মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
বিগত প্রায় এক মাস ধরে কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে আন্দোলন করছেন ভারতের কৃষকরা। এরপরও সরকারের পক্ষ থেকে আইন বাতিলের কোনও সিদ্ধান্ত আসেনি। কৃষক বিক্ষোভে সমর্থন দিচ্ছে ভারতের প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেসসহ বেশ কয়েকটি বিরোধী রাজনৈতিক দল। বৃহস্পতিবার প্রায় দুই কোটি মানুষের স্বাক্ষর সম্বলিত স্মারকলিপি রাষ্ট্রপতির হাতে তুলে দিয়েছে কংগ্রেস। এতে বিতর্কিত কৃষি আইন বাতিলে রাষ্ট্রপতির হস্তক্ষেপ কামনা করা হয়েছে।
গতকাল শুক্রবার আন্দোলনরত কৃষক নেতাদের সঙ্গে এক ভার্চুয়াল বৈঠকে মিলিত হন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। কৃষকদের কাছে মিথ্যা খবর এবং গুজব রটানোর জন্য বিরোধীদের দায়ী করে তিনি আবার নতুন কৃষি আইনের সাফাই গেয়েছেন। তার মতে, নতুন কৃষি আইন কৃষকবিরোধী নয়, বরং কৃষকদের জন্য লাভজনক হবে বলেই জানান তিনি। খবর আল জাজিরার।
চলতি বছরের সেপ্টেম্বর মাসে ভারতে এই নতুন কৃষি আইন প্রণীত হয়। এই আইনে কৃষকদের কাছ থেকে সরকারিভাবে ফসল ক্রয় বন্ধ করে বেসরকারি খাতে ছেড়ে দেয়া হয়। কৃষকরা নতুন এই আইনের বিরুদ্ধে প্রথমে অসন্তোষ্টি প্রকাশ এবং পরে বিক্ষোভ শুরু করে।
শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ভার্চুয়ালি কথা বলেন কৃষক নেতাদের সঙ্গে। তবে চলমান সঙ্কট নিরসনের কথা না বলে তিনি ফের নতুন আইনের ভাল দিকগুলো উল্লেখ করেন এবং কৃষকদের বিক্ষোভের পেছনে বিরোধীদলের উস্কানি রয়েছে বলে মন্তব্য করেন।
এ দিন মোদি সাত প্রদেশের সাতজন কৃষক নেতার সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে কথা বলেন। তিনি কার ‘পিএম কিষাণ’ নামের প্রকল্পের মধ্য দিয়ে কৃষকরা কীভাবে উপকৃত হয়েছেন, তা উল্লেখ করে বর্তমান আইনের ইতিবাচক দিকগুলো তুলে ধরেন। ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে নেয়া ওই প্রকল্পের মাধ্যমে কৃষকদের আর্থিক প্রণোদনা দেয়া হয়েছিল, যার মাধ্যমে তারা আর্থিক সহায়তা পেয়েছিলেন।
নতুন এই আইনও কৃষকদের কথা ভেবেই করা হয়েছে বলে তিনি তাদের আশ্বস্ত করার চেষ্টা করেন ওই ভিডিও কনফারেন্সে। তিনি বলেন, এই কৃষক আইন সংস্কারের মধ্য দিয়ে আমরা চাষীদের ভাল বিকল্প উপহার দিতে চাই।
মোদি বলেন, তাদের সরকার জনগণের জন্য সব কিছুই কল্যাণমূলক করতে চায়। বিরোধীদের সমালোচনা করে তিনি বলেন, তাদের সময়ে তারা কৃষকদের জন্য কিছুই করেনি। কিন্তু এখন তারা কৃষকদের বিভ্রান্ত করছে। সূত্র : আল জাজিরা, আনন্দবাজার
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।