মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ছিপছিপে গড়ন আর চোখ ধাঁধানো শারীরিক কসরত- চীনাদের কথা শুনলে প্রথমে এ দৃশ্যই মনে আসে অনেকের। তবে সময়ের সঙ্গে বদলে যাচ্ছে সেসব। প্রযুক্তিগত উৎকর্ষের সঙ্গে কমে যাচ্ছে চীনাদের শারীরিক শ্রম, কাজের চাপে নিয়মিত ব্যায়াম করারও সুযোগ হচ্ছে না অনেকের। ফলে বেড়ে যাচ্ছে ওজন। বর্তমানে চীনে প্রাপ্তবয়স্ক জনগোষ্ঠীর অর্ধেক, অর্থাৎ ৫০ কোটিরও বেশি মানুষ মাত্রাতিরিক্ত ওজন সমস্যায় ভুগছেন। সম্প্রতি দেশটির এক সরকারি প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
২০০২ সালের পর থেকে দেশটিতে স্থূলকায় ব্যক্তির সংখ্যা বাড়ছে বলে ওই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়। ওই সময় দেশটিতে ২৯ শতাংশ মানুষ স্থূলকায় ছিলেন। খবর বিবিসির
প্রতিবেদনতে বলা হয়, কয়েক দশক ধরে চীনের দ্রুত অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হওয়ায় মানুষের জীবনযাত্রা, খাদ্যাভাস এবং ব্যায়ামের ক্ষেত্রে বিশেষ পরিবর্তন এসেছে। গত অক্টোবরে চীন সরকার ক্রমবর্ধমান স্থূলতা সমস্যা মোকাবিলায় কিছু পরিকল্পনার কথা জানায়।
ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অতিরিক্ত স্থূলতা হৃদরোগ, স্ট্রোক এবং ডায়াবেটিসসহ বিভিন্ন রোগের ঝুঁকি বাড়ায়।
তাছাড়া, সাম্প্রতিক করোনাভাইরাস মহামারির কারণে বিষয়টি নতুন করে আলোচনায় এসেছে। কারণ, স্থূল শরীরের মানুষদের মধ্যে করোনাজনিত শারীরিক জটিলতা বা মৃত্যুহার বেশি দেখা গেছে।
গত বুধবার চীনের জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশন (এনএইচসি) প্রকাশিত তথ্যে জানানো হয়েছে, দেশটির ৫০ শতাংশ প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের ওজন মাত্রাতিরিক্ত। এদের মধ্যে ১৬ দশমিক ৪ শতাংশই স্থূলতা সমস্যায় ভুগছেন।
অথচ দেড় যুগ আগেও সেখানে অতিরিক্ত ওজন সমস্যা এতটা প্রকট ছিল না। ২০০২ সালে দেশটিতে মাত্রাতিরিক্ত ওজনে ভুক্তভোগী ছিলেন মাত্র ২৯ শতাংশ মানুষ।
জনগণের মধ্যে স্থূলতা সমস্যা বেড়ে যাওয়ার কারণ হিসেবে শারীরিক পরিশ্রম কমে যাওয়াকে দায়ী করেছে এনএইচসি। তাদের মতে, বর্তমানে চীনে প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে এক-চতুর্থাংশেরও কম সপ্তাহে অন্তত একদিন ব্যায়াম করেন।
এছাড়া, মাংসের প্রতি আসক্তি বৃদ্ধি এবং ফলমূল খাওয়া কমিয়ে দেওয়া ওজন বৃদ্ধির অন্যতম প্রধান কারণ বলে জানানো হয়েছে।
সম্প্রতি বাড়তি ওজন বা স্থূলতা সমস্যা শুধু চীনেই নয়, বাড়ছে সারাবিশ্বেই। চলতি বছরের শুরুতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছিল, ১৯৭৫ সালের পর থেকে বিশ্বে স্থূলতার হার তিনগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে ভুক্তভোগীদের মধ্যে নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোও রয়েছে।
সংস্থাটির হিসাবে, ২০১৬ সালে বিশ্বের ৪০ শতাংশ প্রাপ্তবয়স্ক মাত্রাতিরিক্ত ওজন ও ১৩ শতাংশ স্থূলতা সমস্যায় ছিলেন। এই সমস্যা সবচেয়ে বেশি দেখা যায় উপসাগরীয় ছোট্ট দেশ কাতারে। তাদের সেখানকার ৭০ শতাংশ মানুষ অতিরিক্ত ওজন বা স্থূলতার নানা সমস্যায় আক্রান্ত। সূত্র : বিবিসি
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।