নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
সালটি দুই হাজার বিশ- ২০২০। তবে করোনার কারনে বিষের বছর হিসেবেই চিহ্নিত হয়ে থাকবে ইতিহাসের পাতায়। অস্বাভাবিক জীবনের ছাপ পড়েছিল ক্রীড়াঙ্গনেও। তার মধ্যেও নতুন স্বাভাবিকতায় মাঠে খেলা ছিল। ছিল হারানোর বেদনাও। তবে বিশ্বকে নাড়িয়ে দেওয়া দিনটি ছিল ২৫ নভেম্বর। যেদিন গোটা দুনিয়াকে কাঁদিয়ে অসীমের পথে পাড়ি জমিয়েছিলেন ফুটবল কিংবদন্তি ডিয়োগা ম্যারাডোনা। আন্তর্জাতিক ক্রীড়াঙ্গণের এমনই সব আনন্দ-বেদনার কাব্য নিয়ে আজকের ফিরে দেখা লিখেছেন ইমরান মাহমুদ
করোনাভাইরাস নামের দুঃস্বপ্নের এখনো দাপুটে উপস্থিতি বিশ্বজুড়ে। প্রায় পুরোটা বছর মানব জীবনের প্রতিটি অধ্যায়কেই ভুগিয়েছে সেটি। কেউ প্রিয়জন হারিয়েছেন, কেউ জীবিকা, কেউবা সর্বস্ব। যার ভয়াল থাবা থেকে মুক্তি পায়নি ক্রীড়াঙ্গনও।
বিশ্ব ক্রীড়াঙ্গনে ২০২০ হতে পারতো ভীষণ ব্যস্ত একটি বছর। মাঠের লড়াইয়ের আগাম উত্তেজনা-উন্মাদনা জেঁকে বসেছিল ক্রীড়াপ্রেমীদের মনে। ক্রিকেটে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ, ফুটবলে ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপ ও কোপা আমেরিকা, সঙ্গে বিশ্বের সবচেয়ে বড় ক্রীড়া যজ্ঞ অলিম্পিক-আরও কত কিছু! সবকিছু ভেস্তে গেল প্রাণঘাতী এক ভাইরাস, ছোঁয়াচে এক রোগ কোভিড-১৯ এর ছোবলে।
অ্যাথলেট, ভক্ত-সমর্থক থেকে শুরু করে সর্বোপরি ক্রীড়াপ্রেমীদের যে বছরটা দু-হাত ভরে দেওয়ার কথা ছিল, সেটাই শেষ পর্যন্ত কেড়ে নিল অনেক কিছু। পৃথিবী জুড়ে জেঁকে বসা মহামারী কেড়ে নিল লাখো মানুষের প্রাণ, বিপর্যস্ত হলো বিশ্ব অর্থনীতি-যার কড়াঘাত পড়ল ক্রীড়াঙ্গনেও। একের পর এক স্থগিত হতে থাকল টুর্নামেন্ট। ফুটবল দুনিয়ায় নিশ্চিতভাবেই এ বছরের মূল আকর্ষণ ছিল আন্তর্জাতিক ফুটবল; গত জুন-জুলাইয়ে যে একই সঙ্গে মাঠে গড়ানোর কথা ছিল ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপ ও কোপা আমেরিকা। কিন্তু করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে সব এলোমেলো হয়ে যায়।
ফেব্রুয়ারির শেষ দিক থেকে ইউরোপে ব্যাপক হারে ছড়িয়ে পড়তে থাকে করোনাভাইরাস। দিনে দিনে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে থাকে আমেরিকা মহাদেশেও। গত ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পক্ষ থেকে কোভিড-১৯ রোগকে মহামারী ঘোষণা করা হয়। এরপরই স্থবিরতা নেমে আসতে শুরু করে জনজীবনে। বন্ধ হতে থাকে খেলাধুলা। মার্চের মাঝামাঝি প্রথমে ইউরো ও পরে কোপা আমেরিকা বন্ধের ঘোষণা আসে। দুটি টুর্নামেন্টই পিছিয়ে যায় এক বছর করে। নতুন সূচিতে আগামী বছরের একই সময়ে হবে কোপা আমেরিকা ও ইউরো। ইউরোপিয়ান ফুটবলেও হেনেছে ছোবল। একে একে স্থগিত হয়ে যায় শীর্ষ পাঁচ লিগের সবকটি। স্থবিরতার সময় বাড়তে থাকায় ২০১৯-২০ মৌসুম ভেস্তে যাওয়ার শঙ্কাও জাগে।
