মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
আশঙ্কাই এখন সত্য পরিণত হতে শুরু করেছে। ট্রাম্প ও কার কট্টর ডানপন্থী সমর্থকরা যে যুক্তরাষ্ট্রের জন্য হুমকি হয়ে উঠছেন সে বিষয়ে সতর্ক করে শনিবারই প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম দ্য ইকোনমিস্ট একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিল যা আজ দৈনিক ইনকিলাবে ছাপা হয়েছে। গতকাল তার প্রতিফলনই দেখা গেল। এ দিন ট্রাম্পের সমর্থকদের বিক্ষোভ ও বিরোধীদের সাথে তাদের সংঘর্ষের ঘটনা, দুটোই আমেরিকার ইতিহাসে বিরল।
ভোটের ফলপ্রকাশের পর থেকেই উত্তপ্ত হয়ে রয়েছে আমেরিকা। জো বাইডেনের কাছে পরাজয়ের পর থেকেই কারচুপির তত্তে¡ অটল আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এমনকি শীর্ষ আদালতে তার আবেদন খারিজ হয়ে গেলেও হার মানছেন না তিনি। প্রিয় প্রেসিডেন্টের সুরে সুর মিলিয়েই নির্বাচন বাতিল ও ট্রাম্পের শাসনের মেয়াদ আরও চার বছর বৃদ্ধির দাবিতে শনিবার ওয়াশিংটনে পথে নামলেন তার অনুগামীরা। মিছিলের বিরোধিতায় পথে নামেন বিরোধীদের একাংশও। এর পরেই দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। গুলিও চলে। ঘটনায় আহত হয়েছেন এক জন। ছুরিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়েছেন আরও চার জন। তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক। ওয়াশিংটন পুলিশ টুইটে জানিয়েছে, অলিম্পিয়ায় ক্যাপিটল বিল্ডিংয়ের কাছে দু’পক্ষের সংঘর্ষ বাধে। এই ঘটনায় এক সন্দেহভাজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পরে অবশ্য স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, মোট ২৩ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
সম্প্রতি ট্রাম্পের পক্ষ নিয়ে টেক্সাস প্রদেশের তরফে করা মামলা খারিজ করেছে সুপ্রিম কোর্ট। তা সত্তে¡ও প্রেসিডেন্টের সমর্থনে উৎসবের মেজাজেই দিনটা শুরু করেছিলেন ট্রাম্পপন্থীরা। হোয়াইট হাউসের অদূরে ফ্রিডম প্লাজায় হাজারেরও বেশি সমর্থক জমায়েত করেন। মাথায় লাল টুপি, জামায় ‘ট্রাম্প ২০২৪’ লেখা ব্যাজ পরেও পথে নামেন অনেকে। মাসখানেক আগেও হাজার দশেক ট্রাম্প সমর্থক রাস্তায় নেমেছিলেন। সেই দিনের তুলনায় এ দিনের মিছিল অবশ্য শুরু থেকেই কিছুটা নিষ্প্রভ। তবে সমর্থকদের বিশ্বাস এখনও অটুট। ষাটোর্ধ্ব লিউক উইলসন জানান, হাল ছাড়ছেন না তারা। ট্রাম্পের মতোই ভোট জালিয়াতির তত্ত¡ তাদের মুখে। আবার কেউ কেউ ট্রাম্পের পরাজয়ের পিছনে বিদেশি শক্তির ষড়যন্ত্রের তত্ত¡ও ভাসিয়ে দিয়েছেন। মিছিলের এই ছবি দেখা গিয়েছে আটলান্টা, মিনেসোটা, নেব্রাস্কা, আলাবামাতেও।
ইতিমধ্যেই নির্বাচনী ফলাফল খারিজের আর্জি নিয়ে দেশের নিম্ন আদালত থেকে শুরু করে শীর্ষ আদালত পর্যন্ত বিচারবিভাগের বিভিন্ন স্তরের দ্বারস্থ হয়েছিলেন ট্রাম্প ও তার সমর্থকেরা। অন্তত ৮৬ জন বিচারপতি ট্রাম্পের আবেদন খারিজ করেছেন। এমনকি উপযুক্ত প্রমাণ ছাড়া এ হেন গুরুতর অভিযোগের সমালোচনাও করেছেন বিভিন্ন বিচারপতি। ট্রাম্পের দল রিপাবলিকানদের মনোনীত বিচারপতিরাও রয়েছেন সেই তালিকায়। এমনই এক জন আমেরিকার সার্কিট কোর্টের বিচারক স্টেফানস বিবাসকে ২০১৭ সালে বিচারক পদে মনোনীত করেছিলেন স্বয়ং ট্রাম্পই। তিনি দ্ব্যর্থহীন ভাষায় জানিয়েছেন, আইনজীবীরা নন, ভোটাররাই নির্বাচন করেন প্রেসিডেন্ট। গত বছর ডিস্ট্রিক্ট কোর্টের বিচারক হিসেবে ট্রাম্পের মনোনীত স্টিভেন ডি গ্রিমবার্গের এজলাসে রিপাবলিকানদের তরফে আবেদন করা হয়, জর্জিয়ায় বাইডেনের জয় স্থগিত রাখা হোক। যদিও কোনও সারবত্তা নেই বলে মামলা খারিজ করেছেন বিচারক গ্রিমবার্গ। এই তালিকায় নতুন সংযোজন বিচারক ব্রেট এইচ লুডউইগ। সেপ্টেম্বরেই বিচারকের পদে তাকে মনোনয়ন দিয়েছিলেন ট্রাম্প। উইসকনসিনে ভোটের ফলাফল খারিজের আর্জি বাতিল করে এই আবেদনকে ‘এক্সট্রাঅর্ডিনারি’ বলে মন্তব্য করেছেন বিচারক লুডউইগ। সূত্র : ওয়াশিংটন পোস্ট।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।