বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
পৌর নির্বাচন কেন্দ্রিক বিরোধে একের পর বহিষ্কার, কমিটি বাতিল ইত্যাদিতে কাহিল এখন বগুড়া বিএনপি। পৌর নির্বাচনকে ঘিরে চলমান বহিষ্কার প্রক্রিয়ায় সর্বশেষ শিকার হলেন বগুড়া জেলা ছাত্রদলের দফতর সম্পাদক মিল্লাত হোসেন। গত ৪ জানুয়ারি তাকে দল থেকে বহিষ্কারের চিঠি দেয়া হয়। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে নিজ প্রতিক্রিয়ায় মিল্লাত হোসেন ইনকিলাবকে জানান, তার বাড়ি শেরপুর পৌর এলাকায়। এখানে পৌর মেয়র পদে মনোনয়ন দেয়া হয়েছে ব্যবসায়ী স্বাধীন কুন্ডুকে।
ঝানু ব্যবসায়ী কুন্ডু বাবু এখানে বিএনপির মনোনয়ন পেয়ে ভোটের মাঠেও ব্যবসায়ী আচরণ করায় দলীয় কর্মীদের অনেকেই তা পছন্দ করেনি। ফলে বিএনপি ও অঙ্গদলের অনেক নেতাকর্মী দলের বিদ্রোহী প্রার্থী মো. জানে আলম খোকার পক্ষে কাজ করছে। এর ফলে দলীয় হাইকমান্ডের অনেকের ধারণা জন্মেছে দলের বিদ্রোহী প্রার্থীর পক্ষে হয়তো আমার পরোক্ষ সমর্থন রয়েছে। মূলত ওই সন্দেহের বশেই আমাকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সহ-দফতর সম্পাদক আজিজুল হক সোহেল বগুড়া জেলা ছাত্র দলের দফতর সম্পাদক মিল্লাতকে বহিষ্কারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এর আগে গত ২৯ ডিসেম্বর দল থেকে শেরপুর উপজেলা বিএনপির প্রভাবশালী নেতা ও শেরপুর পৌরসভার সাবেক মেয়র ও বর্তমান মেয়র প্রার্থী মো. জানে আলম খোকাকে দলের প্রাথমিক সদস্য পদ থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করেছে বিএনপি।
তারও আগে গত ১ জানুয়ারি বগুড়ার সারিয়াকান্দি পৌর ও উপজেলা কমিটি বিলুপ্ত করা হয়। পরদিন গত ২ জানুয়ারি নতুন করে দুটি আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে সেখানে। পৌর নির্বাচনের ২ সপ্তাহ আগে সারিয়াকান্দির দুটি আহবায়ক কমিটি কেন বাতিল করে দুটি নতুন কমিটির ঘোষণা দেয়া হল তৃণমূল কর্মীরা তার ব্যাখা খুজে পাচ্ছেন না।
এরও আগে গত ২৯ সেপ্টেম্বর বগুড়া জেলা যুবদলের সাবেক সভাপতি ও প্রভাবশালী ও তৃণমূলে তুমুল জনপ্রিয় বিএনপি নেতা সিপার আল বখতিয়ারকে দল থেকে বহিষ্কার করা হলে বগুড়া বিএনপিতে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়। এই সব বহিষ্কার প্রসঙ্গে জানতে চাইলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জেলা বিএনপির এক সিনিয়র নেতা বলেন, ১৮ মাস আগে দেশের শীর্ষ স্থানীয় ব্যাবসায়ী জি এম সিরাজকে দলের আহ্বায়ক করার পর থেকেই মূলত সঙ্কটের সৃষ্টি। বগুড়া বিএনপি অতীতের কোন সময়েই এতটা সঙ্কটে পড়েনি বলেও জানান তিনি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।