এরই মাঝে ফুটবল বিশ্বকে চমকে দেওয়া এক খবর আসে গণমাধ্যমে; ফ্যাক্স বার্তায় বার্সেলোনার সঙ্গে দুই দশকের সম্পর্কের ইতি টানার ইচ্ছার কথা জানান লিওনেল মেসি। প্রিয় তারকার দল ছাড়ার ঘোষণা বার্সেলোনা সমর্থকদের জন্য ছিল অনেক বড় আঘাত। তাকে ধরে রাখার দাবিতে বার্সেলোনার রাস্তায় নেমে আসে হাজারো সমর্থক। এর পেছনে তখনকার সভাপতি জোজেপ মারিয়া বার্তোমেউকে দায়ী করে তার পতদ্যাগের দাবিতে ক্ষোভ প্রকাশ করতে থাকে তারা।
১০ দিনের টানাপোড়েনের পর ইচ্ছার বিরুদ্ধে থেকে যাওয়ার সিদ্ধান্ত জানান রেকর্ড ছয়বারের বর্ষসেরা ফুটবলার। তবে, একই সঙ্গে জানিয়ে দেন সভাপতির আচরণে তিনি সন্তুষ্ট নন। ক্লাবের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়েও হতাশা ব্যক্ত করেন।
ফুটবলের সবচেয়ে বড় ক্ষতিটা খুঁজতে গেলে আর্থিক দিকেই চোখ পড়বে। ক্লাবগুলো ভুগেছে, অনেক ক্লাবই দেউলিয়া হয়ে যাওয়ার শঙ্কায়। ফুটবলের আরেকটি বড় ক্ষতি সম্ভবত এই, ফুটবল কিছুটা হয়তো প্রাণও হারিয়েছে। হারাবে না? মাঠের প্রাণ দর্শককেই যে করোনা মাঠে আসতে দিচ্ছে না!
তিন মাস বন্ধ থাকার পর জুনে করোনাকে পাশ কাটিয়ে ‘নতুন স্বাভাবিক’কে আলিঙ্গন করে ফিরেছে ফুটবল। আনন্দের উপলক্ষ এনে দিয়েছে বেদনাক্লিষ্ট শত মনে। কত অর্জনের গল্পও তো আছে সেখানে! লিভারপুল তিন দশকের খরা ঘুচিয়ে আবার ইংল্যান্ডসেরা হয়েছে, জিনেদিন জিদান রিয়াল মাদ্রিদে ফেরার দ্বিতীয় মৌসুমেই আবার লিগ জিতিয়েছেন ক্লাবটাকে। নেইমার-এমবাপ্পের পিএসজি ইউরোপসেরা না হলেও প্রথমবারের মতো উঠেছে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে।
আর প্রসঙ্গ যখন শ্রেষ্ঠত্বের, সেখানে সবাইকে ছাপিয়ে আলো ছড়িয়েছেন রবার্ট লেভান্দোভস্কি ও তার ক্লাব বায়ার্ন মিউনিখ। গত বছরের নভেম্বরে হান্সি ফ্লিক দায়িত্ব নেওয়ার পর দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়ানো বায়ার্ন জার্মান লিগ তো রেকর্ড টানা অষ্টমবার জিতেছেই, ট্রেবল জয়ের পথে জিতেছে ইউরোপশ্রেষ্ঠত্বের মুকুট চ্যাম্পিয়ন্স লিগও। আর সে অর্জনের পথে গোলের বান ছুটিয়ে বছরের সেরা ফুটবলারের পুরস্কারে লিওনেল মেসি আর ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর মতো দুই মহিরুহকে হার মানিয়েছেন লেভান্দোভস্কি।
আর ক্রিকেট? সাল ২০২০-কে আদতেই ক্রিকেটীয় আলিঙ্গণের জন্য প্রস্তুত ছিল টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। তবে জৈব-সুরক্ষা বলয়ে অল্প পরিসরে ক্রিকেট ফিরলেও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মতো বৃহৎ পরিসরের আয়োজন যে কঠিন এই পরিস্থিতিতে সম্ভব নয়, তা অনুধাবন করতে পেরে গত জুলাইয়ে এ বছরের ক্ষুদ্র সংস্করণের জমজমাট আসরটি এক বছরের জন্য পিছিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় আইসিসি। গত ১৮ অক্টোবর থেকে ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়ায় হওয়ার কথা ছিল ২০ ওভারের বিশ্বকাপের সপ্তম আসর। ২০২১ সালের অক্টোবর নভেম্বরে ভারতে হবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ, পরের বছর অস্ট্রেলিয়ায় একই সময়ে হবে আরেকটি।
