Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

কাশ্মীরে সামরিক উপনিবেশ তৈরি করছে ভারত

আজাদ কাশ্মীরের প্রেসিডেন্ট মাসুদ খানের অভিযোগ

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২২ ডিসেম্বর, ২০২০, ১২:০১ এএম

ভারত শাসিত জম্মু ও কাশ্মীর ভূখন্ডে দেশটি সরকার তার সাবেক সেনাসদস্যদের কাছে জমি হস্তান্তরের মাধ্যমে উপনিবেশ তৈরির কাজ দ্রুত এগিয়ে নিচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন আজাদ কাশ্মীরের প্রেসিডেন্ট মাসুদ খান। রোববার আজাদ কাশ্মীরের প্রেসিডেন্টের এক বিবৃতির বরাত দিয়ে এ খবর নিশ্চিত করা হয়। বিবৃতিতে মাসুদ খান বলেন, জম্মু-কাশ্মীরের ভূখন্ডকে নিজেদের উপনিবেশ হিসেবে প্রস্তুত করার অংশ হিসেবে ভারত এই জমি দখলের নীতি অনুসরণ করছে। বিবৃতিতে তিনি জানান, কাশ্মীরে প্রথম সৈনিক কলোনী তৈরির জন্য ভারত ইতোমধ্যে বড়গ্রাম জেলায় ২৫ একর কৃষিজমি চিহ্নিত করে তা হস্তান্তরের প্রক্রিয়া শুরু করেছে। এই পদক্ষেপের নিন্দা জানিয়ে মাসুদ খান তার বিবৃতিতে বলেন, কাশ্মীরিদের হত্যাকারী অবসরপ্রাপ্ত সেনাসদস্যদের আবাসনের জন্য প্রথম এক সামরিক বসতি নির্মিত হতে যাচ্ছে। কাশ্মীরের মাটিতে ভারতের এরূপ কলোনি তৈরির চেষ্টা এর আগে স্থানীয়দের বাধার মুখোমুখি হয়েছে। তিনি জানান, কাশ্মীরে প্রথম সৈনিক কলোনী তৈরির জন্য ভারত ইতোমধ্যে বড়গ্রাম জেলায় ২৫ একর কৃষিজমি চিহ্নিত করে তা হস্তান্তরের প্রক্রিয়া শুরু করেছে। এই পদক্ষেপের নিন্দা জানিয়ে মাসুদ খান তার বিবৃতিতে বলেন, কাশ্মীরিদের হত্যাকারী অবসরপ্রাপ্ত সেনাসদস্যদের আবাসনের জন্য প্রথম এক সামরিক বসতি নির্মিত হতে যাচ্ছে। কাশ্মীরের মাটিতে ভারতের এরূপ কলোনি তৈরির চেষ্টা এর আগে স্থানীয়দের বাধার মুখোমুখি হয়েছে। সাইয়েদ আলী গিলানীর নেতৃত্বের কাশ্মীরি স্বাধীনতা আন্দোলনের নেতারা ভারতের এই পদক্ষেপকে সতর্কতার সাথে পর্যবেক্ষণ করছেন বলে জানান তারা। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্যা প্রিন্ট বেনামী এক সরকারি কর্মকর্তার বরাত দিয়ে জানায়, নতুন তৈরি হতে যাওয়া এই কলোনিতে অবসরে যাওয়া সামরিক বাহিনীর সদস্যদের আবাস তৈরি করা হবে। এছাড়া সেনাবাহিনীর মৃত সদস্যদের পরিবারের জন্যও এখানে আবাসনের ব্যবস্থা করা হবে। দ্যা প্রিন্টের সংবাদে বলা হয়, অবসরপ্রাপ্ত সেনাসদস্যদের জন্য এই কলোনি তৈরির প্রক্রিয়া এ বছরের অক্টোবর থেকে শুরু করা হয়। এতে আরো জানানো হয়, কাশ্মীরের বাইরের সেনাসদস্যদের এখানে আবাসনের ব্যবস্থা এখানে করা হচ্ছে না। প্রস্তাবিত এই প্রকল্পের প্রথম সুবিধাভোগী হবেন জম্মু ও কাশ্মীরের স্থানীয় সাবেক সেনাসদস্যরা। হিমালয়ের পার্বত্য অঞ্চলের মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ জম্মু ও কাশ্মীরের ভূখন্ড নিয়ে ভারত ও পাকিস্তান উভয় দেশের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলে আসছে। ১৯৪৭ সালে দেশ দু’টির স্বাধীনতার পর থেকে এ ভূখন্ড নিয়ে এ পর্যন্ত তিনবার যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে নয়াদিল্লি ও ইসলামাবাদ। এছাড়া বিভিন্ন আঞ্চলিক সংগঠন স্বাধীনতা বা পাকিস্তানের সাথে সংযুক্তির উদ্দেশ্যে ভারতীয় শাসনের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করছে। ডেইলি সাবাহ, আনাদোলু।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: কাশ্মীর


আরও
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