Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বিশ্বে প্রথম! কৃত্রিম মুরগির মাংস বিক্রির অনুমতি সিঙ্গাপুরে

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২ ডিসেম্বর, ২০২০, ৪:২১ পিএম

জবাই করা কোনও প্রাণী নয়, বরং গবেষণাগারে তৈরি ‘পরিষ্কার মাংস’ মানুষের খাদ্য হিসেবে ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছে সিঙ্গাপুর। গবেষণাগারে কৃত্রিম উপায়ে তৈরি মাংস খাওয়ার অনুমতি দেওয়ার ঘটনা বিশ্বে এটাই প্রথম।

বিভিন্ন পশু কল্যাণ সংস্থা ও পরিবেশবাদী সংগঠন বহুদিন ধরে মাংসের জন্য পশু হত্যা বন্দের দাবি তুলেছে। এর আগে ‘বয়ন্ড মিট ইনকর্পোরেটেড’ এবং ‘ইমপসবল ফুডস’ নামে দুটি সংস্থা উদ্ভিদজ্জ প্রোটিন থেকে মাংস তৈরি করেছিল। ক্রেতাদের মধ্যে ক্রমশ জনপ্রিয় হচ্ছে সেই উদ্ভিজ্জ মাংস। কিন্তু ‘ইট জাস্ট’ সংস্থাটি পশুর মাংসপেশী থেকে গবেষণাগারে মাংস তৈরি করেছে। একসময় শোনা গিয়েছিল, এভাবে মাংস তৈরির খরচ যথেষ্ট বেশি। তা বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদন করা সম্ভব নয়। কিন্তু আজ বুধবার ‘ইট জাস্ট’ সংস্থাটি বলেছে, তারা মুরগির কোষ থেকে মাংস তৈরি করেছে। আপাতত ওই মাংস অল্প পরিমাণে সিঙ্গাপুরের বাজারে বিক্রি হবে। চিকেন নাগেট হিসাবে বিক্রি হবে সেই মাংস। তার প্রতিটির দাম হবে ৫০ ডলার।

‘ইট জাস্ট’ এর সিইও জোস টেটরিক বলেন, খুব শীঘ্রই গবেষণাগারে তৈরি মাংসের দাম কমে আসবে। দাম কমে ঠিক কত হবে তা তিনি জানাননি। তবে বলেছেন, খুব শীঘ্র সিঙ্গাপুরে কৃত্রিম মাংসের রেস্তোরা খোলার পরিকল্পনা আছে তাদের। তারা আশা করছেন, ২০২১ সালের মধ্যেই সিঙ্গাপুরে কৃত্রিম মাংস লাভজনক হয়ে উঠবে।
বিশ্বে এখন দু’ডজন কোম্পানি গবেষণাগারে মাছ, গোমাংস ও মুরগির মাংস তৈরির চেষ্টা করছে। পর্যবেক্ষকদের মতে, ‘অলটারনেটিভ মিট’ এর বাজার আছে বিশ্বজুড়ে। ২০২৯ সালে সেই বাজারে ১৪ হাজার কোটি ডলারের কৃত্রিম মাংস বিক্রি হবে।

ইতিমধ্যে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের সুপারমার্কেটগুলিতে ভালো পরিমাণে বিক্রি হচ্ছে উদ্ভিজ্জ মাংস। ওয়াল স্ট্রিটের বিনিয়োগকারীরা অলটারনেটিভ মিট কোম্পানিগুলিতে বিনিয়োগ করছেন। জেপি মর্গান চেজ-এর মতে, আগামী ১৫ বছরের মধ্যে উদ্ভিজ্জ মাংসের বাজারের পরিমাণ দাঁড়াবে ১০ হাজার কোটি ডলার।
বিশ্বে কৃত্রিম মাংস তৈরির প্রক্রিয়া অবশ্য এটাই প্রথম নয়। বিয়ন্ড মিট, ইম্পসিবল ফুডের মতো প্রতিষ্ঠানগুলো আগে থেকেই প্ল্যান্ট-ভিত্তিক মাংস উৎপাদন করছে। তবে ইট জাস্টের মাংস প্ল্যান্ট-ভিত্তিক নয়, এটি তৈরি হচ্ছে প্রাণী কোষ থেকে।

সিঙ্গাপুরে গবেষণাগারে তৈরি মাংস অনুমোদন পাওয়ার ঘটনাকে বৈশ্বিক খাদ্য শিল্পের জন্য বড় মাইলফলক হিসেবে উল্লেখ করেছে উৎপাদক প্রতিষ্ঠান ইট জাস্ট। অন্য দেশগুলোকেও এটি ব্যবহারে অনুমোদন দেয়ার অনুরোধ জানিয়েছে তারা। সূত্র : রয়টার্স।



 

Show all comments
  • Md billal hosain ৫ ডিসেম্বর, ২০২০, ৩:১৬ পিএম says : 0
    খুবই হাস্যকর, যেখানে প্রতিদিন বিভিন্ন দেশ অন্যায়ভাবে নিরীহ মানুষ মারছে, সেখানে তাদের হত্যা ০ না করে, প্রাণী হত্যার বিকল্প খোঁজা পাগলামি ছাড়া কিছুই নয়
    Total Reply(0) Reply
  • twocents ৮ ডিসেম্বর, ২০২০, ৮:৩৮ এএম says : 0
    If this is meant for non-muslims, we don't have much to say; but this cannot be considered halal for muslims if the ingredients are collected from the birds or animals which are not halal and not slaughtered in islamic way.
    Total Reply(0) Reply
  • মো: শফিউর রহমান ৮ ডিসেম্বর, ২০২০, ১১:২১ এএম says : 0
    মহান রাব্বুল আলামিন মানুষ জাতিকে সৃষ্টি করে তাদেরকে অনেক শক্তি দিয়েছে যেটা মানুষের কল্লানের জন্য এবং মানুষের আহারের জন্য অনেক কিছু পাঠিয়েছেন এবং তাদেরকে ৪র্থ আসমান পর্যন্ত ভ্রমনের সুযোগ করে দিয়েছেন তার মানে এ নয় মানুষ যা ইচ্ছে তাহাই করে বেরাবে । মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিন প্রতিটি মাখলুকাত সৃষ্টি করেছেন মানুষের কল্লানের জন্য অথছ দেখা যাচ্ছে মহান আল্লাহর অবাদ্য হয়ে প্রচার করতেছি এটা করা যাবেনা ওটা করা যাবেনা অথছ মানব জাতিকে যারা দুর্বল তাদেরকে ধ্বংশ করার জন্য ব্যাস্ত হয়ে পরেছি । সেটা কত বড় অন্নায় মানুষ একবার ভেবে দেখ তা হলে বুজতে পারবে । আবল তাবল তৈরি করে মানুষকে ধোকা দিবে আর মানুষ তাদেরকে বাহবা দিবে এটা থেকে ভবিষৎ প্রজন্মকে এখনই সর্তক্য হতে হবে না হয় বড় বিপদ আমাদের সম্মুখে অপেক্ষা করতেছে । আমরা যারা ইসলামের অনুশারি মুসলমান তাদেরকে ভুল বুজানের জন্য শত্রু পক্ষ ওত পেতে আছে । তাই সাধু সাবধান !
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: সিঙ্গাপুর


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