বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
ফারজানা আক্তার (১৪) নামের ৯বম শ্রেণীর এক ছাত্রীকে পৈশাচিক কায়দায় নির্যাতন করা হয়েছে। ঘরের মধ্যে ডুকে তাকে পিটানো হয়। চুলের মুঠি ধরে মাটিতে ফেলে এলোপাতাড়ি ভাবে লাথি মারা হয়। গায়ের সেলোয়ার কামিজ ছিঁড়ে বিবস্ত্র করা হয়। একপর্যায়ে ছাত্রীটি অজ্ঞান হয়ে পরেন। ওই অবস্থায়ও তাকে মারধর করা হয়। বাউফলের আদাবাড়িয়া ইউনিয়নের মহাশ্রাদ্দি (মহেসেন উদ্দিন) গ্রামে শুক্রবার সকালে এ ঘটনা ঘটেছে।
জানা গেছে, ফারজানা নামের ওই শিক্ষার্থীর বাবা বেল্লাল হোসেন ও তার মা ফরিদা বেগম একটি মারামারি মামলার দুই ও পাঁচ নম্বর স্বাক্ষী ছিল। মামলার বাদি হলে সখি বেগম। এ ঘই মামলায় বেল্লাল হোসেন ও তার স্ত্রী ফরিদা বেগম স্বাক্ষী হওয়ায় আসামী বাবুল সিকদার ও বাদশা সিকদার গংরা ক্ষুদ্ধ হন। প্রথম দফায় গত ২৯ ডিসেম্বর ওই মামলার আসামীরা বেল্লাল সিকদারের বসত ঘরে ডকে ভাংচুর করে এবং তাকেসহ স্ত্রী ফরিদা বেগম ও মেয়ে ফারজানাকে মারধর করে। ফারজানা আতশখালি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর ছাত্রী। ৩০ ডিসেম্বর সখি বেগম তার স্বাক্ষীদের মারধরের বিষয়টি আদালতকে অবহিত করলে ৩১ ডিসেম্বর সন্ধ্যার দিকে বাবুল সিকদার গংরা দ্বিতীয় দফায় বেল্লাল সিকদারে বতসঘরে ডুকে ভাংচুর করে এবং তার স্ত্রী ও মেয়েকে মারধর করে।
শুক্রবার (১ জানুয়ারি) সকাল ৮টার দিকে ফারজানা একই বাড়িতে তার চাচা সফিল্লাহর ঘরে গেলে বাবুল সিকদার তার ভাই বাদশা সিকদার ও বোন মুক্তা বেগম ওই ঘরে ডুকে তাকে পেটাতে থাকেন। এরপর চুলের মুঠি ধরে মাটিতে ফেলে এলোপতাড়ি ভাবে লাথি মারেন। গায়ের সেলোয়ার কামিজ ছিড়ে প্রায় বিবস্ত্র করেন। একপর্যায়ে ছাত্রীটি অজ্ঞান হয়ে পরলে ওই অবস্থায়ও তাকে মারধর করা হয়।
এই ঘটনার পর বাড়ির লোকজন ফারজানাকে গুরুতর আহত অবস্থায় পটুয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করেন। ফারজানার বাবা বেল্লাল সিকদারও হামলার শিকার হয়ে একই হাসপাতালে চিকিৎসাধিন আছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।