পশ্চিম তীরে সহিংসতা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ
জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এই বৈঠকে তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনের
তুর্কি প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়েপ এরদোগান বলেছেন, রুশ আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কেনার ঘটনায় মার্কিন নিষেধাজ্ঞা তুরস্কের সার্বভৌমত্ব ও প্রতিরক্ষা শিল্পের ওপর ‘শত্রুপক্ষীয় হামলা’। তবে তাদের এই উদ্যোগ ব্যর্থ হতে যাচ্ছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্স ও এএফপির খবরে এমন তথ্য মিলেছে। ন্যাটো মিত্র তুরস্কের প্রতিরক্ষা শিল্প অধিদফতর ও তার প্রধান ইসমাইল দেমিরসহ তিন কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে ওয়াশিংটন। এরপর প্রথমবারের মতো জনসমক্ষে এসে এরদোগান বলেন, নিষেধাজ্ঞা উদ্ভ‚ত সমস্যা কাটিয়ে ওঠা যাবে। এ সময় একটি স্বাধীন প্রতিরক্ষা শিল্প গড়ে তোলার প্রতিশ্রুতি দেন তিনি। ন্যাটোমিত্রকে শাস্তি দেয়ায় ওয়াশিংটনের সমালোচনা করে তিনি আরও বলেন, এটি কী ধরনের জোট? কী ধরনের অংশীদারিত্ব? এটা আমাদের দেশের সার্বভৌমত্বে শত্রুতপূর্ণ হামলা ছাড়া আর কিছু না। ‘তাদের আসল লক্ষ্য হচ্ছে, আমাদের প্রতিরক্ষা খাতে সম্প্রতি শুরু হওয়া অগ্রগতি থামিয়ে দেয়া। আমাদেরকে তাদের ওপর সম্পূর্ণ নির্ভরশীল করে তুলতে চায় তারা।’ মার্কিন নিষেধাজ্ঞাকে ‘প্রকাশ্য হামলা’ উল্লেখ করে তুর্কি প্রেসিডেন্ট বলেন, নিশ্চিতভাবে, এতে সমস্যা হবে। কিন্তু প্রতিটি সমস্যাই সমাধানের দরজা খুলে দেয়। তিনি জানান, আমাদের প্রতিরক্ষা শিল্পকে স্বাধীনভাবে গড়ে তুলতে দ্বিগুণ পরিশ্রম করবো। প্রতিরক্ষা শিল্প সংস্থাগুলোর প্রকল্পগুলো ত্বরান্বিত করবো। প্রতিরক্ষা-সংশ্লিষ্ট কোম্পানিগুলোকে আরও বেশি সমর্থন দেব। এর আগে গত জুলাই মাসেও মার্কিন এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান ও তার যন্ত্রাংশ নিষিদ্ধ করে তুরস্ককে শাস্তি দিয়েছে ওয়াশিংটন। অপরদিকে, এ সপ্তাহে ঘোষিত মার্কিন নিষেধাজ্ঞাকে তুর্কি সার্বভৌমত্বের উপর ‘নির্লজ্জ আক্রমণ’ বলে ঘোষণা করেছে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়েব এরদোগান। তুরস্কের উপর এই ধরণের নিষেধাজ্ঞা চাপিয়ে দেওয়ার দ্বী-মুখী নীতির প্রতি ইঙ্গিত করে এরদোগান বুধবার একটি হাইওয়ের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বলেন, তুরস্ক হলো প্রথম ন্যাটোভুক্ত দেশ যারা এমন নিষেধাজ্ঞার সম্মুখীন। গত সোমবার যুক্তরাষ্ট্র রাশিয়ার এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কেনার ব্যাপারে তুরস্কের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। ‘নিষিদ্ধকরণ আইনের মাধ্যমে আমেরিকার বিরোধীদের দমন (সিএএটিএসএ)’ এর আওতায় মার্কিন নিষেধাজ্ঞাগুলোর টার্গেট হলো তুরস্কের প্রেসিডেন্সি অফ ডিফেন্স ইন্ডাস্ট্রিজ (এসএসবি) এবং এর প্রধান ইসমাইল দেমিরসহ তিন কর্মকর্তা। মার্কিন আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কেনার দীর্ঘ প্রচেষ্টা ব্যর্থ হলে ২০১৭ সালের এপ্রিলে রাশিয়ার এস-৪০০ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাটি লাভের জন্য দেশটির সাথে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করে তুরস্ক। আনাদোলু।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।