মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
জবাই করা কোনও প্রাণী নয়, বরং গবেষণাগারে তৈরি ‘পরিষ্কার মাংস’ মানুষের খাদ্য হিসেবে ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছে সিঙ্গাপুর। গবেষণাগারে কৃত্রিম উপায়ে তৈরি মাংস খাওয়ার অনুমতি দেওয়ার ঘটনা বিশ্বে এটাই প্রথম।
বিভিন্ন পশু কল্যাণ সংস্থা ও পরিবেশবাদী সংগঠন বহুদিন ধরে মাংসের জন্য পশু হত্যা বন্দের দাবি তুলেছে। এর আগে ‘বয়ন্ড মিট ইনকর্পোরেটেড’ এবং ‘ইমপসবল ফুডস’ নামে দুটি সংস্থা উদ্ভিদজ্জ প্রোটিন থেকে মাংস তৈরি করেছিল। ক্রেতাদের মধ্যে ক্রমশ জনপ্রিয় হচ্ছে সেই উদ্ভিজ্জ মাংস। কিন্তু ‘ইট জাস্ট’ সংস্থাটি পশুর মাংসপেশী থেকে গবেষণাগারে মাংস তৈরি করেছে। একসময় শোনা গিয়েছিল, এভাবে মাংস তৈরির খরচ যথেষ্ট বেশি। তা বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদন করা সম্ভব নয়। কিন্তু আজ বুধবার ‘ইট জাস্ট’ সংস্থাটি বলেছে, তারা মুরগির কোষ থেকে মাংস তৈরি করেছে। আপাতত ওই মাংস অল্প পরিমাণে সিঙ্গাপুরের বাজারে বিক্রি হবে। চিকেন নাগেট হিসাবে বিক্রি হবে সেই মাংস। তার প্রতিটির দাম হবে ৫০ ডলার।
‘ইট জাস্ট’ এর সিইও জোস টেটরিক বলেন, খুব শীঘ্রই গবেষণাগারে তৈরি মাংসের দাম কমে আসবে। দাম কমে ঠিক কত হবে তা তিনি জানাননি। তবে বলেছেন, খুব শীঘ্র সিঙ্গাপুরে কৃত্রিম মাংসের রেস্তোরা খোলার পরিকল্পনা আছে তাদের। তারা আশা করছেন, ২০২১ সালের মধ্যেই সিঙ্গাপুরে কৃত্রিম মাংস লাভজনক হয়ে উঠবে।
বিশ্বে এখন দু’ডজন কোম্পানি গবেষণাগারে মাছ, গোমাংস ও মুরগির মাংস তৈরির চেষ্টা করছে। পর্যবেক্ষকদের মতে, ‘অলটারনেটিভ মিট’ এর বাজার আছে বিশ্বজুড়ে। ২০২৯ সালে সেই বাজারে ১৪ হাজার কোটি ডলারের কৃত্রিম মাংস বিক্রি হবে।
ইতিমধ্যে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের সুপারমার্কেটগুলিতে ভালো পরিমাণে বিক্রি হচ্ছে উদ্ভিজ্জ মাংস। ওয়াল স্ট্রিটের বিনিয়োগকারীরা অলটারনেটিভ মিট কোম্পানিগুলিতে বিনিয়োগ করছেন। জেপি মর্গান চেজ-এর মতে, আগামী ১৫ বছরের মধ্যে উদ্ভিজ্জ মাংসের বাজারের পরিমাণ দাঁড়াবে ১০ হাজার কোটি ডলার।
বিশ্বে কৃত্রিম মাংস তৈরির প্রক্রিয়া অবশ্য এটাই প্রথম নয়। বিয়ন্ড মিট, ইম্পসিবল ফুডের মতো প্রতিষ্ঠানগুলো আগে থেকেই প্ল্যান্ট-ভিত্তিক মাংস উৎপাদন করছে। তবে ইট জাস্টের মাংস প্ল্যান্ট-ভিত্তিক নয়, এটি তৈরি হচ্ছে প্রাণী কোষ থেকে।
সিঙ্গাপুরে গবেষণাগারে তৈরি মাংস অনুমোদন পাওয়ার ঘটনাকে বৈশ্বিক খাদ্য শিল্পের জন্য বড় মাইলফলক হিসেবে উল্লেখ করেছে উৎপাদক প্রতিষ্ঠান ইট জাস্ট। অন্য দেশগুলোকেও এটি ব্যবহারে অনুমোদন দেয়ার অনুরোধ জানিয়েছে তারা। সূত্র : রয়টার্স।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।