মৃত্যুর অমোঘ শুধা পান করার ঘটনা আছে ক্রিকেটেও। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিখ্যাত ‘থ্রি ডব্লিউ’ এর একজন, স্যার এভারটন উইকস ৯৫ বছর বয়সে গত ১ জুলাই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। চোটের কাছে হার মেনে ৩৩ বছর বয়সে টেস্ট ক্রিকেট ছাড়লেও খেলাটির প্রতি তার ভালোবাসা ছিল অফুরান। মনের তেষ্টা মেটাতেই এরপরও খেলে গেছেন প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট, এমসিসি, কমনওয়েলথ একাদশের মতো দলগুলিতে। সেই পথচলাতেই একবার উইকসের পা পড়েছিল ঢাকায়।
তার পাশাপাশি ডিন জোন্সের বিদায় ক্রিকেট দুনিয়ার কাছে অনেক বড় একটা ধাক্কা হয়ে আসে। ক্যারিয়ারে ব্যাটসম্যানশিপের নতুন এক ধারা উন্মোচন করা জোন্স ছিলেন অ্যালান বোর্ডারের অস্ট্রেলিয়া দলের গুরুত্বপ‚র্ণ সদস্য। যে দলের হাত ধরে ১৯৮৭ সালে ইডেন গার্ডেন্সে প্রথমবার বিশ্বকাপ জিতেছিল দেশটি।
১৯৯৮ সালে সব ধরনের ক্রিকেট থেকে অবসর নেওয়া জোন্স কোচ ও ভাষ্যকার হিসেবে কাজ করেছেন। আইপিএলের ধারাভাষ্যকার হিসেবে ভারতে ব্যস্ত সময় পার করছিলেন তিনি। সেখানেই গত ২৪ সেপ্টেম্বর দুপুরে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা যান ৫৯ বছর বয়সী জোন্স।
এর মাঝে মহেন্দ্র সিং ধোনি অবসর নেবেন কবে?-দীর্ঘদিন ধরে এই আলোচনা থেকে মুুক্ত মেলে সংযুক্ত আরব আমিরাতে আইপিএল শুরু হওয়ার কদিন আগে। গত ১৫ আগস্ট আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানান ভারতের বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক। একই দিনে কয়েক মিনিটের ব্যবধানে একইভাবে ইনস্টাগ্রাম বার্তায় ক্যারিয়ারের ইতি টানার ঘোষণা দেন ভারতের আরেক ক্রিকেটার সুরেশ রায়নাও।
ফুটবল-ক্রিকেটের বাইরেও বছরটি আরো রঙিন হতে পারতো অলিম্পিকের বদৌলতে। তবে করোনা হতে দেয়নি সেটিও। অনেক চেষ্টা তদবির করেও জাপানে টোকিও অলিম্পিক আয়োজন করতে পারেনি আইওসি। ‘গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ’ উপভোগ করতে অপেক্ষা করতে হবে আরো একটি বছর। প্রাথমিক সূচি অনুযাযী ২৪ জুলাই থেকে ৯ আগস্ট সময়ের মধ্যেই এবারের অলিম্পিক আয়োজনের চেষ্টায় ছিল আয়োজক কমিটি। মার্চের শুরুর দিকে জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে বেশ জোরের সঙ্গে জানিয়েছিলেন যে যথাসময়ে হবে অলিম্পিক। তবে দ্রুত পট পরিবর্তনে সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসে আয়োজকরা। গত ২৪ মার্চ এক বছরের জন্য ‘টোকিও অলিম্পিক-২০২০’ পিছিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। নতুন সূচিতে আগামী বছরের ২৩ জুলাইয়ে শুরু হয়ে বিশ্বের সবচেয়ে বড় ক্রীড়াযজ্ঞ শেষ হবে ৮ আগস্ট। আর টোকিও প্যারালিম্পিক গেমস শুরু হবে ২৪ আগস্ট, চলবে ৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। লম্বা সময়ের জন্য পিছিয়ে গেলেও মাঝের এ সময়ে অলিম্পিক মশাল জাপানেই থাকছে। নামও থাকবে অপরিবর্তিত; যথাক্রমে অলিম্পিক ও প্যারালিম্পিক গেমস টোকিও ২০২০।
