বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
বরিশালে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয়ে তুলে নেয়ার ২১ দিন পরেও ওষুধ ব্যবসায়ী সুমন দেবনাথের খোঁজ মেলেনি। সদর উপজেলার সাহেবেরহাট বন্দরের রতন মেডিকেল হলের স্বত্ত্বাধিকারি সুমন। চুয়াডাঙ্গার দামুরহুদা থানা পুলিশ দাবি করেছে, সুমন ওই থানায় দায়ের হওয়ার একটি হত্যা মামলার আসামি। তারাও সুমনকে খুঁজছে।
সুমন দেবনাথের বাবা সাহেবেরহাট বন্দরের কাপড় ব্যবসায়ী তপন দেবনাথ জানান, গত ২৪ নভেম্বর সন্ধ্যায় একটি মাইক্রোবাসে ৬-৭ জন লোক সুমন দেবনাথের দোকানের আসে। তারা আইনশৃঙ্খলা বাহিনী পরিচয় দিয়ে সুমনকে মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে যায়। একইদিন রাত ১২টার দিকে কুষ্টিয়ার দামুরহুদা থানার ওসি আব্দুল খালেক একদল পুলিশ নিয়ে টুঙ্গিবাড়িয়ায় সুমনদের বাড়িতে যান। তারা জানান, সুমন দামুরহুদা থানায় দায়েরকৃত একটি হত্যা মামলার আসামি। তপন দেবনাথ জানান, ওই সময়ে দামুরহুদা থানার ওসির সঙ্গে বরিশাল বন্দর থানার পুলিশও ছিল। সন্ধ্যায় সুমনকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তুলে নিয়ে গেছে জানানোর পর পুলিশ ফিরে যায়।
টুঙ্গিবাড়িয়া ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য অমল দেবনাথ সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, দামুরহুদা থানার ওসি তাকে সঙ্গে নিয়েই রাতে সুমনদের বাড়ি গিয়েছিল। দামুরহুদা থানার ওসি অমলকে জানিয়েছেন, সুমনদের বাড়ির খোঁজ-খবর নিতে এসেছেন। তিনি ওই বাড়িতে গিয়ে কয়টা মোবাইল সেট আছে শুধুমাত্র তা জানতে চান। ওসি তাকে আরও জানিয়েছেন, দামুরহুদা থানায় এক নারীর কঙ্কাল উদ্ধার মামলার আসামি সুমন দেবনাথ। অমল দেবনাথ সুমন দেবনাথের পরিবারের বরাত দিয়ে বলেন, দামুরহুদা উপজেলায় তাদের কোন আত্মীয় নেই কিংবা কখনও যোগাযোগও ছিল না।
দামুরহুদা থানার ওসি আব্দুল খালেক সাংবাদিকদের জানান, দামুরহুদা উপজেলার চিকনবুনিয়া গ্রামে মীম হত্যা মামলার আসামি সুমন দেবনাথ। তাকে গ্রেফতারের জন্য গত ২৪ নভেম্বর রাত ১২টার দিকে বরিশালের টুঙ্গিবাড়িয়া গ্রামে সুমনদের বাড়িতে গিয়েছিলেন। সেখানে গিয়ে জানতে পারেন তার আগে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী পরিচয়ে সুমনকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তবে কারা নিয়েছে এ বিষয়ে ওসি আব্দুল খালেক কিছু জানাতে পারেননি। বরিশাল বন্দর থানার ওসি আনোয়ার হোসেন বলেন, একটি হত্যা মামলার আসামি হিসাবে সুমনকে গ্রেফতার করতে দামুরহুদা থানার ওসি বন্দর থানার সহায়তা চেয়েছিল। তিনি সহায়তা করেছেন। তবে সুমনকে তার আগে কারা তুলে নিয়ে গেছেন এ বিষয়টি তাদের জানা নেই। টুঙ্গিবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান বাহাউদ্দিন আহেমদ সাংবাদিকদের বলেছেন, সাহেবেরহাট বন্দরের ব্যবসায়ী সুমন দেবনাথকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী পরিচয়ে তুলে নিয়ে যাওয়ার পর নিখোঁজ হওয়ার খবর তিনিও শুনেছেন। তিনি অপরাধী হয়ে থাকলে তাকে প্রকাশ্যে আইনের আওতায় আনার দাবি জানান চেয়ারম্যান বাহাউদ্দিন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।