নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
ডিয়েগো ম্যারাডোনা মারা গেছেন দুই সপ্তাহের বেশি হয়ে গেল। ম্যারাডোনার পরিবার যেমন শোক কাটিয়ে উঠতে পারেনি, তেমনি স্বাভাবিক হওয়ার চেষ্টা করছে ফুটবল বিশ্বও। এর মধ্যেই চলছে অভিযোগের খেলা। ম্যারাডোনার আইনজীবী মাতিয়াস মোরলাকে এক হাত নিয়েছেন ’৮৬ বিশ্বকাপ কিংবদন্তির মেয়ে দালমা ম্যারাডোনা।
গত ২৫ নভেম্বর মৃত্যুর আগে কয়েক বছর ম্যারাডোনা যে পরিবেশে ছিলেন, তা নিয়ে সন্তুষ্ট ছিলেন না ম্যারাডোনার দুই মেয়ে দালমা ও জিয়ান্নিনা। বরাবরই তারা অভিযোগের আঙুল তুলেছেন মোরলার দিকে। ৬০ বছর বয়সী ম্যারাডোনা মৃত্যুর আগে যতœ-আত্তিতে অবহেলার শিকার হয়েছেন বলে মনে করেন দালমা। এবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সে জন্য মোরলার ওপর ঝাল ঝাড়লেন তিনি।
ঘটনার সূত্রপাত ম্যারাডোনার মৃত্যুর পর। আর্জেন্টাইন কিংবদন্তির শেষকৃত্যে যেতে পারেননি মোরলা। এ জন্য পরোক্ষভাবে দুষেছিলেন জিয়ান্নিনাকে। ‘আমি কখনো ভুলতে পারব না, আমার সেরা বন্ধুর শেষকৃত্যে কেন যেতে পারিনি,’ বলেন মোরলা। ইনস্টাগ্রামে এবার মোরলাকে পাল্টা উত্তরই দিলেন দালমা। মোরলার উদ্দেশে দালমা লিখেছেন, ‘আমি এখানে লিখছি, কারণ, তুমি আমার বোনকে বার্তা পাঠিয়েছ, নিজের সেরা বন্ধুর শেষকৃত্যে কেন যেতে পারোনি। ২০০ বার ফোন করেছি, ধরলে ব্যাখ্যা করতে পারতাম, কেন যেতে পারিনি। আমরা তোমাকে বিচারের মুখোমুখি দাঁড় করাব। আশা করি, তখন তুমি নিজের মুখটা দেখাতে পারবে। সেখানেই দেখা হবে, কিছু বলার থাকলে তখন সেখানে মুখোমুখি বলো।’
কোন অভিযোগের ভিত্তিতে মোরলাকে আদালতে নেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন তারা, সেটি জানা যায়নি। দালমা লিখেছেন, ‘আশা করি সুবিচার পাব। শপথ করছি, সুবিচার না পাওয়া পর্যন্ত থামব না। কিন্তু সেটি না পেলেও সামাজিকভাবে তুমি দোষী প্রমাণিত হয়ে গেছ।’ ম্যারাডোনাকে শেষবারের মতো দেখতে গিয়ে ভক্তরা নাকি মোরলাকে ‘খুনি’ বলেছে, সে কথাও একটু অন্যভাবে জানান দালমা, ‘সৌভাগ্যবশত তুমি শেষকৃত্যে ছিলে না। কারণ, লোকজন তোমাকে খুনি বলেছে। আমি তোমাকে বাঁচিয়ে দিয়েছি।’
মোরলাকে সতর্ক করে দিয়েছেন দালমা। বলে দিয়েছেন, তার পরিবারের লোকজনকে বিরক্ত না করতে এবং ম্যারাডোনার সন্তানদের বঞ্চিত করার চেষ্টা না করতে, ‘কেউ আমার বোনকে বিরক্ত করতে পারবে না এবং সেটাও আমার বাবার কন্যা কি না, এমন প্রশ্ন তুলে। সে এই চেষ্টাই করেছে। কারণ, সে চেয়েছে যাতে তার নথিতে এ লেখা আটকাতে পারে। তুমি আর ফালতু কিছু করার সুযোগ পাবে না। আমারও তোমাকে শেষ করার দরকার হবে না। কারণ, শেষ পর্যন্ত তুমি সেটাই পাবে।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।