করোনাভাইরাসের প্রভাব পড়েছে বাকি খেলাগুলোতেও। হকিতে জুনে হওয়ার কথা ছিল বঙ্গবন্ধু এএইচএফ অনূর্ধ্ব-২১ ওয়ার্ল্ড কোয়ালিফাইং। তা পিছিয়ে গেছে আগামী বছরে। ফেব্রুয়ারির শেষ দিকে ২৫ দেশের সাইক্লিস্টদের নিয়ে বঙ্গবন্ধু ইন্টারন্যাশনাল ফ্রিস্টাইল স্টান্ট সাইক্লিং শুরুর কথা ছিল। লোগো উন্মোচনও হয়েছিল এই আসরের। কিন্তু অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত হয়ে যায় তা। শুটিং ও দাবার কিছু ইভেন্ট অনলাইনে আয়োজন করা সম্ভব হয়েছে। কিন্তু আর্চারি, সুইমিং, শুটিং, ভলিবলে উল্লেখযোগ্য কোনো ইভেন্টই ২০২০ সালে দেখেনি আলোর মুখ।
তবে সবকিছুকে পেছনে ফেলে কোণঠাসা অবস্থা থেকে ঘুরে দাঁড়াতে ‘জৈব-সুরক্ষা বলয়’ নামের ‘বন্দিশালা’ তৈরি করে দর্শকভরা স্টেডিয়ামকে দূরে ঠেলে অচেনা রূপে শ‚ন্য গ্যালারিতে মাঠে ফিরল ফুটবল-ক্রিকেটসহ অন্যান্য খেলাধুলা। পুরনো রূপে ফেরার আভাস আর স্বস্তি যখন চারিদিকে ঠিক তখনই বিশ্বকে নাড়িয়ে দেয় ডিয়েগো ম্যারাডোনার মৃত্যু সংবাদ। কার্ডিয়াক অ্যারেস্টে গত ২৫ নভেম্বর পৃথিবীর মায়া ছেড়ে না ফেরার দেশে পাড়ি জমান ফুটবল জাদুকর। আর্জেন্টাইন কিংবদন্তির বিদায়ে বিশ্ব ক্রীড়াঙ্গনে নেমে আসে শোকের ছায়া।
মৃত্যু নামের অমোঘ বাস্তবতা তাঁকে কেড়ে নিয়েছে ঠিকই। কিন্তু আর্জেন্টাইন ফুটবল কিংবদন্তিকে মানুষের মন থেকে মুছে নেয়, মৃত্যুরও সে সাধ্য কী! ম্যারাডোনা আছেন মানুষের ভালোবাসায় আর দীর্ঘশ্বাসে। সে কারণেই হয়তো, ২০২০ সালের শেষে এসে যখন বছরটার দিকে ফিরে তাকানো হয়, ফুটবলের আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বারেবারে চোখ ফিরে যায় গত ২৫ নভেম্বরের সেই দুঃস্বপ্ন ক্ষণটিতে। ছিয়াশি বিশ্বকাপের নায়কের মৃত্যুর কদিন না যেতেই ফুটবল হারিয়েছে ইতালিকে বিরাশি বিশ্বকাপ জেতানো নায়ক পাওলো রসিকে, হারিয়েছে রাশিয়া বিশ্বকাপে লিওনেল মেসিদের ফাইনালে তোলা আর্জেন্টাইন কোচ আলেসান্দ্রে সাবেয়াকেও।
ক্রীড়ার সার্বিক দিক থেকে বছরটি ভুলে যাওয়ার মতোই। করোনাভাইরাস যেখানে কেড়ে নিয়েছে দেশের হাজার হাজার মানুষকে, সেখানে খেলাধুলা বন্ধ থাকা খুব গুরুত্বপূর্ণ নয় অবশ্যই। তবে, এর মাঝেও আছে ইতিবাচক ঘটনা, প্রতিকুলস্রোতে ঘুরে দাঁড়ানোর মরিয়া সংকল্প। বেঁচে থাকার এই সংগ্রাম নিয়েই এগিয়ে যাবে মানুষ, তার সাথে এগুবে ক্রীড়াঙ্গনও। তবে হারিয়ে যাওয়া তারকারা মনের মণিকোঠা থেকে ঠাঁই করে নেবে দূর আকাশে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।