মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
অর্থনৈতিকভাবে দুর্বার গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে চীন। আগামী ২০২৮ সালের মধ্যে আমেরিকাকে টপকে বিশ্বের বৃহৎ অর্থনীতির দেশ হতে যাচ্ছে এশিয়ার এই পরাশক্তি। করোনা মহামারীতে অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে দুই দেশের গতির পার্থক্যের কারণে আগের ধারণার চেয়ে পাঁচ বছর আগেই এই অবস্থানে চলে যাবে শি জিনপিংয়ের দেশ। শনিবার সেন্টার ফর ইকোনোমিকস অ্যান্ড বিজনেস রিসার্চ তাদের বার্ষিক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, কিছু সময়ের জন্য একটি বৈশ্বিক অর্থনৈতিক দৌড়ের থিম ছিল যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যকার অর্থনীতি ও ক্ষমতার মৃদু প্রতিদ্ব›িদ্বতা। কোভিড-১৯ মহামারি ও এর প্রতিক্রিয়ায় অর্থনৈতিক পতন হঠাৎ করে প্রতিদ্ব›দ্বী চীনকে সুযোগ করে দিয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, লকডাউনের প্রথম পর্যায়ে ‘মহামারি পরিস্থিতি চীনের দক্ষতার সঙ্গে মোকাবিলা’ এবং পশ্চিমের দীর্ঘমেয়াদের উন্নতিতে আঘাত বেইজিংয়ের অর্থনৈতিক কর্মকান্ডের উন্নয়ন ঘটিয়েছে। ২০২১ থেকে ২০২৫ সাল পর্যন্ত চীন তার অর্থনৈতিক উন্নয়নের গড় হার ৫ দশমিক ৭ শতাংশ নির্ধারণ করেছে। তবে ২০২৬-৩০ মেয়াদে এটি কমে ৪ দশমিক ৫ শংতাশে নেমে আসতে পারে।
অপরদিকে, ২০২১ সালে যুক্তরাষ্ট্রকে করোনা পরবর্তী শক্তিশালী আঘাত মোকাবিলা করতে হবে। এর উন্নয়নের হার ২০২২ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত কমে এক দশমিক ৯ শতাংশে নেমে আসতে পারে। এরপর আরও কমে এক দশমিক ৬ শতাংশ হতে পারে। ওদিকে, ২০৩০ সালের শুরু পর্যন্ত বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির স্থান ধরে রাখবে জাপান। তবে ওই বছরের শেষের দিকে দেশটিকে পিছনে ফেলে সেই স্থান দখল করবে ভারত।
উল্লেখ্য, মার্কিন মসনদে ডোনাল্ড ট্রাম্প বসার পর থেকেই চীনের সঙ্গে শুল্ক লড়াইয়ে মেতে উঠেছে আমেরিকা। বিদায়বেলায়ও বেইজিংকে করোনা-সহ একাধিক ইস্যুতে তুলোধোনা করছেন ট্রাম্প। মার্কিন পণ্যে শুল্ক বাড়িয়ে পাল্টা আঘাত হেনেছে চীনও। এছাড়া, সামরিক দিক থেকে দক্ষিণ চীন সাগর, তাইওয়ান-সহ বেশ কিছু ইস্যুতে সিংহাতের পথেই হাঁটছে বেইজিং ও ওয়াশিংটন। এশিয়া মহাদেশ ও বিশ্বে মার্কিন একাধিপত্যকে ক্রমেই চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছে চীন। এর জন্য গোপনে বিমানবাহী যুদ্ধজাহাজ বানাচ্ছে চীনা নৌবাহিনী, যা আয়তনে আড়াই খানা ফুটবল মাঠের সমান। এটিই হবে চীনের বৃহত্তম এবং তৃতীয় এয়ারক্র্যাফ্ট ক্যারিয়ার বা বিমানবাহী যুদ্ধজাহাজ।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘কোভিড-১৯ মহামারি ও এ সংক্রান্ত অর্থনৈতিক বিপর্যয় নিশ্চিতভাবেই চীনের পক্ষে কাজ করবে।’ ২০৩০ এর দশক পর্যন্ত জাপান ডলারের দিক থেকে বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ হিসেবেই বহাল থাকবে। এরপর জাপানকে ছাড়িয়ে যাবে ভারত। আর জার্মানি তখন চতুর্থ থেকে পঞ্চম অবস্থানে চলে যাবে। আর বর্তমানে পঞ্চম অবস্থানে থাকা যুক্তরাজ্য ২০২৪ সালে ষষ্ঠ অবস্থানে চলে যাবে। প্রতিবেদনের আভাষ অনুযায়ী যুক্তরাজ্য ২০২১ সালে ইউরোপীয় ইউনিয়নের একক বাজার থেকে বিচ্ছিন্ন হলেও ২০৩৫ সাল নাগাদ ফ্রান্সের তুলনায় ব্রিটিশ জিডিপি ডলারে ২৩ শতাংশ বেশি হওয়ার আভাস দেয়া হয়েছে। ডিজিটাল অর্থনীতির হাত ধরে ব্রিটেনের এ অগ্রগতি হবে।
সিইবিআর-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২০ সালে বিশ্ব অর্থনীতির শীর্ষ ১০ দেশ অর্থনীতির মধ্যে ইউরোপের অবদান ছিল ১৯ শতাংশ। তবে ইইউ ও ব্রিটেনের মধ্যে যদি ভয়াবহ বিভক্তি দেখা দেয় তবে ২০৩৫ সালে তা ১২ শতাংশ কিংবা তার চেয়েও কমে যাবে। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, বিশ্ব অর্থনীতিতে মহামারির প্রভাবের কারণে প্রবৃদ্ধির গতি ধীর হবে না, বরং মুদ্রাস্ফীতি বাড়বে। সূত্র : বিজনেস টুডে, বøুমবার্গ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।