাঝের পাড়া থেকে দক্ষিণপাড়া পর্যন্ত আধা কিলোমিটার এলাকায় গত কয়েকদিনের জোয়ারের ঢেউয়ের আঘাতে অন্তত ১০টি স্থানে বøক ধসে পড়েছে।

স্থানীয় বাসিন্দা ফজল আহমদ বলেন, গত বছর বেড়িবাঁধ নির্মাণ কাজ শুরু হলে এলাকার শত শত লোকজন আশার আলো দেখতে পেলেও বাঁধ ধসের খবরে আবারো স্থানীয়রা আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন। শিক্ষক কলিম উল্লাহ বলেন, এলাকার শত শত পরিবার বসতঘর-দোকানপাট, জমি হারিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। গত কয়েক বছরের সাত শতাধিক পরিবার ভাঙনের কবলে পড়ে অন্যত্রে চলে গেছে।
সাবরাং ইউপির ৭নং ওয়ার্ডের সদস্য নুরুল আমিন বলেন, সাত বছর অরক্ষিত থাকার পর বাঁধ নির্মাণে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে আনন্দ দেখা দিয়েছিল। কিন্তু বাঁধের কাজ শেষ না হতেই জোয়ারের পানিতে যেভাবে সিসি বøকগুলো ধসে যাচ্ছে তাতে পুরো দ্বীপের মানুষ হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েছে।

সহযোগী ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এসটিএ গ্রæপের প্রতিনিধি উত্তম কুমার শাখারী বলেন, নৌবাহিনীর তত্ত¡াবধানে এবং পাউবোর নিয়মিত তদারকিতে বাঁধ নির্মাণ কাজ করছে। সেখানে কোনো ধরনের অনিয়মের সুযোগ নেই। তবে জোয়ারের পানিতে সিসি বøকগুলো সরে যাচ্ছে এটা ঠিক। শেষ পর্যন্ত একটি টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণ করেই কাজ শেষ করব।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: টেকনাফ

৪ অক্টোবর, ২০২০
১৫ আগস্ট, ২০২০
১৬ মার্চ, ২০২০

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